200+ Best Human Ahamed Bani (হুমায়ুন আহমেদের উক্তি)
Humayun Ahamed হুমায়ুন আহমেদ ( নভেম্বর,১৯৪৮ —১৯ জুলাই,২০১২) বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক । হুমায়ূন আহমেদকে স্বাধীনতার পরবর্তী শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী লেখক হিসেবে গণ্য করা হয় । তার রচিত বিভিন্ন উপন্যাস, ছোট গল্প, নাটক, গান আমাদের মনে আজও একইরকম ছুঁয়ে যায় । তার বেশ কিছু কবিতা, গল্পে কিছু লাইন আছে যা শুধুমাত্র লাইন নয় Bangla Bani হিসেবে মনে করেন অনেকেই ।
তাই আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি হুয়ামুন আহমদের শ্রেষ্ঠ বাণী তথা উক্তির কালকেশন । এই অসম্ভভব সুন্দর উক্তিগুলি ছুঁয়ে যাবে আপনার হৃদয়কে, একইসঙ্গে বদলে দেবে আপনার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি …
তো, চলুন শুরু করা যাক….
বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না,ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার । আমরা বাস করি বর্তমানে,অতীতেও
কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।
পৃথিবীর সবথেকে কঠিন ভাষা হলো চোখের ভাষা,এই ভাষা পড়ার জন্য মনে গভীর ভালবাসার দরকার হয়।
স্বপ্নদৃশ্য সবসময় হয় সাদা-কালো। স্বপ্ন বর্ণহীন।
যে-কোনো মেয়ের বিয়ের দিন বিবাহিত মেয়েদের মন খুশি খুশি থাকে। নিজের বিয়ের কথা মনে প
মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া ভাল। রাগলে শরীরের রোগ জীবানু মরে যায়।
পাঁচ হচ্ছে ম্যাজিকেল নাম্বার। কোন মেয়েকে যদি কখনো পাঁচটা গোলাপ দেয়া যায় তাহলে সে জন্মের মত কেনা হয়ে যায়।
পুরোপুরি নিশ্চিন্ত,নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন সম্ভব না। সব জীবনেই কিছু ঝামেলা থাকবে। কাবাব যতই ভালই হোক,কাবাবের এক কোণায় ছোট হাড্ডির টুকরো থাকবেই।
আলাদীনের চেরাগের দৈত্য যদি হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আমাকে বলে — রূপা,চট চট করে বল। তোমার তিনটা ইচ্ছে আমি পূর্ণ করব । তাহলে মাথা চুলকে বলব,স্যার থ্যাংক য়্যু,আপনার কাছে আমার কিছু চাইবার নেই। আমার যা চাইবার তা চাইতে হবে হিমুর কাছে ।ওকে একটু আমার কাছে এনে আপনি বিদেয় হোন। আপনার গা থেকে বিশ্রী গন্ধ আসছে।
কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়।
মানুষ কী অদ্ভুত দেখেছেন? মানুষ কত সহজেই- না ‘ভুল’–সত্যি ভেবে গ্রহন করে।
পুরুষ রমণীর প্রভেদটা হল বাহ্যিক। শারীরিক। মানুষের আসল পরিচয় তার আত্মায়। আত্মার কোন নারী পুরুষ নেই। পুরুষের আত্মাও যা নারীর আত্মাও তা।
গল্প উপন্যাস যখন যেটা লিখছি তার চরিত্রই বন্ধু হিসাবে থাকে। বাইরের বন্ধুর প্রয়োজন সে কারণেই হয় না।
সৌন্দর্য কোন ধ্রুব ব্যাপার না। ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। আজ তোমাকে অপূর্ব লাগছে তার মানে এই না যে কালও লাগবে।
যাদের পর্যবেক্ষন শক্তি খুব ভালো,তারা প্রায়ই খুব কাছের জিনিস দেখতে ভুল করে।।
যা হারিয়েছো তার জন্য আফসোস করোনা। ওটা তোমার জন্য না,যদি তোমারই থাকতো তবে তোমার কাছ থেকে তার পালানোর সাধ্য ছিলোনা।
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ রাগ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু আনন্দ প্রকাশ করতে পারে না। আরেক ধরনের মানুষ আনন্দ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু রাগ প্রকাশ করতে পারে না।
