Sad Poem In Bengali (দুঃখের কবিতা) Bengali Sad Poem
Sad Poem In Bengali
সুখ আর দুঃখ কয়েনের দুটো পিঠের মতোই । সুখ আছে বলেই দুঃখ আছে । জীবনের কোন কোন
সময়ে বিশেষ কিছু কারণে আমাদের মন খারাপ থাকে । তখন আমরা দুঃখের কবিতা, গান কিংবা
গল্প পড়ি ।
আপনি ও নিশ্চই এমনি কোন কবিতা খুঁজছেন ? তাই আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি বাছাই
করা কিছু Sad Poem In Bengali, তো, চলুন ঝটপট শুরু করা যাক….
Bengali Sad Poem
হারানোর ঠিকানা
দূর থেকে সরে-
আর কত দূরে..
গেলে,বল তো
পৌঁছানো যায়,
তোমার ভালোথাকার ঠিকানায়?
তুমি তো
ছিলে
আকাশের নীলে-
ছিলে, রাতের নিরব জোছনায়
ছিলে,
আমার না লেখা কবিতায়।
শুনে যে কোন আহ্বান,
তুমি যে দিয়েছ উড়ান
বল কিভাবে পৌঁছানো যায়
নীড় হারা পাখির ঠিকানায় ?
আকাশের তারা মাঝে-
তোমায় বেড়াই
খুঁজে..
বল,ওগো,আলোরই নিশানা-
বল, হারানোদের কি
ঠিকানা?
খুঁজব তাকে, দেখব একটি বার,
কত সুখে আছে সে পাখি আমার!
হে হৃদয়
______জীবনানন্দ দাশ
হে হৃদয়
নিস্তব্ধতা?
চারিদিকে মৃত সব অরণ্যেরা বুঝি?
মাথার ওপরে
চাঁদ
চলছে কেবলি মেঘ কেটে পথ খুঁজে-
পেঁচার পাখায়
জোনাকির
গায়ে
ঘাসের ওপরে কী যে শিশিরের মতো ধূসরতা
দীপ্ত হয় না কিছু?
ধ্বনিও
হয় না আর?
হলুদ দু’-ঠ্যাং তুলে নেচে রোগা শালিখের মতো যেন কথা
ব’লে
চলে তবুও জীবনঃ
বয়স তোমার কত? চল্লিশ বছর হল?
প্রণয়ের পালা ঢের এল
গেল-
হল না মিলন?
পর্বতের পথে-পথে রৌদ্রে রক্তে অক্লান্ত শফরে
খচ্চরে
পিঠে কারা চড়ে?
পতঞ্জলি এসে ব’লে দেবে
প্রভেদ কী যারা শুধু ব’সে থেকে
ব্যথা পায় মৃত্যর গহ্বরে
মুখে রক্ত তুলে যারা খচ্চরের পিঠ থেকে পড়ে
যায়?
মৃত সব অরণ্যেরা;
আমার এ-জীবনের মৃত অরণ্যেরা বুঝি বলেঃ
কেন
যাও পৃথিবীর রৌদ্র কোলাহলে
নিখিল বিষের ভোক্তা নীলকন্ঠ আকাশের নীচে
কেন
চ’লে যেতে চাও মিছে;
কোথাও পাবে না কিছু;
মৃত্যুই অনন্ত শান্তি হয়ে
অন্তহীন
অন্ধকারে আছে
লীন সব অরণ্যের কাছে।
আমি তবু বলিঃ
এখনও যে-ক’টা দিন
বেঁচে আছি সূর্যে-সূর্যে চলি,
দেখা যাক পৃথিবীর ঘাস
সৃষ্টির বিষের
বিন্দু আর
নিষ্পেষিত মনুষ্যতার
আঁধারের থেকে আনে কী ক’রে যে
মহা-নীলাকাশ,
ভাবা যাক—ভাবা যাক-
ইতিহাস খুঁড়লাই রাশি-রাশি দুঃখের
খনি
ভেদ ক’রে শোনা যায় শুশ্রুষার মতো শত-শত
শত জলঝর্ণার ধ্বনি।
Bengali Sad Poem For Facebook
হতে যদি পরিযায়ী পাখি
হতে যদি তুমি কোনো
পরিযায়ী পাখি –
করতে হত না তোমায়
এমন
ডাকাডাকি!
