যৌনতার গল্প (সেক্স Addiction) – Jounota Golpo
কারনে বাড়ি ফিরতে পারেনি।
দেখতে পাবে বলে, যে তাঁর বাকী জীবনের সুখ দুঃখের সাথি হবে, এখনও যে
সপ্তর্ষি ও অগ্নিমিত্রার পুরো জীবনটাই পরে আছে। শুরুর এই কয়েকটা মাস কে
জীবনের এক কালো অধ্যায় মেনে ভুলে যেতে চায় অগ্নিমিত্রা।
সপ্তর্ষি পাল সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক মাত্র ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে একজন সুস্থ,
সবল, দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন ছেলে।
আধিকারিক।
ছেলের পরিবারে অভাব বলতে কিছুই নেই।
লেগে গেলে , কথা এগিয়ে মহা ধুমধামে বিয়েটা করে নেয় সপ্তর্ষি।
অগ্নিমিত্রা কে ঘরের বৌ করে এনেছে তাঁরা ।
Jounota Kobita
কয়েক দিন থেকেই রুক্মিণী দেবী লক্ষ করছেন অগ্নিমিত্রার শরীরে কিছু পরিবর্তন,
শরীরের কোনো কোনো জায়গায় কালশিটে দাগ। হাঁটা চলাতে ও কেমন একটা ছাড়াছাড়া ভাব,
কিন্তু এমন ভাবে হাঁটাচলা কিন্তু করতো না অগ্নিমিত্রা। দেখলেই বোঝা যাচ্ছে তাঁর
কোনো একটা কষ্ট হচ্ছে।
শহরের নাম করা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তী হলো অগ্নিমিত্রা।
।
হচ্ছিলো, এবং তিনি লক্ষ্য করেন অগ্নিমিত্রার সাড়া শরীরে , বিশেষ করে
গুপ্তাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাৃঁকা ও ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন।
ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন।
চলাকালীন কিছু ঘটনা ডাক্তার রা জানতে পারেন কথায় কথায়। .
সপ্তর্ষি আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক হোলেও একজন ভয়ংকর যৌনাকাঙ্খী পুরুষ ছিলো ।
প্রতি রাতে ল্যাপটপ/ মোবাইলে পর্ণ সাইটে দেখা এক্সট্রা অর্ডিনারি সেক্স ভিডিও
গুলোতে দেখানো অত্যচার গুলো সে প্রয়োগ করত অগ্নিমিত্রার ওপর। মারধর,
সিগারেটের ছ্যাঁকা, তো রোজকারের ঘটনা ছিলো।
তৃপ্তিলাভ করতো সপ্তর্ষি।
উত্তেজক জিনিষ নিয়ে ভাবা। এটা একটা এডিকশান। দিন রাত শুধু এইও সবই মাথায় ঘোরা ,
সব সময়ই এর চিন্তা করা। অতিরিক্ত যৌনাচার এর জন্যেই এই রোগ।
বাড়ী থেকেই সপ্তর্ষিকে এরেস্ট করা হয়, নিজের স্ত্রীকে যৌন অত্যাচার করার
অপরাধে, আর কয়েকদিনের সাজার পর তাকে জেল থেকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো
মানসিক চিকিৎসার জন্য।
করেছিলেন, বাড়িতে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি , কারন তাঁরা বিশ্বাস করেনি
ব্যাপারটা।
যেমন যেমন বড়ো হতে শুরু করলো বন্ধুবান্ধবের সাথে পরে বড়োলোকি বাবার
বড়োলোক ছেলে কুসঙ্গে মিশতে শুরু করলো লেখা পড়ার সাথে চলতো নিষিদ্ধপল্লিতে
যাতায়াত, নীল-ছবি দেখা, আর কিছু পয়সার লোভ দেখিয়ে চলতো পথ কন্যাশিশুদের
ওপর যৌন্য অত্যাচার।
এই আরকি।
ছেলেদের ক্ষেত্রে “স্যাটাফোরিয়াসিস” নামে পরিচিত।
বিকৃত যৌনবোধ বা হাইপার সেক্স অ্যাডিক্সান। হরমনের ভারসাম্যহীনতা অনেকাংশে এর
জন্য দায়ী।
সময় সবাইকে বলতে পারে না। বড়ো হওয়ার পরে এটাই অনেকক্ষেত্রে যৌন বিকৃতি বা
সেক্সুয়াল ফেটিসিজমের কারন হয়ে ওঠে।
সপ্তর্ষি কে ছুটি করানোর পর ডাক্তার সরকার সপ্তর্ষির সামনেই অগ্নিমিত্রার সাথে
কিছু কথা বলেন। উনি বলেন ,
করুন। সে আপনার যত কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হোক না কেন, তার মধ্যে বিকৃত
যৌনতার বিন্দুমাত্র সন্ধান পেলে হয় তাকে কাউন্সিলিং করান, নয়ত প্রতিবাদ করুন।
চুপ থেকে সহ্য করবেন না। এদের ভেতরেই কখনো কখনো ধর্ষক লুকিয়ে থাকে।