আইসক্রিম আর চুমু খাওয়ার কোন বয়স লাগে না।
আমরা শূন্য হতে এসেছি,আবার শূন্যে ফিরে যাব। দুই শূন্যের মাঝে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে এই দুই শূন্যে।
Human Ahamed Valobashar Ukti
পুরুষ মানুষের চোখের জল মেয়েদের দেখাতে নেই।
পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামুল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা,বর্ষার দিনের বৃষ্টি,মানুষের ভালবাসা…
মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যায় আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে|
দুই ধরনের মানুষ মিথ্যা কথাবলতে পারে না। সবল মনের মানুষ আর দুর্বল মনের মানুষ।
তুমি তোমার জীবনে ভেজাল হাসিকে আসতে দিও না।মনে কষ্ট পেলে কাদবে।মনের কষ্ট চাপা দেয়ার জন্য হাসির ভান করার প্রয়োজন নেই।
কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।
পাখি উড়ে গেলেও পলক ফেলে যায়,আর মানুষ চলে গেলে ফেলে রেখে যায় স্মৃতি।
মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে আফসোস নিয়ে মৃতবরণ করে…
ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে,কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য,অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে,আর না হয় সব সময়ের জন্য।তবে প্রেমে তারা পড়বেই!!
ক্লাস টেনের মেয়েরা পাত্রী হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়। কারণ এই বয়সে মেয়েরা প্রথম পুরুষের ব্যাপারে কৌতুহলি হয় এবং প্রেম করার জন্য ছোঁক ছোঁক করে। বিয়ের পর হাতের কাছে স্বামীকে পায়বলে প্রথম প্রেমটা স্বামীর সঙ্গে হয়। আর এই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়।
একটা মেয়ের ভালবাসায় অনেক কিছু যুক্ত থাকে – সংসারের স্বপ্ন,শিশুর স্বপ্ন। থাকে অনাগত দিন সুন্দরভাবে যাপনের স্বপ্নও। কিন্তু কোন ছেলে প্রেমে পড়লে শুধু তার প্রেমিকাকেই দেখে। স্বপ্নের কোন অস্তিত্ব সেখানে থাকে না।
মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়।সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।
পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন…
সারাজীবনে কখনো ভালো না বেসে থাকার চেয়ে,একবার ভালোবেসে তাকে হারানো উত্তম।
সুন্দরী মেয়ে সঙ্গে নিয়ে হাঁটলেই আপনাআপনি ছেলেদের চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য চলে আসে ।
যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে। এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক। কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।
নোংরা কথা শুনার মাঝে মানুষ এক ধরণের নিষিদ্ধ আনন্দ পায়…
পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যই দূর থেকে দেখতে হয়,খুব কাছ থেকে দেখতে গেলেই সৌন্দর্য টা কমে যায়।
প্রেমের যে কি প্রচণ্ড ক্ষমতা,প্রেমে না পড়লে বুঝা যায় না…
জোছনা দেখতে হয় সাদা রঙের কাপড় পরে। কালো কাপড় পরে জোছনা দেখা যায় না। একইভাবে বর্ষা দেখতে কদম ফুল লাগে।
আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব। এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।
মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।