এক শীতের বিরহের পরে –
আসতে তুমি আবার ফিরে
পুরোনো সেই
ঠিকানায়,
আমার হৃদয়ের বাসায়।
তুমি তো গেছ চলে –
উড়ে ঐ আকাশ নীলে!
রেখে তো গেলে না তুমি
মধুর
কোনো নিশানা ;
বল, কোথায় পাব আমি
ঐ আকাশের ঠিকানা?
আমার সে হৃদয় নীড়
নেই তবে আজ শূন্য
ভালোবাসা, অপেক্ষা –
আছে
তোমারই জন্য।
আপন মনে আকাশ পানে
অপলকে চেয়ে শুধু থাকি-
ফেরো যদি কোনো ক্ষণে
হয়ে
পরিযায়ী পাখি !
Bangla Sad Kobita Text
স্বপ্নে দেখা হয়
স্বপ্নে দেখা হয় তার সাথে-
ছায়াঘেরা চিরসবুজ অরণ্যের পাশে,
বরফ ঢাকা
সাদা পাহাড়ের দেশে;
দেখা হয় তার সাথে-
খরস্রোতে বয়ে চলা নদীর
কিনারায়,
তারাভরা রাতে শান বাঁধানো বটের গোড়ায়।
কথা হয় কত তার সাথে মোর,
খুলে দিয়ে যত ভাবনার দোর।
হেঁটে চলা হয় দূর
বহুদূর,
গান গাওয়া হয় সুরে মিলিয়ে সুর।
স্বপ্নে তার সাথে মোর দেখা
হয়,
জগতের সব ভালোবাসা যেন আমায় ঘিরে রয়।
সেই কবে থেকে
সেই কবে থেকে জ্বলছি
জ্ব’লে জ্ব’লে নিভে গেছি ব’লে
তুমি দেখতে পাও নি
।
সেই কবে থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
বাতিস্তম্ভের মতো ভেঙে পড়েছি ব’লে
তুমি লক্ষ্য করো নি ।
সেই কবে
থেকে ডাকছি
ডাকতে ডাকতে স্বরতন্ত্রি ছিঁড়ে বোবা হয়ে গেছি ব’লে
তুমি
শুনতে পাও নি ‘।
সেই কবে থেকে ফুটে আছি
ফুটে ফুটে শাখা থেকে ঝ’রে
গেছি ব’লে
তুমি কখনো তোলো নি ।
সেই কবে থেকে তাকিয়ে রয়েছি
তাকিয়ে
তাকিয়ে অন্ধ হয়ে গেছি ব’লে
একবারো তোমাকে দেখি নি ।
সে যে পাশে এসে বসেছিল
সে যে পাশে এসে বসেছিল
তবু জাগি নি।
কী ঘুম তোরে পেয়েছিল
হতভাগিনী।
এসেছিল
নীরব রাতে
বীণাখানি ছিল হাতে,
স্বপনমাঝে বাজিয়ে গেল
গভীর
রাগিণী।
জেগে দেখি দখিন-হাওয়া
পাগল করিয়া
গন্ধ তাহার ভেসে
বেড়ায়
আঁধার ভরিয়া।
কেন আমার রজনী যায়–
কাছে পেয়ে কাছে না পায়
কেন
গো তার মালার পরশ
বুকে লাগি নি।
Bengali Sad Poem Download
কষ্টগুলো আমারি থাক
আমার কষ্টগুলো আমারি থাক
বৃষ্টিগুলো আমার চোখ দিয়েই ঝরুক
ঝর্ণার জলগুলো
শুধু আমার হৃদয় দিয়েই বের হোক
সকল জল মিলে ঢেউ উঠলে আমার মনেই উঠুক
আর
সেই ঢেউয়ে ভেসে গেলে আমিই যাই।
এ কষ্টের জীবনে অন্যকে জড়িয়ে কি লাভ?
চোখ
দিয়ে ঝরা জলের মূল্য যে কত
তা হয়তোবা কোনদিন কল্পনাও করতে পারবেনা
তাই
আমিও চাইনা এ নিয়ে ভেবে কারো মাথার উপর
আবার পুরো আকাশটা ভেঙ্গে পড়ুক,
মেঘে
ঢেকে চোখ দুটি অন্ধ হোক।
.
