বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প – Basor Rater Romantic Golpo
বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
দেয়। পূর্ব দিকের এই জানালাটা অলির বড্ড প্রিয়, রোজ ঘুম থেকে উঠে আলতো সূর্যের
চুম্বন মুখে না মাখলে সারাটাদিন খারাপ যাবে বলে অলির মনে হয়। এইখানেই অলির
সামান্য বিলাসিতা, একটু নিজের সাথে আলাপন, তারপর ইঁদুর দৌড় ব্যস্ততা।
আজ অলির জন্মদিন, মনে মনে ৫টা বছর পিছিয়ে গেল অলি, নিজের অজান্তেই কয়েক
ফোঁটা জল নেমে এলো চোখ দিয়ে। বিয়ের আগের জন্মদিন গুলো কাটতো অরির সাথে। কী
পাগলামোটাই না করতো অরি এই দিনটাতে, রাত ১২টার সময় উইশ, সারাদিন ফোন, এইদিনটাতে
অরির প্রোফাইল পিকে থাকতো শুধু অলি। অরি, মানে অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে অলির
আলাপ ফেসবুকে। ফেসবুক থেকে বন্ধু, বন্ধু থেকে ভালোলাগা, ভালোলাগা থেকে
ভালোবাসা।
বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প ২০২০
day.’ চমকে ওঠে অলি, ‘তুমি? ‘
লাগবে তোমার? ‘
‘আবার? আবার শুরু করলে? রাজ্যের কাজ পড়ে আছে নীচে, ছাড়ো, ছাড়ো বলছি। ‘অলি দৌড়ে
নীচে নেমে যায়।
অনেকক্ষণ বুকে জড়িয়ে রাখে ডায়রি টা। নীচের ঘড়িতে ঢং ঢং করে তিনটে ঘন্টা পড়তেই
ঘোর কাটে অলির। ও মা তিনটে বেজে গেল, রাকেশকে ফোন করতে হবে তো।
অবহেলা, এতো অপমানের পরও অরির জায়গা টা এখন ও অরির ই আছে। ফাইনাল ইয়ারের শেষ
পরীক্ষার দিন কলেজের গেটে অরির পাক্কা চার ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা, চোখের
কোনের সেই অভিমান মাখা দৃষ্টি… ফোনটা আবার বেজে ওঠে অলির।
ওঠে।
গম্ভীর ভাবে বলে- ‘হঠাৎ ফোন করলে? ‘
অজুহাত দেখিয়েছিল অথচ অরি প্রতিষ্ঠিত একটা বেসরকারি অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মচারী
ছিল।অলি আজ ও ভেবে পায় না, কেন অরি তাকে সেদিন প্রত্যাখ্যান করেছিল, অলি একটু
মোটা বলে? সামান্য ঘরোয়া মেয়ে বলে? অলির একটা কিডনি অচল বলে? নকি একমাত্র
কারণ সেই ঘটনাটা….
বাসর রাতের রোমান্টিক প্রেমের গল্প
কিছু না বলে তাড়াতাড়ি নীচে যায়।
‘বাতের ব্যথা টা আবার বেড়েছে, একটু পা টা মালিশ করে দাও তো। পারবে তো? নাকি
মানে লাগবে? ‘
তোমার তো আবার মাটিতে পা পড়ে না।
সরকারদার মেয়েটা কী সুন্দর ছিল, রকু যে কী দেখে বিয়ে টা করলো, তাও যদি সতী হতে,
বিয়ের আগেই তো..’
মিচকেপোড়া মেয়েমানুষ কে একদম পছন্দ করি না আমি।’
আমি কিন্তু বিয়ের পর ও জিন্স আর টপ পরবো আর ওই শাঁখা, পলা, ওসব পরতে পারবো না
একদম।
গেট, অরির সাথে প্রথম দেখা, পুরানো আম বাগান, আর সেই ঘটনাটা.. অলির মাথা ঘুরে
যায় ভাবতেই।
গিয়েছিল তাই শর্টকাট অন্ধকার একটা রাস্তা বেছে নিয়েছিল অলি বাড়ি ফেরার
জন্য।
খেতে-টেতে দাও, দেখি একটু সেক্সি..’ বলেই তিনজন তিন দিক থেকে.. আর
ভাবতে পারে না অলি।
ফিরিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল।
নি, সারা শরীর জ্বরে পুড়ে গেলেও কোন চিন্তা হয় নি অরির। অরি -ফেসবুক, হোয়াটস
অ্যাপ সমস্ত জায়গায় ব্লক করে দিয়েছিল অলিকে।
বুঝতেই পারিনি, চলো নীচে চলো…’ কথা থেমে যায় কারণ তখন অলি রাকেশের দু বাহুর
বন্ধনে বন্দি। ‘কী হয়েছে অলি? আবার সেইসব ভাবছো? কতবার বারণ করেছি, বলেছি না
আমি তো আছি। ‘ অলি কিছু বলতে যাবে ওমনি ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট বন্ধ করে দেয় রাকেশ,
কানের কাছে মুখ এনে রাকেশ ফিসফিসিয়ে বলে,’ তোমার প্রিয় গোলাপে বিছানা সজ্জিত
রাণী, ফুলশয্যার দিন তো ফিরিয়ে দিয়েছিলে, আজ ও কি ফিরিয়ে দেবে? নাকি, আজ
আমাদের প্রথম ফুলশয্যা হবে?’
চক্ষু না চায়…”।।