বাঙ্গালীকে বেশি প্রশংসা করতে নেই। প্রশংসা করলেই বাঙালি এক লাফে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে গেলেও ক্ষতি ছিল না- আকাশ থেকে থুথু ফেলা শুরু করে।
ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায় ।
হ্যাঁ এবং না পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দুটি শব্দ কিন্তু এ শব্দ দুটি বলতে মানুষের সবচেয়ে বেশী ভাবতে হয়।
মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। তারা তাদের মায়ায় সবাইকে আচ্ছ্বন্ন করে রাখে।
মানব জাতি অপেক্ষা পছন্দ করে না। তবু তাকে অপেক্ষা করতে হয়। ভালবাসার জন্য অপেক্ষা,ঘৃনার জন্য অপেক্ষা,মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা,আবার মুক্তির জন্য অপেক্ষা।
পুরুষ মানুষ হাবা হলে চলে কিন্তু মেয়ে মানুষ হাবা হলে চলে না। তাহলে কপালে দুঃখ জোটে।
পৃথিবীর ঘৃণ্য চরিত্র গুলো নারীদের মাঝে দেখা গেলেও,তার পেছনে পুরুষের উপস্থিতি শতভাগ থাকে
বেশির ভাগ মানুষের স্বভাব হচ্ছে বিড়ালের মত। তারা সুখের সময় পাশে থাকে। দুঃখকষ্ট যখন আসে তখন দুঃখ কষ্টের ভাগ নিতে হবে এই ভয়ে চুপি চুপি সরে পড়ে। তাদের কোন দোষ নেই। আল্লাহ মানুষকে এমন করেই তৈরি করেছেন। তারপরেও কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দুঃখ- কস্টের সময় পাশে এসে দাঁড়ায়। দুঃখ- কষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত বড় কোন অস্র তাদের হাতে থাকে না। তাদের থাকে শুধু হৃদয় পূর্ণ ভালবাসা।
পেটের ব্যথা ভুলে থাকবার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে থ্রিলার জাতীয় কোন রচনায় মনোনিবেশ করা।
মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনেরা কথায় কথায় চাকরি খেতে চায়। চাকরি ছাড়া ওদের মুখে অন্য কিছু রোচে না।
আমাদের দেশের মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে,যে কাজগুলো তারা করতে পারবে না,সেই কাজগুলোর দায়িত্ব তারা সবচেয়ে আগ্রহ করে নেবে।
সমস্ত জীব-জন্তু ও পশু-পাখির জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে গিয়ে। মানুষের জন্যও এটা সত্যি। আমরাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি।
তুমি যখন কারো কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা শুরু করবে তখন পেছনে ফিরে তাকাবে না। পেছনে ফিরে তাকানোর অর্থ হলো মায়া নামক ভ্রান্তিকে প্রশ্রয় দেয়া।
হাতের রেখায় মানুষের ভাগ্য থাকে না। মানুষের ভাগ্য থেকে কর্মে।
যুক্তিবিদ্যা অতি দুর্বল বিদ্যা। সব দিকে এই বিদ্যা খাটানো যায়।
আমরা মুখে অনেক কথা বলি না,কিন্ত আমাদের শরীর বলে। মনের ভেতরের কথা শরীর প্রকাশ করে দেয়। আমাদের মন অনেক কিছু বলতে চায় না। কিন্ত শরীর বলে দেয়।
শৈশবে এক জ্যোতিষী আমার হাত দেখে বলেছিলেন,আমি ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারবো। তার গণনা কিন্তু এক অর্থে মিলে গেছে। এইসব দিনরাত্রি নামক ধারাবাহিক নাটকে আমি টুনিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছি। শুধু টুনি না,আমার উপন্যাসের অনেক চরিত্রকেও অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আমি কি করব? আমার হাতে লেখা।
যা পাওয়া যায়না তার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।
