‘অ”- তে অবাঞ্ছিত
– শশাঙ্ক
(প্রাপ্ত মনষ্কদের জন্য)
———————————————————
‘দাদা’ বলেই ডাকে চন্দ্রিমা,বিপ্লব বাবু’কে ..
আর বছর পঞ্চাশের বিপ্লব’বাবু ,নাম ধরে ডাকেন চন্দ্রিমা’কে ।
ঘরটা কেমন যেন আধমরা হয়ে শুকিয়ে মরছিল এতদিন ।
চন্দ্রিমা’র আসার পর থেকে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে..
মিষ্টি নূপুরের রিনিঝিনি মাতিয়ে রেখেছে পুরো বাড়িটাকে..
বছর ২৭’এর সুন্দরী মিশুকে মেয়েটি কত অল্প দিনেই বাড়িটাকে কেমন আপন করে ফেলেছে ।
‘কে বলে আজকাল’কার মেয়েরা নুতন জায়গায় গিয়ে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেনা?
চন্দ্রিমা তো দিব্বি সব কিছু একা হাতে সামলিয়ে নিচ্ছে”..
-চায়ের কাপ হাতে ভাবতে থাকেন বিপ্লববাবু..
–“সত্যি’ই অভীক’টা ভীষণ ভাগ্যবান..তা না’হলে চন্দ্রিমার মতো ডানাকাটা পরী ওকে
পছন্দ করে ফেলে ?”
*****************************************************************
–” এই যে স্যার ! কি অতো ভাবছেন? বলি চা’টা তো এবার শরবত হয়ে যাবে ! ”
দুষ্টু মিষ্টি কন্ঠ,সাথে একগুচ্ছ ফুলের সুবাসে ড্রয়িং রুম’টা উৎজীবিত হয়ে
উঠলো..
পাল্টা হাসিতে সম্মতি জানালেন বিপ্লব’বাবু..
চন্দ্রিমার চোখ দুটো অপূর্ব..,নেশায় ভরা একদম !
ছিম-ছাম শরীরে’র চঞ্চলতা চোখে পড়ার মতো । গায়ের রং দুধে আলতা বললে মোটেও
ভুল বলা হবেনা. .
–“ও ফিরবে কখন কিছু বলেছে? “
নিজেকে একটু সামলিয়ে,প্রশ্ন করলেন বিপ্লব’বাবু..
গালভরা অভিমানে চন্দ্রিমার উত্তর:,
–” দুর ! ওর কথা বলবেন নাতো !, বলেছিলো কিছুদিনের ছুটি নেবে.. তার তো কোনো
চিহ্নই দেখতে পাচ্ছিনা !”
— “তুমি একদম ভেবোনা চন্দ্রি ! আজ বাড়ি ফিরুক গাধা’টা ! দেবো আচ্ছা করে, আমার
একদম ভালো লাগছেনা । সামনের সপ্তাহ’তেই তোমাদের হানিমুনের ব্যবস্থা করে
দিচ্ছি.”
—-“ছিঃ ছিঃ ! দাদা,আমি কি তাই বললাম ?”
(মাথা নিচু করে উত্তর করলো চন্দ্রিমা,..
লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে তার মিষ্টি মুখখানি)..
–“আমি জানি,.আপনার ভাইয়ের কেরিয়ার’এর জন্য লড়তে গিয়ে নিজের দিকে দেখার
একমুহূর্ত সময় পাননি আপনি.. আমোদ আল্লাদ সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন..
খুব ইচ্ছে ছিল আমরা তিনজনে একসাথে কোথাও কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসবো ।”
বিপ্লববাবু অবাক হয়ে গিয়েছিলেন মেয়েটির কথা শুনে.. কত’ই বা সে চেনে সবাইকে? ,
তা সত্বেও কত’টা আপন করে নিয়েছেন তাঁকে মেয়েটি ।
প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমের গল্প
****************************************************************
যেদিন প্রথম অভীক চন্দ্রিমা’কে বাড়িতে এনেছিল,তাকে দেখে যেন হারিয়ে
গিয়েছিলো বিপ্লববাবু..
না জানি কেন, মাবাবা হারানোর বেশ কিছু বছর পর নুতন করে নিজেকে তার একা মনে
হয়েছিল..
সংসারের দায়-দায়িত্ব,ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ-খরচা সব কিছু একা হাতে সামলিয়ে
নিয়েছেন ,কেরানির টেবিলে বসে কলম পিষে, হাসি মুখে..
নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা,লালিত্যের কথা কোনোদিন’ও সেভাবে মাথায় আনেননি..
