Premer Golpo – শেষ কান্না – প্রেমের গল্প – Bengali Love Story
Bangla Premer Golpo
আজ আরো বেশি মায়াময় লাগছে। আজকাল প্রিয়তা আমার সাথে একটু অন্যরকম ব্যবহার করছে।
আমার দিকে একটু অন্য রকম ভাবে তাকায়। কখনো যদি আমার চোখে চোখ পড়ে তাহলে লজ্জায়
মাথা নিচু করে ফেলে। অবশ্য এটা বয়সের দোষ। সময়ের সাথে সাথে এই দোষ কেটে যাবে।
আমি প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললাম,
বাংলা প্রেমের গল্প
স্বরটা আমার পরিচিত মনে হয় নি। হতে পারে ওদের বাসায় কেউ বেড়াতে এসেছে।
ডাক শোনার সাথে সাথে প্রিয়তা তড়িঘড়ি করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো…
ধরে পড়ানোর ফলে আমি ওদের পরিবারের একজনের মত হয়ে গেছি। আংকেল আন্টি যেকোন বিষয়
আমার থেকে পরামর্শ নেন আর তেমনি আমিও বিভিন্ন সময় উনাদের কাছ থেকে সাহায্য
সহযোগিতা নেই
নেই, দুইচোখে কাজল লেপ্টে আছে, ঠোঁটে লিপস্টিক নেই আর চুল বেণি করা। আমি
অবাক চোখে প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে বললাম,
Bangla Love Story
আর ব্রয়লার মুরগীর মতো সাদা টাইপের ফর্সা একটা মেয়ে বসে চা খাচ্ছে। মেয়েটাকে
ব্রয়লার মুরগী বলার অবশ্য কারণ আছে। মাত্রাঅতিরিক্ত সুন্দরী মেয়েরা
অনেকটা মন্ডার মতো হয়। মন্ডা যেমন একটা খেলে খুব ভালো লাগে কিন্তু কয়েকটা
খাওয়ার পর মাথাঘুরে বমি বমি আসে তেমনি অতি ফর্সা সুন্দরী মেয়েদের প্রথম দেখাতে
খুব ভালো লাগে কিন্তু কতক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ব্রয়লার মুরগীর মতো লাগতে থাকে।
এজন্যই তো কবিরা তাদের কবিতায় শ্যামবর্ণের মায়াবতী মেয়েদের জায়গা দিয়েছেন কোন
ফর্সা ব্রয়লার মুরগী জাতীয় মেয়েদের জায়গা দেন নি
জানালার পর্দা সব হতে হবে ধবধবে সাদা। তাহলে ঘুমানোর সময় মনে হবে আপনি নীল
আকাশের সাদা মেঘের উপর ঘুমাচ্ছেন
অনেক বড় পাপ করে ফেলেছি। আমি আংকেলকে তখন বললাম,
কথাটা বললো। দুইজন মানুষের পছন্দ এক হতে পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু দুইজনের কথা
বলার ধরণ এক হওয়া এটা আসলেই একটু অবাক হওয়ার মতো
চুপচাপ বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম….
কথা সেইম টু সেইম বললো। পরক্ষনেই নেহার মনে হলো ছেলেটা নিশ্চয়ই ওর বলা
কথাটা আড়াল থেকে শুনেছিলো। আর তাকে অবাক করার জন্যই এই কথাটা
বলেছে। এইসব ফালতু ছেলেদের নেহার খুব ভালো করেই চেনা আছে। ওদের কাজেই হলো
মেয়েদের নানা ভাবে চমকে দিয়ে আর রূপের প্রশংসা করে প্রেমের ফাঁদে ফেলানোর।
যেমনটা করছে ওর চাচাতো বোন প্রিয়তার সাথে। প্রিয়তাকে বলে কিনা সমরেশের দীপার
মতো লাগছে। কত বড় ধান্দাবাজ…
Premer Golpo In Bengali
দিয়ে বললো,
একধরনের লাল আলু) আর বেগুন নিয়ে এসো। মলা মাছের সাথে জাম আলু চিকন চিকন করে
কেটে অল্প কয়েকটা বেগুন দিয়ে হালকা ঝোল করে রান্না করলে তরকারি খুব মজা হয়। আজ
আমি নিজে এমন ভাবে রান্না করবো”
নিয়ে এসে পড়তে বসিস কেন?
বলছো?