সুখের নরম ছোঁয়ায় তোমার হৃদয়ে আবেগের ঝর্ণা
বহুক
মুখে চাঁদের হাসিতে চারিদিকে আলোকিত হোক
আমি সব সময় তোমার হৃদয়ে
আনন্দের বন্যা দেখতে চাই
যা ছড়িয়ে তোমার পুরো শরীরে ভালবাসার ছোঁয়া লাগুক
পাখিদের
গানে গানে মনটা আনন্দে ভরে উঠুক
হাসনাহেনার গন্ধে তোমার চারিপাশ শুভাসিত
হোক
জ্যোৎস্না রাতের আলোতে চোখ দু’টি পুলকিত হোক।
.
আর দুনিয়ার যত
হতাশা এসে আমাকে জাপটে ধরুক
নষ্ট লোকের মস্ত অপবাদ আমার উপরই লাগুক
রাস্তার
যত আবর্জনা এসে আমার শরীরে লাগুক
আমি চাইনা এ আবরণ আমাকে ছাড়িয়ে অন্য কারো
শরীরে
স্পর্শ করুক, ব্যাকটেরিয়া লেগে পচন ধরুক,
গোধূলি লগণের আন্ধকারের
আবহন চোখে পড়ুক।
.
রংধনুর সাত রঙে তোমার হৃদয়ে ভালবাসার রঙ লাগুক
তবুও
তুমি সুখেই থাক, সুখ নিয়েই ভাব
কখনও কষ্টে জর্জরিত এই নষ্ট মনে হানা দিও
না।
আমার কষ্টগুলো আমারি থাক
বৃষ্টিগুলো সব আমার চোখ দিয়েই ঝরুক
ঝর্ণার
জলগুলো আমার হৃদয় দিয়েই বের হোক
তবুও তোমার হৃদয়ে বিন্দুমাত্র কালো ছায়া
স্পর্শ না করুক।
আরো পড়ুন, কষ্টে ভরা দুঃখের কবিতা
আমায় যেওনা ভুলে
একদিন তুমি
আমার কাছে এসেছিলে আজও আমার মনে পড়ে,
বুঝিনি আমি
সেদিন
কি কথা ছিল তোমার মধুময় পবিত্র অন্তরে ।
একদিন তুমি
যা দিয়েছিলে আমায় তা আমার কাছে অনেক প্রিয়,
সে স্মৃতি
সব
আমার হৃদয় বীণায় ঝংকৃত হয় কত যে অতুলনীয় ।
কোনদিন যদি
জীবনে এক মুহূর্তের জন্য তুমি আমার হয়ে থেকো,
তবে কখনও
তুমি
যেওনা ভুলে আমায় একটু হলেও মনে রেখো ।
হয়তোবা তুমি
সেদিনের সে স্মৃতি আর কিছু কথা গিয়েছো ভুলে,
আজও আমি
তা
মনে করে ভাল থাকি বাঁচি দেহ মন প্রাণ খুলে ।
আজও ভুলিনি
আজীবন মনের মন্দিরে রাখব সদা অনেক যতনে,
যা পেয়েছিলাম
যতটুকুইবা
তা আমি সাজিয়ে রাখব অমূল্য রতনে ।
Bangla Dukkher Kobita
অবহেলিতা
অবহেলিত সময়ে অবগাহন করে
শুদ্ধ হয়েছি আজ
জনপদ তবু হয়েছে পিচ্ছিল
ভালবাসার
একটি মুকুর আজও যেন অপেক্ষমান
দয়িতের কাছে প্রত্যাক্ষিতা সে তো
আজও
তপস্যারতা সপ্তপর্ণী বনে
সুন্দর তবু কেন অচঞ্চল নিষ্ঠুর তবে
রত্নাভারন
হয়ছে তুচ্ছ
কেশদাম জটাজুটসম
তবু অপেক্ষা আজও প্রিয়
অনন্ত সময় তবু
কি বলে যায় তোমায়
সব কিছুর ঊর্দ্ধে গিয়ে
কিসের প্রতীক্ষা পথিক
যাকে
প্রত্যাক্ষান করেছ একদিন
কেন তাকে খোঁজ আজ
তবে কি সব মিথ্যা ছিল
সত্য
শুধু একটি মুহূর্ত
আর একটি সংকল্প
তবে ফিরে চলো নতুন পৃথিবীতে
আর
সব হোক্ মিথ্যা।
লাশ কাটা ঘর
লিখেছেন – বিকেল চড়ুই
তারপর দুটি চোখ নিভে গেলে পরে
কিশোরীর ঠাঁই মেলে লাশকাটা ঘরে ।
কেউ
তারে ভালোবেসে একদিন
কাছে এসে
বলেছিল , দেখে নিও চিরকাল
রবো পাশে
।
তারপর একদিন অসহ্য আলিঙ্গন
নয়নে নয়নে মেশে জলের
বাঁধন
বাইরে ঝড়ের তান্ডব আর
সেই কারো চোখে ঝড় ওঠে কিছু
কামনার ।
অবশেষে কিশোরীর আত্মসমর্পন
আত্মসমর্পন কারো অভিমানী
হাতে
ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিশাপে
অভিশাপ জমে সেই ঝড়ের রাতে।
অধরে
অধর মুছে জলছাপ আঁকা শেষে