কিন্তু ইদানিং রাতের পর বিছানায়,ভীষণ গুমরে মরছেন যেন নিজের মধ্যে..
*****************************************************************
বর্তমানে একটি আই.টি কোম্পানিতে চাকরি করে তার ভাই অভীক.. সাত সকালে
বেড়িয়ে,সন্ধ্যের বেশ কিছুটা পর বাড়ি ঢোকে সে,,কখন’ও কখন’ও রাত হয়ে যায়
ফিরতে..
বিপ্লব’বাবুর কর্মস্থল অদূরেই..
প্রায়’ই ,ছুটির কিছুটা আগেই বেরিয়ে পড়েন আজকাল..
একটু বাজার হয়ে,সোজা চলে আসেন বাড়িতে..
চন্দ্রিমার সাথে মেতে ওঠেন অনাবিল আড্ডা’এ ।
কফি,স্ন্যাক্স’ আর দুই চামচ ঠাট্টা তামাশায়’ ,জমে যায় বিপ্লব’বাবুর
সন্ধ্যে’টা..
গল্প করতে করতে কখন’ও বিপ্লববাবু কিচেনে ঢুকে পড়েন, কথা বলার ছলে আপাদ মস্তক
আঁকতে থাকে চন্দ্রিমা’কে..
পাকা গিন্নীদের আঙ্গিকে যখন চন্দ্রিমা, আঁচল ঘুরিয়ে কোমর বেঁধে নিতো, তখন
অজান্তেই চোখ চলে যেত তার, ধবধবে নির্মেদ কটিদেশে.
বিন্দু বিন্দু ঘামে যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠতো কোমরখানি ..
নিজেকে সংযত করে ফিরে যেতেন ড্রয়িং রূমে বিপ্লব’বাবু ..
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন চন্দ্রিমার জন্য.. টিফিন বানিয়ে যখন চন্দ্রিমা
ঢুকতো.
তক্ষুনি যেনো নুতন করে প্রাণ ফিরে পেতেন বিপ্লব’বাবু..
প্রাপ্তবয়স্কদের বই
*****************************************************************
কোনো একদিন বিকালে’র পর ,চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছিলো বিপ্লব’বাবুর..
টাইট ফিটিংস ‘টি’ শার্ট ..
আর সাথে, থ্রি কোয়ার্টার জিন্স’এ যেন আগুন লাগাচ্ছিল চন্দ্রিমা.. .
কি আকর্ষণীয় লাগছে,দেহের ওঠা নামা গুলো !.
হাঁ করে গিলতে থাকে বিপ্লব. ..
–“একটু বেরোচ্ছি দাদা ! তাড়াতাড়ি ফিরবো”..
–” সেকি? একা ? কোথায় যাবে চন্দ্রিমা ?”
একগাল হেসে চন্দ্রিমা বলে–
” এই কাছেই, মার্কেটপ্লেসে.. আপনার ভাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছে,ওয়েট
করছে,দুজনে একসাথে ফিরবো..”
কথাগুলো যেন আহত করলো বিপ্লববাবু’কে ..
-“তাহলে আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যের জ্বালাময় নিঃস্বঙ্গতা ?”
না জানি কখন ফিরবে মেয়েটি ! সাথে তো অভীক’ও থাকবে..”
বসার ঘরে চুপচাপ আরাম কেদারায় বসে সিগারেট ধরালেন বিপ্লব বাবু..
কিছুতেই মন’টা কে শান্ত করতে পারছিলোনা সে, খড়-কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছিলো তার
শূন্য মন খানি ।
বারবার চন্দ্রিমার মুখ,.তার অঙ্গ-ভঙ্গি..মনে পড়ছিলো তার..
খোলা চুলে টোল ধরা গালে সেই অমায়িক হাসি ….,যেন প্রত্যাক্ষান করা অসম্ভব
।
ঠিক বেঠিকের উর্ধে উঠে নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না,বিপ্লব বাবু..
কি যেন ভাবতে ভাবতে ছাদে উঠে গেলেন..
দড়ি’তে মেলে দেওয়া চন্দ্রিমার শাড়ি’খানি বেসামাল হয়ে লুটিয়ে উড়ছে অনেকটা জায়গা
নিয়ে.
শাড়িটি আলিঙ্গন করলেন বিপ্লববাবু.
ঘ্রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন কোনো কিছুর..
হঠাৎ ! কলিংবেল’এর আওয়াজে ছন্দপতন ঘটলো বোধয়. ধড়ফড়িয়ে,শাড়িটি ছেড়ে,
থিক থিক করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলেন নিচে .