মানুষের কল্পনারও সীমা থাকে। আমার তো মনে হয় না কেউ কখনো কল্পনা করে সে উড়তে পারে। আকাশে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। কল্পনাকেও যুক্তির ভিতর থাকতে হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কল্পনাশক্তিও কমতে থাকে। একটা সময় আসে যখন মানুষ কল্পনা করেনা।
মহান সৌন্দর্যের মুখোমুখি হলে এক ধরণের তীব্র হাহাকার মনের ভেতরে আপনা-আপনি জন্মায়,সুন্দরের উৎস সন্ধানে ব্যাকুলতা জাগে।
একজন সাধুর সঙ্গে তুমি যদি কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে সাধু স্বভাব চলে আসবে। দুষ্ট লোকের সঙ্গে কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে ঢুকবে দুষ্ট স্বভাব।
মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।
বাংলাদেশ আর কিছু পারুক না পারুক,একদল পাগল ছেলে তৈরি করে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিয়েছে! যারা বাংলাদেশ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না।
একটা বয়স পর্যন্ত হয়তো মেয়েদের অকারণ অর্থহীন কথা শুনতে ভালো লাগে,তারপর আর লাগে না। এই মেয়েটি অকারণে কথা বলেই যাচ্ছে। মেয়েটার মনে গোপন কোনো টেনশন আছে কি? টেনশনের সময় ছেলেরা কম কথা বলে, মেয়েরা বলে বেশি।
মেয়েরা সাধারণত টিপ দেওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধানী হয়। টিপ এক পাশে হলে সংসারে সতীন জোটে- তাই বাড়তি সাবধানতা।
ছায়া ঢাকা ঘুঘু ডাকা’ গ্রাম তেমন পছন্দ হচ্ছে না। শহরবাসী হওয়ার এই এক সমস্যা। ভোরবেলা চায়ের কাপের সাথে পত্রিকা লাগে। ভালো বাথরুম লাগে। রাতে বই পড়ার জন্য টেবিল ল্যাম্পের আলো লাগে।
পুরনো জিনিস তো আবার ফিরে আসছে। পুরনো প্যাটার্নের গয়নাকে এখন খুব আধুনিক ভাবা হচ্ছে।
গ্রামের মানুষদের মধ্যে সবচে বেশি কথা বলে নাপিতরা। তারপরেই স্কুল শিক্ষকরা।
নামে কিছু আসে যায় না। আসে যায় কর্মে। যিশুখ্রিষ্টকে বিশুব্রিষ্ট ডাকলেও তাঁর যিশুত্ব কিছু মাত্র করবে না।
বস জাতীয় মানুষদের কাছে থেকে ভালো ব্যবহার পাওয়া যায় না। যখন পাওয়া যায় তখন মনে হয় কোথাও বোধহয় সমস্যা আছে।
পুলিশের চাকরির আসল মজা ইউনিফর্মে। দেখা মাত্র সবাই সমীহ করে তাকাবে।
বাঙালি অদ্ভুত এক জাতি। যাদের বিশ্বাস করে,তাদের সব কথা বিশ্বাস করে। তারা যদি বলে- চিলে কান নিয়ে গেছে-কান নিয়েছে কী নেয় নি যাচায় করে না। গালের পাশে হাত দিলেই বুঝবে কান এখনো আছে। জুলপির পাশেই ঝুলছে। তারপরেও দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটতে থাকে চিলের পেছনে।
ব্যবহার না করলে বুদ্ধি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তোমাকে যদি একমাস একটা ঘন অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়, একবারও যদি সেই ঘরে আলো না জ্বালা হয়,তাহলে একমাস পর দেখা যাবে তুমি চোখে কিছুই দেখছ না। তুমি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছ। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
বিশেষ কোনো ঘটনা সেলিব্রেট করার জন্য আছড়ে নারিকেল ভাঙ্গার প্রথা ছিল। পশ্চিমা দেশে নারিকেলের পরিবর্তে শ্যাম্পেনের বোতল খোলা হয়।
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই নিখোঁজ,তাই নয় কি? মানুষ জন্মের পর থেকে তার ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়,কিন্তু কেউ কি তার আসল ঠিকানা খুঁজে পায়,পায় না!
কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।
হে মানব সন্তান। তুমি তোমার ভালবাসা লুকাইয়া রাখিও। তোমার পছন্দের মানুষদের সহিত তুমি রুঢ় আচরণ করিও। যেন তোমার স্বরূপ বুঝতে না পারে। মধুর আচরণ করিবে দুর্জনের সঙ্গে। নিজেকে অপ্রকাশ রাখার এই প্রথম পাঠ
বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।
লজিক ব্যবহার করার ক্ষমতা সবার মধ্যেই আছে। বেশীরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করে না।
সাধারণত রূপবতীরা মানুষকে আকর্ষণ করে না – একটু দূরে সরিয়ে রাখে।
একজন ক্ষতিকর মানুষ সমাজের যতটা ক্ষতি করতে পারে । তার চেয়ে এক’শ গুন বেশী ক্ষতি করতে পারে সেই মানুষটির লেখা একটি বই।
প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে,মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়,সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল –শান্ত,ধীর,স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল –অশান্ত,অধীর, অস্থির”
মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে। যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।
এই পৃথিবীতে মূল্যবান শুধু মানুষের জীবন,আর সব মূল্যহীন।
মানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন। মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালবাসে।
মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালোবাসে। সে সারাক্ষণ চেষ্টা করে অসহায়ত থেকে মুক্তি পেতে।
আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।
রতিটি কষ্টকর অভিঞ্জতাই আমাদের জন্য নতুন শিক্ষা।
যে লাঠি দিয়ে অন্ধ মানুষ পথ চলে,সেই লাঠি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়। হাতের তসবি গলার মালাও হতে পারে।
গরম মাড় কিংবা গরম পানি কুকুরের গায়ে ফেলে আমরা বড় আনন্দ পাই। ব্যাথা যন্ত্রণায় সে ছটফট করে –দেখে আমাদের বড়ই ভাল লাগে। মানুষ হিসেবে সমগ্র পশুজগতে আমরা শ্রেষ্ঠ,সেটা আবারও প্রমাণিত হয় !!
ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে ।
বিরাট খোলা মাঠে একা থাকা যায়,কিন্তু ছোট্ট একটা বাড়ীতে একা থাকা যায় না।
বলা হয়ে থাকে,সৈনিকদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। এটা ঠিক না। তাদের বুদ্ধি থাকে বুট জুতায়। যখন তারা বুট পরে তখন তারা বুদ্ধিশূন্য মানুষে পরিণত হয়। তখন তাদের বুদ্ধি চলে যায় বুট জুতায়।
আমাদের সমাজটা এমন যে বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারনে পেতে হয় ।
ইউনিভার্সিটির মেয়েরা মাথায় ঘোমটা দেয় শুধূ আজানের সময়।
একঘে’য়ে কোন আকর্ষণই আকর্ষণ থাকে না। মায়ের প্রতি মানুষের অন্ধ ভালবাসা ফিকে হয়ে আসে একঘে’য়েমীর জন্যেই।
কাগজে কলমে করা নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবে ভেস্তে যায়। তুচ্ছ কারণেই ঘটে। A kingdom is lost for a nail
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক!
Human Ahamed Bani Pic
মানুষকে তোমার মনের দুর্বলতা বুঝতে দিওনা,কেননা মানুষ তোমার মনের দুর্বলতা জানলে তা নিয়ে খেলা করতে আনন্দ পাবে ।
যদি ভালো পেনসিল হতে না পারো,কারো সুখের গল্প লিখার জন্য তাহলে ভাল রাবার হও। যেন তার দুঃখ মুছে দিতে পারো।
বুদ্ধিমতীরা নিজেকে ভালোবাসে অন্য কাউকে ভ৪লোবাসতে পারে না। ভালোবাসার ভান করে।
আমরা স্বপ্ন পূজারী তাই সর্বদা স্বপ্ন গড়ি। একটা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আবার নতুন একটা স্বপ্ন গড়ি এভাবে চলতেই থাকে।
