সেরা গভীর প্রেমের কবিতা 2023 – Govir Premer Kobita
ভালোবাসি প্রিয়
– জাহিদুল ইসলাম
তোমার শহরে আমি আসবো প্রিয়
তোমারই কারণে, তুমি মিলিয়ে নিও…
আমি আসবো প্রিয়,তোমার আখিযুগল দেখিতে
যে আখিতে আমার নামে হাজারো স্বপ্ন বুনিতে..
আমি আসবো প্রিয়, তোমার কন্ঠখানি শুনিতে
যেই কন্ঠে জেগেছিলো প্রেম, অবুঝ হৃদয়খানিতে..
আমি খুজে নিবো প্রিয়, তুমি শুধু অপেক্ষায় থাকিও
যখনই আমায় মনে পড়ে, প্রাণভরে আমায় ডাকিও…
তুমি স্বপ্নহারা হইয়োনা প্রিয় , তুমি ভালোবাসায় অন্যান্য
তোমায় ভালোবেসে আমি সবই পেয়েছি,হয়েছি আমি ধন্য…
তুমি ভরসা রেখো প্রিয়,আসবোই আমি তোমার কাছে
আমার হৃদয়ের ডায়রিতে,তোমার নামটিই লেখা আছে…
তুমি যেনোতেনো নও প্রিয়, তুমি আমার হৃদয়ের কম্পন
মন আকাশের সবটুকু নীল,ভালোবাসার আচ্ছাধন…
আরো পড়ুন,
তীব্র প্রেমের কবিতা
Loading...
চাঁদ
– রজতশুভ্র মজুমদার
এই ভাঁজ, ঊরু, এই বুক, এই নারীদেহ এক পুরুষ শরীরে লীন
মন বলে তবে কিছু নেই? নেই বুঝি?
রোজ রোজ শুধু এই খেলা কত দিন–
কত দিন বলো ভালো লাগে আর? অভাবী মনের ছায়াময় গলিঘুঁজি
কখনও চেয়েছ জানতে?
তীব্র বুকের গন্ধ ভুলে
কখনও লাজুক বকুলগন্ধ পেয়েছ আমাকে খুলে?
মন-কেমনের রাতে কি নিয়েছ কখনও আমার ঘ্রাণ?
পড়েছ কখনও আমার দু’চোখে ভালোবাসবার গান?
কখনও জেনেছ আমার কীভাবে রাত কাটে রোজ তোমার ভোগের পরে?
অথচ একটা ডাবল বেডের ঘরে
পাশাপাশি শুধু দেহ খেলাখেলি কিছু পরে দুটো লাশ
দুটো দিকে ঘুরে জবুথবু হলে মাঝে পৃথিবীর যাবতীয় সন্ত্রাস
চুপ হয়ে যায়, চুপিচুপি আমি উঠে জানলাটা খুলি —
অমনি কে যেন উঁকি মেরে বলে, ধিক!
বাকি রাতটুকু আমি কলঙ্কী আর সে আমার জ্যোৎস্নাবান প্রেমিক…
নিশি রাতের প্রেমের কবিতা
প্রেমের কবিতা খানি
– কৃষ্ণা সেন
নির্ঘুম রাত। চোখ রাখি বাতায়নে
দূরের আকাশে অজস্র নক্ষত্রমালা কথা বলছে সংগোপনে।
ওদের দেখে মনে হল একটা মিষ্টি প্রেমের কবিতা লিখি। কিন্তু কলম দিয়ে কবিতা
আসছে না।
আসছে না।
তবুও খাতা কলম কে নিয়ে বসেছি। হঠাৎ একটা রাত জাগা পাখি জানিয়ে গেল সেও জেগে
আছে।
আছে।
সুন্দর শিস দিয়ে ডাক দিয়ে গেল সাথীকে।
রাতটা নিঃসন্দেহে খুব মিষ্টি। এখন মিষ্টি বাতাস জানিয়ে দিচ্ছে ঋতুরাজের
উপস্থিতি। রাতে শুভ্র ফুলকলিরা বাতাসের সাথে ঠাট্টা-তামাশায় ব্যস্ত।
উপস্থিতি। রাতে শুভ্র ফুলকলিরা বাতাসের সাথে ঠাট্টা-তামাশায় ব্যস্ত।
কামিনী সৌরভে মাতোয়ারা। থোকা থোকা কাঞ্চন ফুল রূপের মাধুরী মিশিয়ে
জোৎস্না স্নাত।
জোৎস্না স্নাত।
রূপের মাধুর্য উপভোগ করছে রজনীগন্ধা। থোকা থোকা গন্ধরাজ পাড়ার দুষ্টু ছেলের
মতো ওদের সাথে খুনসুটি করছে।
মতো ওদের সাথে খুনসুটি করছে।
প্রকৃতির বুকে এ যেন এক প্রেমের কবিতা। কবিতার মুখ্য চরিত্রে চাঁদ। প্রকৃতির
এত প্রেমের সাক্ষী সে। তাই “চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে।”
এত প্রেমের সাক্ষী সে। তাই “চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে।”
হাওয়ার পাগলামি বাড়ছে।
মাতাল হাওয়ায় অপূর্ব প্রেমের হাতছানি।
জ্যোৎস্না ভেজা রাত্রির প্রকৃতিপ্রেম উপভোগ করতে করতে রাত বেড়ে গেছে
অনেকটাই।
অনেকটাই।
আশেপাশের বৃক্ষলতারাও এই প্রকৃতিপ্রেমের অংশীদার। চাঁদের আলোয় অবগাহন করে
ওরা খুব খুশি। তারাও চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
ওরা খুব খুশি। তারাও চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
“চঞ্চল মন আনমনা হয়
যেই তার ছোয়া লাগে।”
এ প্রেমের মাধুর্যই আলাদা। অতল গভীরতাই এর পরিপূর্ণ মাধুর্য।
সংগোপনে একান্ত হয় প্রকৃতির হৃদয়।
মন বলে ভালবাসি, ভালবাসি।
অনেক দূরে কানাইয়ার বাঁশি বাজে। কত রাধার হৃদয় উথালি পাথালি। তবু
বাঁশি বেজেই চলে যুগ যুগান্তে,
বাঁশি বেজেই চলে যুগ যুগান্তে,
দিক দিগন্তে।
ভেসে বেড়ায় বাতাসে বাঁশরীর সুর।
কেমন যেন নেশা জাগে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে।
ভোরের পশ্চিমাকাশে শুকতারাটা তখনও প্রভা ছড়াচ্ছে। সেও খুব খুশি প্রকৃতি
প্রেমের মাদকতায়।
প্রেমের মাদকতায়।
এদিকে ভোরের ঠাণ্ডা বাতাসে হাতে কলম নিয়ে, খাতার উপর ঘুমিয়ে পড়েছি আমি।
যখন চোখ খুললাম দেখি মিষ্টি প্রেমের কবিতা খানি আমার লেখা হয়নি।
কি আর করবো। মিষ্টি প্রেমের কবিতা খানি আমার আর লেখা হলো না। রয়ে গেল বাকি।
আরো পড়ুন,