দরজা খুললেন..
ঢুকে এলো অভীক আর চন্দ্রিমা.
অভীক বললো —
-” দাদা ! আজ একসাথে খাওয়া দাওয়া করবো.অনেকদিন একসাথে ডিনার হয়না,
আজকের স্পেশাল মেনু :ফ্রায়েড রাইস উইথ স্পেশাল চিকেন মাঞ্চুরিয়ান ,সব শেষে
তোমার ফেবারিট মিষ্টি গোলাপজাম !”
রাগ দেখালেন বিপ্লব বাবু..–
—“না খিদে নেই, ভালো লাগছেনা একদম.”
এগিয়ে এসে চন্দ্রিমা তার হাত ধরে, একটা গিফ্ট প্যাক ধরিয়ে দিয়ে বললো,-
-“এখন’ও না” ?
-পাশ থেকে হেঁড়ে গলায় চিৎকার করে অভীক বলে উঠলো :
–” হ্যাপি বার্থডে বিগ ব্রাদার !!”
অবাক হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন বিপ্লব.
–“জানো দাদা ! থ্যাংক্স টু চন্দ্রিমা.. ওই আমাকে সকালে মনে করিয়ে
দিয়েছিলো..আমার তো খেয়াল’ই ছিলোনা .নিজে পছন্দ করে তোমার জন্য গিফ্ট কিনেছে
ও ”
বিপ্লববাবু’র মুখ দিয়ে কথা সরছিলোনা, চন্দ্রিমার দিকে তাকিয়ে,..কিছু বলতে
যাবেন,
কিন্তু….তার আগেই চন্দ্রিমা বলে উঠলো–
“একদম রাতে ঘুমানোর আগে গিফ্ট’টা দেখবেন.,এখন একদম না..।”
******************************************************************
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর,তিনজনে গল্প-গুজব সেরে নিজেদের ঘরের দিকে অগ্রসর হলো ।
দরজা ভেজিয়ে ,বিছানায় বসে চটপট গিফ্ট প্যাক’টি খুলে দেখলেন বিপ্লববাবু..।
‘গোল্ড প্লেটেড রিস্ট ওয়াচ’টি ‘একদম তার মনের মতোই হয়েছে..
আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিলো তার মনপ্রাণ,…
চন্দ্রিমা’কে ভীষণ রকম মিস করছিলো সে..
..কিছুকক্ষন গুম মেরে পরে রইলো বিছানায়, কিন্তু কিছুতেই ঘুম এলোনা..
ঘরে যেন এভাবে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো তার.
বেরিয়ে পড়লেন ঘর থেকে, হাওয়া খাওয়ার উদ্দেশ্যে ।
ছাদে যাওয়ার পথে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতেই..হঠাৎ মৃদু হাসির শব্দে, যেন আটকিয়ে
গেলো পা..
চন্দ্রিমার গলা,..
হাসির শব্দ …!
শব্দ’টা বাড়ছে আর কমছে …তার সাথে কি যেন একটা বলছে..
অভিকের গলাও আসছে,, কিন্তু খুব আস্তে ।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দিশা পরিবর্তন করলেন বিপ্লববাবু ।
কান পাতলো,আধখোলা জানালায়..
খুনসুটি আর উন্মুক্ত আদরের মিষ্টি শব্দে ঘর’টা ভরে উঠেছিল যেন,.
চন্দ্রিমার স্বর একটু উঠলো বোধয়…
“লাভ ইউ অভীক !,লাভ ইউ সোনা “
–“উফঃউফঃ আস্তে.. হ্হঃ !!” …
নিস্তব্ধ সব কিছুক্ষন …..অনাহুত শ্রোতা নিথর হয়ে শুনছিলো
সবকিছু..
—-“আঃ হ্হঃ ! ছেড়োনা আমাকে সোনা”….
চন্দ্রিমার আবেদন মাখানো,আবেগী কণ্ঠস্বর যেন পুড়িয়ে দিচ্ছিলো তিলতিল করে সাজানো
বিপ্লব’বাবুর অনুরাগের সম্পদ গুলিকে..
নূপুরের উদ্যম নড়া-চড়া, খুঁচিয়ে দিচ্ছিলো বিপ্লবের নির্মম ক্ষত গুলিকে.
–“মাগো!! ” ধ্যাত !!! আহ্হ্হঃ কুকুর একটা ! “
…লবনাক্ত জল গড়িয়ে পড়ছিলো বিপ্লববাবুর চোখের কোন বেয়ে..