কিছু মানুষ জীবনে আসে ক্ষনিকের জন্য,হঠাৎ চলে যায় ঘুর্নিঝড়ের মত,ধ্বংস করে দিয়ে যায় মনের ঘরবাড়িকে।
পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়। চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।
হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই,কি যেন নাই……
একটা মেয়ের জন্য তোমাকে পারফেক্ট হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই,কারন মেয়েরা কখনোই পারফেক্ট ছেলেদের সাথে প্রেম করে না ।
স্বপ্ন টা কেমন ছিল,তা ঘুম ভাঙ্গার পর বুঝা যায়। ঠিক তেমনি কাছের মানুষ কেমন ছিল,তা শুধু হারিয়ে যাবার পর বুঝা যায়।
রাত্রি কখনও সূর্যকে পায় না,তাতে ক্ষতি নেই। কারণ সে পেয়েছে অনন্ত নক্ষত্রবীথি।
যার রাগ বেশি সে নিরবে অনেক ভালোবাসতে জানে,যে নিরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি,আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্ট অনেক বেশি।
সব সৌন্দর্যে ব্যাখ্যাতীত কিছু ব্যাপার থাকে। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝেছিলেন বলেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে বলেছেন-বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।
যারা সুখী হয় তাদের মধ্যে সুখী হবার বীজ থাকে। জল,হাওয়া এবং ভালোবাসায় সেই বীজ থেকে গাছ হয়।
সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়। মন বড় করে।
সত্য কথাগুলো সব সময় বক্তৃতার মতো শোনায়,মিথ্যাগুলো শোনায় কবিতার মত।
সুট-টাই পরা মানুষ অবশ্যি নরম স্বরে কথা বলতে পারে না। আপনাতেই তাঁদের গলার স্বরে একটা ধমকের ভাব চলে আসে। অবশ্যি স্যুট পরা মানুষ মিনমিন করে কথা বললে শুনতেও ভালো লাগে না। তাদেরকে ঘর জামাই মনে হয়। শ্বশুর বাড়িএ স্যুটে পার্সোনালিটি আসে না।
আমরা (বাংলাদেশের মানুষ) অতি দরিদ্র এই কথা সত্যি। দু’বেলা খেতে পারি না এও সত্যি। অভাবের কারণে জাল-জুয়াচুরি কেউ কেউ করে, এও সত্য- তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্যি আমরা আমাদের আত্মাকে হারাইনি। আমরা দুঃখে-কষ্টে জীবন-যাপন করি এবং এর মধ্যেই আত্মাকে অনুসন্ধান করি।খাঁচার ভেতর যে অচিন পাখি আসা-যাওয়া করে সেই পাখিটাকে বোঝার চেষ্টা করি।
ভোরবেলায় সমুদ্র দেখতে গেলাম। সমুদ্র দেখে হকচকিয়ে গেলাম। আকাশের মত বিশাল কিন্তু নিস্তব্ধ- প্রাণময়। এমন বিশাল এবং প্রায় জীবন্ত কিছু যে পথিবীতে থাকতে পারে তা ছেলেমানুষী কল্পনায় এর আগে কখনো আসেনি। সমুদ্রের তীব্র আকর্ষণ ক্ষমতা আছে। সে সারাক্ষণ ডাকে,আয় আয়- কাছে আয়।
অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে,বুদ্ধি দিয়ে,আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।
ধুমপানও অভ্যাসের ব্যাপার। অভ্যাস না থাকলে সিগারেটের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসবে। আবার যারা অভ্যস্ত তারা পাগল হয়ে থাকে এই ধোঁয়াটার জন্য।
মানুষের সঙ্গে গাছের অনেক মিল আছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো,গাছের মত মানুষেরও শিকড় আছে। শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়, মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়। মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চুড়ান্ত মৃত্যুর দিকে।
প্রেম নিতান্তই জৈবিক ব্যাপার। নীলপদ্ম বলে একে মহিমান্বিত করার কিছু নেই।