কারো প্রেম মিশে যায় নিঃশ্বাসে
নিঃশ্বাসে
।
কিশোরী চেয়েছিল ,চেয়েছিল দূরে রয়
একটু কাছে তবে খুব বেশি
কাছে নয় ।
তারপর রাত্রির শেষ ,
চেনা ছায়া অচেনা হয়
হিংস্র
ঝড়ের তান্ডব থামে ,
আর একা শালিক পড়ে রয় ।
একদিন শেষপ্রহরের
বিকেলে
দুনয়নের জলের বাঁধন ছিড়ে
সেই কেউ চলে যায়
চলে যায় ধীরে
।
মায়াশালিকের আর্তনাদে চেনা আকাশে জমে
অচেনা মেঘের জলকেলী ।
আর
তারওপরে পৃথিবীটা ভেসে যায় জলের হাহাকারে,
ভেসে যায় কিশোরীর খোপার বেলী
।
তারপর পটাশিয়াম সায়ানাইডে
শেষ আশ্রয় খোঁজা,
অশ্রু
ধুয়ে মায়াশালিকের
চিরতরে চিরতরে চোখ দুটি মোছা।
তারপর দুটি চোখ
নিভে গেলে পরে
কিশোরীর ঠাঁই মেলে লাশ কাটা ঘরে।
লাশকাটাঘরে
ক্ষতবিক্ষত শালিকের ঠোঁটে
যন্ত্রণামাখা হাসি ,সে কারে যেন ডেকে ওঠে ..
কারে
যেন ডেকে ওঠে ফের ভালোবেসে।
অভিমান মুছে যায় নীল বিষে।
তারপর
লাশ কাটা ঘরে চেনা কারো অপেক্ষায়
জন্ম জন্মান্তর ধরে মৃত শালিকের দিন কেটে
যায়।
আরো পড়ুন, Bangla Sad Kobita
রোদন ভরা বসন্তে
রোদন ভরা বসন্তে ডাকে না কোকিল,
আমবনে আজ কেহ ছুঁড়ে নাকো ঢিল।
কুসুম
কাননে অলি করে না গুঞ্জন,
রোদন ভরা বসন্তে কেঁদে ওঠে মন।
রোদন ভরা বসন্তে ঝরে গেছে ফুল,
কূল ভাঙা ঢেউ যথা নিত্য ভাঙে কূল।
অজয়ের
নদীঘাটে আসে না শালিক,
সরু বালি চর নাহি করে ঝিকমিক।
রোদন ভরা বসন্তে বৃষ্টি আসে নেমে,
বিহগের কলতান সব গেছে থেমে।
শালপিয়ালের
বনে নাহি বাজে বাঁশি,
বিবর্ণ পলাশ ফুল ঝরে রাশি রাশি।
প্রিয়ার পরশ আজি সহ্য নাহি হয়,
রোদন ভরা বসন্তে বিদীর্ণ হৃদয়।
যাতায়াত
কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।
কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত
কাটে তো ভোর দেখি না,
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না; কেউ জানেনা।
নষ্ট
রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর
রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো।
যুগল
চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো।
জন্মাবধি
ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে
জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল
কলস।
লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।
ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে
যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর
শুভ্রতাকে বুকে
নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ
একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।
কেউ ডাকেনি তবু এলাম,
বলতে এলাম ভালোবাসি।
যদি ভালবাসা সত্য হয়
যদি ভালবাসা সত্য হয়, পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাবো কখনো আমি এটাও সত্য।
ভালবাসা
যদি সত্য হয় চোখ বুঝলেই তুমি পাবে আমায়।
বাস্তবে নয় স্বপ্নে আর
কল্পনায়।
নিঝুম রাতে চাঁদেরও পাশে
তারা হয়ে জ্বল্ব তোমারই
চোখে।
যদি ভালবাসা সত্য হয়!