চোখ মুছে; ফিরে আসতে যাবে, এমন সময় হঠাৎ….
অসাবধানতায়,পা লাগলো ফুল গাছের টব’টায়..
সিঁড়ির কোল ঘেঁষে পড়লো সেটি পরের সিঁড়ি’টায় ।
..বেশ জোরে শব্দ হলো !..
কোনোরকমে সেটিকে সরিয়ে ধড়ফড়িয়ে এক ছুটে নেমে, ঘরে এসে চুপচাপ শুয়ে পড়লেন
বিপ্লববাবু ।
****************************************************************
পরের দিন ..
সকাল হয়েছে অনেক্ষন…..
বিপ্লব’বাবুর আজ উঠতে কিছুটা দেরী হলো বোধয়..
গভীর রাত পর্যন্ত তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বিবেক আর মনের পারস্পরিক কোলাহল ।
খোলা জানালা দিয়ে অস্বস্তিকর রোদের ফুলকি
চোখে এসে বিঁধছে যেনো অনৈতিক ভাবে..
উঠে পড়লেন আধখোলা চোখে..
অভ্যেস মতো, ওয়াশরুমে ঢুকলেন..ধুয়ে নিলেন ক্লান্ত পরিত্যক্ত মনটাকে..আয়নায় বেশ
কিছুকক্ষন দেখলেন নিজের ভেজা ঝাপসা প্রতিবিম্ব’কে ।
গা মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন তোয়ালে জড়িয়ে..
______________________________________________
গল্পের শেষ পটভূমি….
বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে আছেন খবরের কাগজে মুখ গুজে বিপ্লব’বাবু ..মনে
চাপা উত্বেজনা ।
‘ কাল রাতের ব্যাপারটা ওরা সন্দেহ করেনি তো? “
পকেটে রাখা প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে রাখলেন..
উফঃ! আবার অস্বস্তি ! লাইটার’টি গেলো কোথায় ? মহা সমস্যা !
রিনিঝিনি নূপুরের শব্দ ..এগিয়ে আসছে শব্দ’টা !.. টান-টান হলো শরীরটা
তার .
খোলা চুল.. কপালে জ্বলজ্বল করছে লাল সিঁদুর.
চায়ের প্লেট’টা এগিয়ে দিলো চন্দ্রিমা ।
কাঁপা হাতে প্লেট’টা কোনোমতে নিলেন হারিয়ে যাওয়া অবুঝ মানুষ’টি ।
স্বাবলীল মিষ্টি হাসি’তে অভিনন্দন জানালো চন্দ্রিমা..
মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে বিপ্লব’বাবুর..
ফিরে যাচ্ছে চন্দ্রিমা ….
হাঁটার গতি যেন কিছুটা কমলো..
ঘাড় ঘুরিয়ে চোখে চোখ রাখলো মেয়েটি বিপ্লব বাবুর দিকে, ..
কোনো এক অব্যক্ত অপরাধ বোধে কাঁপছিলো বিপ্লবের দৃষ্টি.
এগিয়ে এলো চন্দ্রিমা..
বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যাচ্ছিলো ক্রমশ তার…
আস্তে-আস্তে এগিয়ে দিলো চন্দ্রিমা তার ডান হাত,…
চমকে উঠলেন বিপ্লব’বাবু !….
কোনোমতে লাইটার’টি দ্রুত হস্তগত করে, বুক পকেটে রাখলেন চন্দ্রিমার হাত থেকে ..
নির্ঘাত বেখেয়ালে শেষ রাতে পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিল..
দলা পাকানো উত্তেজনা নুতন করে গ্রাস করলো আবার তাঁকে..
চন্দ্রিমার মুখ’টা যেন গম্ভীর দেখাচ্ছে.., -সত্যি’ই কি তাই ?
নাকি সবটাই তার চোখের ভুল?
–ঘাড় নিচু করলো চন্দ্রিমা..
নিচু গলায় বললো —
–” বিপ্লব’দা ! এবার বিয়েটা সেরেই ফেলুন.”
মাথা নিচু করে রইলেন সেদিনের বিপ্লববাবু..
মিষ্টি নূপুরের রিনি ঝিনি শব্দ’টা আবার শোনা যাচ্ছে..
চোখ বুজে রইলেন বিপ্লব’বাবু..
শব্দ’টা ক্রমশ মৃদু হচ্ছে খোলা বারান্দায়…
আরও মৃদু ….মৃদু….আরও মৃদু….
সব নিস্ত্বব্ধ এবার ।
***********************************************************
প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন। ..
Thank You, Visit Again…