মানুষ যখন বড় ধরনের কোন অন্যায় করে তখন সে বুঝতে পারেনা যে সে অন্যায় করছে। বুঝতে পারলে অন্যায়টা সে করতে পারত না। তখন তার কাছে অন্যায়টা ন্যায় মনে হয়। যখন সে অন্যায়টাকে অন্যায় বলে মনে করে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আমাদের একজন লেখিকা পশ্চিমা মিডিয়াতে অনেক প্রচার পেয়েছেন,তা সত্য। আমাদের কালচার ও ধর্মকে খাটো করে কেউ লেখা-লেখি করলে তাকে নিয়ে পশ্চিমারা মাতামাতি করতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে তিনি প্রচারটা পেয়েছেন।
হোটেলের মালিক বললেন,সাগরের হাওয়ায় মশা থাকে না,মশারি লাগবে না। তার কথায় বিশ্বাস করে ঘুমুতে গেলাম।দেখা গেল,মশা শুধু যে আছে তাই না,প্রবলভাবেই আছে। সমুদ্রের স্বাস্থ্যকর হাওয়ার কারণে মশারা সবাই স্বাস্থ্যবতী।স্বাস্থ্যবতীরা ঝাঁক বেঁধে এসে আমাকে কামড়াতে লাগল। স্বাস্থ্যবতী মশা বলার উদ্দেশ্য,স্ত্রী মশারাই মানুষের রক্ত খায়,পুরুষরা না। তসলিমা নাসরিন আবার যেন মনে না করে বসেন যে,আমি মহিলা মশাদের ছোট করার জন্য এই কথা লিখছি। এটা একটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
একটা মানুষ জগতের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছে,এটা অনেক বড় ব্যাপার। আনন্দ যজ্ঞে আমাদের সবার নিমন্ত্রণ। কিন্তু আমরা নিমন্ত্রণের কার্ড হারিয়ে ফেলি বলে যেতে পারি না। দূর থেকে অন্যের আনন্দ যজ্ঞ দেখি।
রুচির রহস্য ক্ষুধায়। যেখানে ক্ষুধা নেই সেখানে রুচিও নেই।
মানুষ মিথ্যা কথা বলে প্রয়োজনে এবং স্বার্থের কারনে।
সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্মগুলি হলো- প্রেম-ভালোবাসা। যেমন ধরো তুমি। তোমাকে পাঁচটি নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করেছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়োনি। আবার ধরো,একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হলো। মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে,সে কোনো দিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সব ক’টি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল।তুমি পদ্মগুলি নিলে,কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়েটি কিন্তু আর কারও প্রেমে পড়তে পারবে না। সে হয়তো একসময় বিয়ে করবে,তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করবে,কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না।
তার ডাক নাম হিমু। ভালো নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিমালয় নাম রেখেছিলেন যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মত হয়- বিশাল ও বিস্তৃত,কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্র বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা,সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌ পর্বতমালা,যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়।
অতি ভয়ঙ্কর যে গরল তাহাতেও অমৃত মিশ্রিত থাকে। অতি পবিত্র অমৃতে থাকে প্রাণসংহারক গরল। খাদ ছাড়া সোনা হয় না। গরল ছাড়া অমৃতও হয় না।
যে মানুষ নিঃশব্দে হাসে তাহার বিষয়ে খুব সাবধান। দুই ধরনের মানুষ নিঃশব্দে হাসে- অতি উঁচু স্তরের সাধক এবং অতি নিম্নশ্রেণীর পিশাচ চরিত্রের মানুষ।
বিয়ের কথা ঠিকঠাক হবার পর কোনো এক বিচিত্র কারনে মেয়েরা বাবার দিকে চলে আসে। অতিরিক্ত মমতা দেখায়। খানিকটা আহ্লাদীও করে।
মস্ত বড় কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে মেয়েদের চোখে সব সময় পানি আসে।
মেয়েরা তাদের অশ্রু অন্যদের দেখাতে চায় না,প্রিয়জনদের তো কখনোই না!