প্রিয়তা তখন আমায় বললো,
করে কেমন জানি হয়ে গেছে। ছেলেদের সহ্য করতেই পারে না”
গেছে। যে বদরাগী মেয়ে কোন ছেলেই বেশিদিন টিকবে না
বাজারের ব্যাগটা দিয়ে বললো,
মাছ খুঁজে পেয়েছি।”
রান্না করবেন। দেখবেন খেতে খুব মজা লাগবে।
কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললাম,
কথা বলেছে। বুঝতে পারছি না তোমাদের দুইজনের কথাবার্তা গুলো এইভাবে মিলে যাচ্ছে
কেন”
না বলে প্রিয়তাকে নিয়ে পড়াতে মন দিলাম…
নেহা কেমন জানি ছটফট করছে। এই পিয়াস নামের ছেলাটার মাঝে সে শাহী নামের একজনকে
খুঁজে পাচ্ছে। এই পিয়াস ছেলেটা যদি শাহী হয় তাহলে সে কি করবে সে নিজেও জানে
না। শাহীর পছন্দের তিনটা বই হলো শরৎ চন্দ্রের পরিণীতা, সমরেশ মজুমদারের
গর্ভধারিণী আর নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেব। পিয়াসেরও যদি একই বই পছন্দের হয়
তাহলে আর কোন সন্দেহ থাকবে না যে এটাই শাহী
তাছাড়া ঢাকা শহরের তুই তো তেমন কিছু চিনিস না। তোর চাচা তোকে একা
যেতেও দিবে না”
Premer Golpo Lekha
নাকি কয়েকটা বই কিনবে”
আমায় হঠাৎ বললো,
পড়ে। বড় হওয়ার সাথে সাথে এইসব ভুলে যাবে। আসলে দোষটা আমার। ওর জন্মদিনে
ওকে আমি একটা সবুজ শাড়ি গিফট করে ছিলাম। সেই শাড়ি পাওয়ার পর থেকেই ও
ভাবতে শুরু করেছে আমি ওকে ভালোবাসি
পছন্দ করে। তাহলে প্রিয়তাকে ভালোবাসতে আপনার সমস্যা কি?”
হোক বাদ দেন। তা হঠাৎ নীলক্ষেত থেকে কি বই কিনবেন?
যেবই গুলো পড়লে আমার ভালো লাগবে”
আমার খুব প্রিয়
মধ্যেই ওর ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেলো। হুট করেই সে রিকশা থামিয়ে নেমে
গেলো। আমি বুঝতে পারছিলাম না হুট করে এইভাবে রাগার কি হলো। আমি তো আর
হুমায়ূন আজাদের বই পড়তে বলি নি। কিছু না বলে হুট করে অন্য একটা রিকশা নিয়ে চলে
গেলো। আমি পিছন থেকে অনেকবার ডাকলাম কিন্তু নেহা শুনলো না। আমি দাঁড়িয়ে
থেকে ভাবতে লাগলাম, এই মেয়ের নির্ঘাত মাথায় সমস্যা আছে…
সবাই আপুকে শ্রাবণী বলেই ডাকে ”
ছাদের কার্ণিশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে বললাম,
সুন্দর প্রেমের গল্প
কোন রিপ্লাই পাই নি
এতোটা খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো যে আমার কোন হুশ জ্ঞান ছিলো না। হাসপাতালে
ভর্তি ছিলাম ২১ দিন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তোমায় আর ফেসবুকে খুঁজে পাই
নি। তোমার কোন ফোন নাম্বার আমার কাছে ছিলো না যে তোমায় কল দিয়ে তোমার সাথে
যোগাযোগ করবো। আমার আইডির মতো তোমার ফেসবুক আইডিতেও তোমার কোন ছবি ছিলো না
তাছাড়া আমি যেমন তোমার কোন ছবি চাই নি তেমনি তুমিও আমার কাছে ছবি চাও নি। তাই
এতো কাছে থেকেও তোমায় চিনতে পারি নি”
নিজেও জানি না। বন্ধুরা যখন জানলো একবছরেও আমরা কেউ কাউকে দেখি নি, কখনো ফোনে
কথা বলি নি তখন বন্ধুরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে দিলো। আমি নাকি এক
নাম্বারের গর্দভ। ফেইক আইডির প্রেমে পড়েছি। আমি নিজেও তখন ভাবলাম
আসলেই আমি বোকা। আমি যেমন ফেইক নাম দিয়ে আইডি খুলেছি তেমনি হয়তো
তুমিও ফেইক নাম দিয়ে আইডি খুলেছো। তাছাড়া মেডিকেলে পড়ে একটা মেয়ে চিনে না
জানে না এমন কারো সাথে এতো কথা বলতে পারে না। তাই রাগে কষ্টে আইডি ডিয়েক্টিভ
করে দেই। তোমার কথা মন থেকে বের করে দিয়ে নিজের পড়াশোনায় মন দেই..
চাইলো তখন পিছন থেকে ওর হাতটা ধরে বললাম,
পড়তাম….
হাতটা এখনো শক্ত করে ধরে রেখে অনবরত কান্না করছে। আমি শ্রাবণীকে একবারও
কাঁদতে বারণ করি নি কারণ আমি জানি এটাই শ্রাবণীর শেষ কান্না। আজকের পর থেকে আমি
শ্রাবণীর চোখের জল ঠোঁটে আসার আগেই আমি তা মুছে দিয়ে ওর ঠোঁটে হাসি
ফোটাবো…
দিয়ে সবটা অর্জন করা সম্ভব,আপনার হাসি মাখা মুখটা যেকোনো পরিস্থিতী বদলে দিতে
পারে )