রহস্য রোমাঞ্চ গল্প – Rohoshyo Romancho Golpo – Bengali Thriller Story
রহস্য রোমাঞ্চ গল্প
প্রিন্সিপাল দেবদাস চ্যাটার্জী ও কলেজের বাকি ছেলে মেয়েরা সবাই খুব excited..
কেননা আজ এক বছর হতে চললো তাদের ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠান কিছু হয় নি সেরকম।
মোহিতবাবু, ইংলিশ বিষয়ের যিনি প্রফেসর ছিলেন তিনি অনুষ্ঠানের সকাল বেলায়
হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এই বছরেও অনুষ্ঠান হতো না। নেহাতই সৃজিত বাবু
মৃত্যুঞ্জয় বাবুকে নিয়ে প্রিন্সিপালের কাছে আবেদন করেছিলেন। আসলে ৫৮ বছরের
প্রিন্সিপাল বাবু মৃত্যুঞ্জয় বাবুকে নিজের ছেলের মতো ভালবাসেন। ইউনিভার্সিটিতে
আসার সময় নিজের স্ত্রীর হাতে করা খাবার তাঁর জন্য নিয়ে আসতেন। আসলে লাহিড়ী
বাবুর নিজের বলতে তেমন কেও নেই। সেই ছোট বেলায় তিনি মাকে হারিয়েছেন। আর এই
দু’বছর হলো তাঁর বাবা ও মারা গেছেন। নিজের একটা বোন থাকলেও তার বিয়ে দিয়ে
দিয়েছেন। আর উনি এখনো বিয়ে করেন নি। বয়স তার ২৯+ ।
করলে তিনি না বলতে পারেন নি মৃত্যুঞ্জয় বাবুর কথাকে। তাই আজকের এই অনুষ্ঠানের
সমস্ত ক্রেডিট মৃত্যুঞ্জয় বাবুর নিজের।
কাজ সামলাচ্ছেন। সব ছাত্র ছাত্রীরাও স্যারকে এই দু’দিন পেয়ে খুব খুশি।
করে যাচ্ছেন ফোনে, কিন্তু রিং হলেও তিনি ফোন ধরছেন না। লাহিড়ী বাবু ভাবলেন
হয়তো তিনি রাস্তায় আছেন।
লাগলো। কারণ প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ি থেকে ইউনিভার্সিটির রাস্তা খুব বেশি হলে
আধ ঘন্টার পথ।
চলেছেন। তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানা গেলো তিনি নাকি সকাল ৮ তেই বেরিয়ে
গেছেন।
থেকে বন্ধ। অনেক ডেকেও যখন কোনো লাভ হলো না তখন মৃত্যুঞ্জয় বাবু দরজা ভেঙে
দেখলেন প্রিন্সিপাল স্যারের নিষ্প্রাণ দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে।
রহস্য রোমাঞ্চকর গল্প
কিছুক্ষন সব নিস্তব্ধ !! সৃজিত বাবু বললেন, “call the police right now !!”
মৃত্যুঞ্জয় বাবু তখন ও নিস্তব্ধ পাথরের মত দাঁড়িয়ে। বলার আর বাকি নেই যে,
সেদিন আর অনুষ্ঠান শুরু হয়ে উঠতে পারে নি।
ডাক্তার বডি দেখে বলেন , ” প্রাথমিক ভাবে তো দেখে মনে হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক !!”
“প্রিন্সিপাল স্যারের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাক হলেও It’s a cold blooded Murder !”
তিনি বুঝলেন যে এটা হত্যা !!
হচ্ছে । ”
সেটা ভাবা উচিত নয়। ”
ওপর কিছু বলার কোনো সাহস নেই। কারণ তারা সবাই জানেন যে লাহিড়ী বাবু যখন একটা
কথা বলেন তখন সেটা পাথরের লেখার মত, যা কোনো দিনও মোছা যায় না …
রোমাঞ্চকর রহস্য গোয়েন্দা গল্প
বাড়িতেও জানানো হয়েছে। লাহিড়ী বাবু প্রিন্সিপাল স্যারের বাড়ি গিয়ে তাঁর
স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে এসেছেন। কিন্তু লাহিড়ী বাবু নিজেকে কিছুতেই
সান্ত্বনা দিতে পারছেন না। প্রায় এক ঘন্টা হতে চলেছে। ইউনিভার্সিটিতে যেন
শোকের ছায়া নেমে এসেছে ! যেখানে এই কদিন আনন্দের অবহাওয়া ছিল সেটা কয়েক ঘন্টার
মধ্যে শোকের দিনে পরিণত হয়েছে !!
করেছেন সেটা না জানা পর্যন্ত আমার শান্তি নেই সৃজিত বাবু…”
বুঝলেন যে স্যার এর মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয়?”
Bengali Thriller Short Story
ঢুকলাম তখন স্যার এর রুমের জানালা খোলা ছিল, সেটা লক্ষ্য করেছিলেন কি ? ”
ছিল..এদিকে দেখুন ঘরের জানালা খোলা। কাউকে দেখেছেন এসি চালিয়ে জানালা খোলা
রাখতে !
তার হার্ট অ্যাটাক আসে তবে তো তিনি জানালার পাশেই পড়ে যেতেন। কিন্তু সেটা হয়
নি। তিনি পড়ে ছিলেন জানালা থেকে প্রায় চার – পাঁচ হাত দূরে। তার মানে তিনি
কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন !
দেখেন নি। এত লুকিয়ে আসার কি ছিল বলতে পারবেন ?”
ও ঘাটা হয়েছে ।”
ফাইল পরপর বছর অনুযায়ী রাখতেন। কিন্তু সেখানে ওপরেই আছে ২০০২, ১৯৯৮, ২০০০
এভাবে সালের ফাইল ! ”
নিয়েছিলাম, যখন আপনারা পুলিশ আর অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে ব্যস্ত ছিলেন তখন ।
আর একটা কথা, স্যার এর চোখ গুলো জানালার দিকে তাকিয়ে বাইরে বেরিয়ে ছিল। এর
মানে তিনি তাঁর কাছে যে এসেছিল তাকে জানালা দিয়ে যেতে দেখেছেন। আর ঘর
ভেতর থেকে বন্ধ মানে, স্যারের কাছে যে এসেছিলেন সে স্যারের পরিচিত, কারণ দরজা
ভাঙার চেষ্টা সে করে নি। ”
ছেলে মেয়ে সকলে । সবাই মনে মনে এটাই ভাবছে, ” সত্যিই যেন গল্পের ব্যোমকেশ
বক্সী আর ফেলুদাকে একসঙ্গে দেখছে তারা !!”
মানুষটাকেই আজ যেন স্বচক্ষে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন !!”
আর লাহিড়ী বাবু ভাবছেন, ” You have to pay for this…the bloody Murderer !!