তখনো তুমি খুজবে আমায় হারানো
অতীতে,
যদি ভালবাসা সত্য হয়।
সত্য সত্য সত্য যদি ভালবাসা সত্য
হয়।
না খুজলে তুমি মেনে নেব আমি ভালবাসা সত্য নয়!
খুজলে
মেনে নেব সব ভালবাসাই সত্য হয়।
শুধু অবহেলায় হারিয়ে যায়।
যদি
ভালবাসা সত্য হয় ,
ছাঁয়া হয়ে থাকব তোমারি পাশে।
সূর্য
হয়ে দিনে চাঁদ হয়ে রাতে।
যদি ভালবাসা সত্য হয়।
সত্য সত্য সত্য
যদি ভালবাসা সত্য হয়!
সত্য সত্য সত্য যদি ভালবাসা সত্য হয়।
আরো পড়ুন, Sad Bengali Poem By Rabindranath Tagore
বিষণ্ন বিকেল
কোনও কোনও রাত এত দীর্ঘ থেকে
দীর্ঘতর কেনো হয়?
কেনো এক ফোঁটা অশ্রু
হয়ে যায়
অথৈ সমুদ্দুর?
কেনো কারণে-অকারণে ভেঙে চুরমার
হয়ে যায়
হৃদয়?
এত বেশি কাছে থেকেও তুমি
কেন এত বহুদূর?
চলে
যাও…
যদি সুখ খুঁজে পাও
অন্য কোথাও।
আমিও চলে যাবো
সমুদ্রের
ওপারে আকাশ
একটা বিষণ্ন বিকেল সঙ্গে নিয়ে
আমি ভেসে যাবো,
আমারই
অশ্রু দিয়ে গড়ে ওঠা
উত্তাল তরঙ্গরাশিতে।
মৃত্যুকেই আমি আলিঙ্গন করে
নেবো
কষ্ট মোড়ানো হাসিতে।
কোনও কোনও রাতে এত বেশি
অন্ধকার
নামে কেনো?
নিকষ কালো-
সেই ভালো
আমিতো অন্ধকারেই হারিয়ে যেতে
চেয়েছিলাম
তোমার বদলে যাওয়া দেখে
অন্ধকার গায়ে মেখে
তোমার চলে
যাওয়া মেনে নিলাম।
মনে রেখো
একদিন তোমার শহরে বৃষ্টি নামবে
আকাশজুড়ে
আমি
তখন বহুদূরে
একটি অবহেলিত পার্কের বেঞ্চিতে
বসে একা-
তুমি
জানালায় চোখ রেখো
পাবে একটি হলুদ পাখির দেখা।
ঝাপসা চোখে যদি মনে পড়ে
কোনও স্মৃতি
পাখিটাকে বলে দিও সব কথা
তবু নয় কোনও প্রেম-প্রীতি।
‘দাঁড়াও’
বলে সেই যে তুমি গেলে
তারপর কেন আর ফিরে না এলে?
ভালো লাগলে শেয়ার করুন প্রিয়জন আর বন্ধুদের সাথে। ..
ভালো থাকুন, কবিতায় থাকুন।..
Thank You, Visit Again..
Tags –
Bangla Kobita,
Bengali Poem,