কালী পূজার নিয়ম
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন । আর এই তেরো পার্বনের মধ্যে সামনেই হলো কালীপূজা । দীপাবলির (Diwali) র রাতে বিভিন্ন জায়গায় ক্লাবে কিংবা বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়িতে মা কালীর আরাধনা করা হয় । তবে মা কালীর পূজার করার আগে সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি জানাটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তবে কালী যে শুধু এই সময়েই হয় তা কিন্তু নয় । অনেক পরিবারেই সন্তানের বিয়ের আগের রাতে কালী পূজা করা হয় । অনেকেই আবার মানত করে রাখেন । শোনা যায় প্রাচীন কালে অনেক ডাকাতের দল মা কালীর আরাধনা করে তারপর ডাকাতি করতে বের হতো । সে যাই হোক, আপনার জন্য রইলো মা কালীর পূজোর সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি । যা অনুসরণ করে পূজো করলে মা সন্তুষ্ট হবেন ।
কালী পূজা পদ্ধতি
তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মধ্যরাত্রে অর্থাৎ অমাবস্যার রাত্রে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে কালী পূজা করা হয়। এক্ষেত্রে মা কালীকে পশু রক্ত বা পশু বলি করে উৎসর্গ করা হয়। এছাড়াও লুচি প্রসাদ এবং নানা ফল ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ মতে মা কালীর পুজা দেখা যায় ।
আরো পড়ুন,
এক্ষেত্রে অনেক সময় জমিদার বাড়িতে ছাগ বা মহিষ বলি দেওয়া হতো এবং বর্তমানেও অনেক জায়গায় পশু বলির মাধ্যমে পূজার প্রচলন দেখা যায় ।পুরাকালে বা প্রাচীন সময়ে বিভিন্ন ডাকাতের দল নরবলির মাধ্যমে কালী পূজা করত বলে শোনা যায়। সাধারণত যে কোন পূজায় ভক্তি সহকারে করলে আরাধ্য দেবতা বা দেবী আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন।
Kali Puja Paddhati In Bengali
আরো পড়ুন,
যেহেতু মা কালী আদ্যা শক্তির দেবী অর্থাৎ শক্তি এবং সাহস অর্জন করার জন্য এই দেবীর পূজা করা হয় তাই কালী পূজার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হয়।
Kali Puja Niyom
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কালির দোয়াত কালী পূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পুজোর শুরু হওয়ার পূর্বে অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা কালির দোয়াত বা লিখনী দোয়াত দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করা হয়। স্বস্তিক অঙ্কন সম্পন্ন সম্পন্ন হলে দেবীর পূজা শুরু হয় ।বহুল আয়োজন বা ঘনঘটা করে অনুষ্ঠান করলে দেবী যে প্রসন্ন লাভ করেন তা কিন্তু নয় ।কালীপুজোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো জবা ফুল তাই কালীপুজোর ক্ষেত্রে মা জবা ফুল খুবই পছন্দ করেন অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসেবে অবশ্যই রাখতে হয় জবা ফুল। এছাড়াও আস্থা ভক্তি এবং শ্রদ্ধা সহকারে পূজা করা হলে মায়ের আশীর্বাদ অবশ্যই লাভ করা যায়। কালীপুজোয় অন্যতম প্রধান ভোগ হিসাবে সোম
রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কালী পূজার উপকরণ ও ফর্দমালা
সাধারণত মধ্য রাতে এই পূজা শুরু হয় এবং ভোররাতে এ পূজা সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত আরতি ,আহ্বান এবং পুষ্পাঞ্জলির দ্বারা এই পূজা সম্পন্ন করা হয় এছাড়াও অনেক সময় ধ্যান করতেও দেখা যায় । অনেক সময় ধ্যানের মাধ্যমে দেবী কালীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে আবাহন ও পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দেবী কালীর পূজা পদ্ধতি সম্পন্ন হয়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
জবা ফুল, চন্দন ,পুষ্প, ধূপ, দীপ ইত্যাদি কালী পূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন,