শীতের সকাল কবিতা – Shiter Sokal Kobita
শীতের সকালের কবিতা
—শীতের সকাল—
– রাশেদুল ইসলাম
আমি দেখেছি আজ শীতের সকাল,
শুনেছি মোরগের ডাক
আহা কি সুন্দর, কি ঢকাল
শুনেছি কলরব
আর দেখেছি পাখি ঝাঁক ঝাঁক!
শীতের সকাল কত সুন্দর হয়,
সে তো রাতের আঁধারের মত নয়!
সবখানে ছরিয়ে পরেছে আলো,
চারদিকে মলিন ওসনা কোথায় নেই কালো।
শিশির বিন্দু তে ভিজা ঘাস,
ঘরা ছেরে করে পাক পাক
কয়েক টা হাঁস —-
নিম ডালে কা কা করে “
নিরবে বসে দাঁর কাক!
আহা এমন সকাল দেখে যায় পরাণ ভরে।
আমি সকাল দেখেছি,,
সকাল দেখেছি —
তাই আজ সকালের চিত্র এঁকেছি!
ঘরের উঠানে রমনীর হাতে ঝাঁটা,
রসিয়া যায় কাঁধে টেনে ভার
চারদিক হৈ চৈ কত কি নিয়ে বাঁটা
সকলে ব্যস্ত যে যার মতই বসে নেই আর।
খেজুর গাছে পাতানো হাঁড়ি,
রসে রসে গেছে ভরে —
রসিয়া যায় ছুটে তার হয়েছে কাঁধ ভারী!
দু- হাতে তার ভার ধরে
কুয়াশার আড়ালে ঢেকেছে বাড়ি।
কৃষক ভাই ছোটে মাঠে,
ছাত্র ছাত্রী বসে শিক্ষা পাঠে!
জীবিকার লক্ষে ছুটে শ্রমিক যে যার পেশায়,,,
দুষ্ট লোক ব্যস্ত মাতাল হবার নেশায়।
আমি সকাল দেখেছি শীতের সকাল
আহা কি নিঝুম,
সকলের চলতি পথ সুরু
কারো চোখে নেই ঘুম!
গোঁয়ালে গোঁয়ালে ডাকে গরু,
রাখাল সন্ধানে খোঁজে তরু!
পায়ে পায়ে পথ হেঁটে —
কৃষক যায় লাঙ্গল নিয়ে মাঠে
ধান ক্ষেতে, আনন্দে মন মেতে।
সকাল হলো শীতের সকাল,
ব্যস্ত হলো সবে —-
যে যার মত ছুঁটছে বেতাল
এই জোয়ার মাতানো ভবে!
প্রকৃতির সুরু খেলা,
এই শীতের সকাল বেলা —-
বৃক্ষের শাখায় পাতায় নৃত্য
আর আকাশে রঙের মেলা বিচিত্র।
সূর্য ছুঁয়ে আছে যেনো হাসি,
মাঠে হাল, কোদাল নিয়ে ব্যস্ত চাষি!
জলে নদীতে স্রোতের ধারা,
জাল নিয়ে ব্যস্ত ওরা কারা!
জেলে ভাই জেলে ভাই?
ওরা ধরে মাছ ——
তাদের কোন শীত নেই গরম বার মাস।
আহা সকাল দেখেছি শীতের সকাল
ভোর বিদায়ী বেলায় —
কেউ থাকেনা ঘরে ঘুমে
চোখ মেলায় সবে চোখ মেলায়,
আর ব্যস্ত জীবন খেলায়।
শিশিরে ছুঁয়ে যায় কাশ বন,
মাতাল হয় আরো কবির মন!
তাই তো এমন সকাল দেখে
এই সকাল কে কবি নিলে লেখে!
সকালটা আজ বড্ড আমার ভালো লাগে !
শীতের সকাল–রোদের আভাস–হিমের পরশ;
আজকে তোমায় কাছে পাওয়ার সাধ জাগে l
সকালটা রোজ হতেই পারে মিষ্টি এমন !
নতুন গুড়ে–নবান ধানে–ঝরা পাতায় ;
দূর আকাশে শঙ্খচিলটা ওড়ে যেমন…..!
আসতে পারো দু’হাত মেলে মেঠো পথে !
আলতো ছুঁয়ে শিশিরকণা আলতা পায়ে ;
জড়িয়ে নেবো তোমায় দেখো, বুকের সাথে… !!
শীতের সকালের প্রেমের কবিতা
রোদ্দুর চুঁইয়ে
– প্রতাপ মণ্ডল
ভালোবাসা মোড়া থাক–
নরম রোদে, শীতের চাদরে ;
ভালোবাসা মোড়া থাক–
কিছু খুনসুটি আর আদরে।
ভালোবাসা সয় না অবহেলা
ভালোবাসা খানিকটা সাঁঝবেলা!
তুলসীমঞ্চে প্রদীপ জ্বলবে–
শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে।
ভালোবাসা খানিকটা মাঝরাত
সোহাগ-আদর আর–
মনজুড়ে অঝোরে জলপ্রপাত !
ভালোবাসা খানিকটা নরম ভোর
শিউলি ফুটবে, গন্ধ বেলাবে
তারপর, রোদ্দুর চুঁইয়ে সকাল।
এবার ভালোবাসা খানিকটা ব্যস্ত থাক
ঘামে জবজবে মুখ–
শাড়ির আঁচল জুড়ে কিছু সুখ,
ভালোবাসা দু’জনের মনে
ভালোবাসা দু’টো জীবনে
ভালোবাসা প্রবল. বর্ষায়
ভালোবাসা ভরা ভাদরে
ভালোবাসা মোড়া থাক–
নরম রোদে, শীতের চাদরে….
শিশির ভেজা সকালের কবিতা
“এক কাপ চা”
– সঙ্গীতা ঘোষ
শীতের হিমেল হাওয়ায় আমি তোমাকে চাই।
ঠোঁটে লেগে থাকা উষ্ণ পরশ হয়ে,
খবরের কাগজ হাতে নিয়ে,
কিংবা ঐ বেঞ্চে ঠেলাঠেলি করে বসে অনুভবী মন শুধু তোমাকে চায়।
সকাল বিকালের রোজ নামচার আলোচনায়,
রবিবারের আড্ডায়,
অথবা চিন্তার ঘনঘন শ্বাসে মন শুধু তোমাকে চায়।
অফিসের ব্যাস্থতায় ক্লান্ত শরীর, মানসিক যন্ত্রনায়, খরা তাপ, প্রচন্ড শীত
অথবা প্রবল বর্ষনে পিয়াসী মন শুধু তোমাকে চায়।
অথবা প্রবল বর্ষনে পিয়াসী মন শুধু তোমাকে চায়।
আমার অন্তরঙ্গের সাথী হয়ে,
দুধে লিকার পরিপূর্ণ এক কাপ চা হয়ে,
আমার সতেজতা আর ভালোবাসা হয়ে,
থেকো তুমি।।
শীতের সকাল নিয়ে কবিতা
**শীতকাতুরে**
– দেবারতি চন্দ রায়
কোথা থেকে এলো
এই শীতের হাওয়া ?
মন করে উসখুস
শুধু চায় খাওয়া।
ভেজ বা ননভেজ
ভাজা নানা রকমের ,
সাথে চা কফি আর
শুধু ওষুধটা হজমের।
শীতের এই সন্ধ্যায়
পিঠে পুলি পায়েসে
মন যদি খেতেচায়
আড্ডা ও আয়েসে,
তবু আজ নিরুপায়
ঠান্ডায়
জব্দ
জব্দ
কানপেতে শোনাযায়
হাড়ের ওই ঠকঠক শব্দ ।
কাঁপছে সকাল থেকে
থামবার নাম নাই
এই বুঝি ঝড়ে পরে
ভয় শুধু একটাই
।
।
ঝরেযদি নাও পরে
ভাঙবে তো নিশ্চই ,
সারাদিন ধরে যা
হৈহৈ আর
রৈরৈ।
রৈরৈ।
যদিও বা না ভাঙে
বেঁকেতবে যাবে আজ
তারপর কি হবে ?
ভেবে , মাথায় পরে বাজ।।
Tags – Bangla Kobita, Bengali Poem