রোজা রাখার নিয়ম – রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজার মাকরূহ
কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়
রাখা দরকার কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয় ?
রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
করলে, তাকে উক্ত রোজা কাযা করতে হবে এবং কাফ্ফারা দিতে হবে। কাফ্ফারার পরিমাণ
হলো একজন গোলাম আযাদ করা। তা করতে অক্ষম হলে একাধারে দু’মাস রোজা রাখতে হবে।
এতেও অক্ষম হলে ষাট জন মিসকীনকে পেট ভরে খাওয়াতে হবে।
কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি আসলে রোজা ভঙ্গ হবেনা।
স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ ?
বির্যপাত ঘটালে রোজা ভঙ্গ হবে। তবে স্বপ্নদোষ, বা রোগের কারণে বির্যপাত হলে
রোজা ভঙ্গ হবেনা।
নারীর রোজা ভঙ্গের কারণ
করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। স্বাভাবিক দুর্বলতার কারণে যেসব ইনজেক্শন নেওয়া হয়
অথবা যা খাদ্যের কাজ দেয়না, এমন ইনজেক্শন নেয়াতে রোজার কোন ক্ষতি হবেনা। যা
বর্জনীয: রোজা অবস্থায় যাবতীয় গুনাহ ও পাপের কাজ থেকে বিরত থাকা একান্ত
জরুরী।
রোজা ভঙ্গের কারণ দলিল সহ
বিরত থাকতে পারলনা, তাকে পানাহার থেকে বিরত রেখে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
(বুখারী)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেন, শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়।
বরং প্রকৃত রোজা হলো পানাহারের সাথে সাথে অনর্থক ও পাপের কাজ থেকে সম্পুর্ণরূপে
বিরত থাকা। রোজা থাকা অবস্থায় যদি তোমার সাথে কেউ ঝগড়ায় লিপ্ত হয়, তুমি
তাকে বল আমি রোজাদার! আমি রোজাদার! আমার সাথে ঝগড়া করোনা। (সহীহ ইবনে
খুযায়মা)