ইস্টার্ন সিমেট্রিতে অ্যানি নামের মেয়ের কবরের পাশে একজন বিদেশীর কবর আছে। তার গায়ে চার লাইনের একটি ইতালিয়ান কবিতা যার অর্থ অনেকটা এরকম-‘এখানে একজন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। তাকে শান্তিতে ঘুমুতে দাও।’ কবরটির পাশেই দুটি প্রকান্ড চেরি ফুলের গাছ। বসন্তকালে কবরটি সাদা রঙের চেরিফুলে ঢাকা পড়ে থাকে। বড় চমৎকার লাগে দেখতে।
সব মানুষের মাথায় আউলা গাছের বীজ পোঁতা থাকে। সেই বীজ থেকে ছোট্ট চারা বের হয়। চারা বের হওয়া মাত্র গাছ উপরে ফেলে দিতে হয়।
অতি বড়লোকদের ড্রয়িংরুমে এমন সব জিনিষ থাকে যা দেখে সুন্দর সময় কাটানো যায়।
বড় ধরনের বিপদের সামনেই একজন মানুষ অন্য একজনের কাছে আশ্রয় খুঁজে। তাই পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপদ আপদেরও দরকার আছে।
মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু।
দুঃখের কথা বারবার বললে দুঃখ কমে। সুখের কথা বারবার বললে সুখ বাড়ে। এই জন্যে দুঃখের কথা,সুখের কথা দুটোই বারবার বলতে হয়।
কিছু মানুষ ধরেই নিয়েছে তারা যা ভাবছে তাই ঠিক। তাদের জগতটাই একমাত্র সত্যি জগত। এরা রহস্য খুঁজবে না। এরা স্বপ্ন দেখবে না ।
বাংলাদেশে বেশীরভাগ সময় দুই জায়গার টেলিফোন নষ্ট থাকে-পুলিশের টেলিফোন এবং হাসপাতালের টেলিফোন।
বৃদ্ধ বৃদ্ধরাও জীবনের শেষ দিকে এসে পিকনিক জাতীয় ব্যাপারে খুব আগ্রহী হয়ে পড়েন।
অভাবী মানুষদের চোখ কেন জানি পশুদের মতো চকচক করে।
অতি সাধারন যে মানুষ তার চরিত্রেও অবাক হয়ে লক্ষ করার মতো কিছু ব্যাপার থাকে।
আমরা পৃথিবীতে আসি একা,পৃথিবী থেকে ফেরত যাই একা,কিন্ত পৃথিবীতে ঘোরাফিরা করি অনেককে নিয়ে।
এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই ।
রূপবতী মেয়েদের হাসি বেশীরভাগ সময়ই সুন্দর হয় না। দেখা যায় তাদের দাঁত খারাপ।
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।
পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না,শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই,তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।
তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার,বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না।
সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে,কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে,যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে|
অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর,অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়,সে তত ভাল মানুষ।
বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ,অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।
কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে,আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়!
সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে !
বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !
কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও,এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।
ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি |
মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।
প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।
মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক। সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু রাজীবনই চোর না,তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত ।
সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে,মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়-মানসিক কষ্ট।
মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।
বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে,বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।
Human Ahamed Quotes
চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে,তা-ই নিয়ম।
মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকে…ব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়…
লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।
বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।
মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।
মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ”–রোদনভরা এ বসন্ত ;কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায় তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা,ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় আর কিছু কিছু স্মৃতি –এক সময় পরিনত হয় —দীর্ঘ শ্বাসে
মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।
গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন l কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।
কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়,এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।
তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ,তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ।
সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের |
সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়,বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।
মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুত কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।
দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে!
যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই। একটি মুহূর্তই যথেষ্ট…
বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়,তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।
মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।
মানুষের স্বভাব হলো,কেউ যখন ভালোবাসে তখন নানান কর্মকাণ্ড করে সেই ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আবার কেউ যখন রেগে যায় তখন তার রাগটাও বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে।
ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।
শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না। তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে। এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায় ।
বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।
প্রিয় কবি হুমায়ুন আহমেদের এই অসম্ভব সুন্দর মন ছুঁয়ে যাওয়া বাণীগুলো আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ভালো থাকুন। ..
Thank You, Visit Again…
Tags – Bangla Bani