250+ Best Love Quotes In Bengali (বাংলা ভালোবাসার কোটস)
Read 250+ Best Love Quotes In Bengali or, Bengali Love Quotes.
বাংলার শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার কোটস বা, ভালোবাসায় মাখানো কোটসের জন্য তৈরি করেছি আমরা Bengali Love Quotes এর এই বিশাল কালেকশন । আপনি কি Love Quotes In Bengali খুঁজছেন ? যদি আপনার উত্তর হয় হ্যা তবে, আপনি Bengali Quotes সেরা ঠিকানায় চলে এসেছেন । কারণ, শুধুমাত্র আমাদের এই ওয়েবসাইটেই রয়েছে 2000 বেশি সেরা সব বাংলা কোটস । জীবনের বিভিন্ন সময়ে আমাদের ভালোবাসার কিছু লাইন প্রয়োজন হয়ে পড়ে, সে প্রিয় মানুষকে ইমপ্রেস করতেই হোক, কিংবা মান -অভিমান ভাঙতে । সে যাই হোক, আপনি এই কোটসগুলোকে চাইলে Bangla Status হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারবেন….তো, চলুন শুরু করা যাক…
Romantic Love Quotes In Bengali
সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে
– হুমায়ূন আহমেদ
তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন
– কাজী নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam)
ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন?
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Rabindranath Tagore)
অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।
– হুমায়ূন আহমেদ ( Humayun Ahamed)
ভালবাসা যা দেয়, তার চেয়ে বেশি কেড়ে নেয় !
– টেনিসন ( Tension)
যৌবনে যার প্রেম হল না তার জীবন বৃথা
– শংকর
প্রেমহণি হৃদয় কী পদবাচ্য মুরুভুমিকে কি নন্দনকানন বলা উচিত?
– নজম নদভি
ভালোবাসাটা হচ্ছে একধরনের প্রতিজ্ঞা
– কৃষণ চন্দর
মিলন হইতে দেরী বরঞ্চ বিরহ ভাল, দেখিব বলিয়া আশা থাকে চিরকাল
– গোবিন্দচন্দ্র দাস
তোমার হৃদয়ের যতটা আমাকে দিতে পার তার বেশি তো আমি চাইতে পারি না
– ফিওদর দস্তয়োভস্কি
আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার ধর্ম কোন ভোগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ নেই। আমার ধর্মের ভিত্তি হল ভালবাসা এবং অহিংসা।
– মহাত্মা গান্ধী ( Mahatma Gandhi)
এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে
– হুমায়ূন আহমেদ ( Humayun Ahamed)
পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
– হুমায়ূন আহমেদ
কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।
– হুমায়ূন আহমেদ
গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।
– হুমায়ূন আহমেদ
চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।
– হুমায়ূন আহমেদ
বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
– হুমায়ূন আহমেদ
মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায়!
– হুমায়ূন আহমেদ
ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
– হুমায়ূন আহমেদ
ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট
– হুমায়ূন আহমেদ
বিশ্বের সবচেয়ে অজ্ঞেয় বিষয় তা বোধগম্য হয় না
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ভালো আছি, ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমাদের মধ্যে সবাই সব বড় কাজ গুলো করতে পারবে তানা, কিন্তু আমরা অনেক ছোট কাজ গুলো করতে পারি আমাদের অনেক বেশী ভালবাসা দিয়ে।
– মাদার তেরেসা (Mother Teresa)
পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)
ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই।
– হুমায়ূন আহমেদ
Bangla Love Quotes For Facebook
ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানেনা। মেয়েরা সত্যিকার ভালবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানেনা।
– সমরেশ মজুমদার ( Samaresh Mazumder)
ভালোবাসা হচ্ছে একধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে
– লুইস ম্যাকেন
ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনো নিষ্পত্তি হবে না।
– গেটো
ভালোবাসায় পতনের জন্য কোনোভাবেই আমরা মহাকর্ষ-অভিকর্ষকে দায়ী করতে পারি না
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
আরো পড়ুন, 100+ Best Bengali Quotes Of All Time
প্রেমের বেলায় ঘন্টার অনুপস্থিতিকে মাস, দিনের অনুপস্থিতিকে বছর ও অল্প সময়ের অনুপস্থিতিকে অনন্তকাল সময়ের অনুপস্থিতি বলে মনে হয়
– প্রবাদ
একজন নারী হয় ভালবাসে অথবা ঘৃণা করে, এছাড়া জানে না তৃতীয় কোন পন্থা
– পিউবিলিয়াস সিরাস
সুন্দরীদের বোকা বোকা কথাও স্বর্গীয় বাণীর সমতুল্য
– কৃষণ চন্দর
একমাত্র প্রেমেই বিয়েকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিয়ে হচ্ছে সেটাই, যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্রকৃত।
– লিও তলস্তয় ( Leo Tolstoy)
ভালবাসতে শেখ, ভালবাসা দিতে শেখ। তাহলে তোমার জীবনে ভালবাসার অভার হবেনা।
– টমাস কুলার (Thomas Coller)
যাকে ভালবাস তাকে চোখের আড়াল করোনা
– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Bankim Chandra Chatterjee)
একমাত্র ভালবাসা সারাতে পারে সব রোগ
– গতিয়ে
পাখিরা বাসা বাধে লতা পাতা দিয়ে, আর মানুষ বাধে ভালবাসা দিয়ে।
– মুঃ ইসহাক কোরেশী
মানুষের জীবন হলো একটি ফুল, আর ভালবাসা হলো মধুস্বরুপ
– ভিক্টর হোগো
ভালবাসা এমন একটি প্লাটফরম যেখানে সব মানুষ দাড়াতে পারে
– টমাস মিল্টন
ভালবাসা দিয়ে মরুভুমিতে ফুল ফোটানো যায়
– ডেভিসবস
ভালবাসা হৃদয়ের দরজা মুহুর্তেই খুলে দেয়
– টমাস মিল্টন
ভালবাসা হচ্ছে জীবনের বন্ধু
– জেমস হাওয়েল
ভালবাসার নদীতে জোয়ার ভাটা আছে
– জন হে
গভীর ভালবাসার কোন ছিদ্রপথ নেই
– জর্জ হেইড
Love Quotes In Bengali Image
যে ভালবাসে কিন্তু প্রকাশ করে কম সে ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রকৃত
– জর্জ ডেবিটসন
অন্ধভাবে কাউকে ভালবাসলে তার ফল শুভ হতে পারেনা
– কার্লাইল
ভালবাসা দিয়েই কেবল ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করা যায়
– আলেকজেন্ডার ব্রাকেন
ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
– কাজী নজরুল ইসলাম
সবকিছুর শুরু, মধ্য এবং অন্তই হচ্ছে প্রেম।
– নফডেয়ার
প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন
– কাজী নজরুল ইসলাম
প্রেম হল মানসিক ব্যাধি
– প্লেটো
বারবার একই ব্যাক্তির প্রেমে পড়া সার্থক প্রেমের নিদর্শন
– ব্রোটন
জীবনকে ঘৃণা কোরোনা ভালোবাসতে শেখো। ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে তোমার জীবনকে স্বর্গীয় সুষমায় উদভাসিত করে তালো।
– মিলটন
জীবনকে ঘৃণা কোরো না জীবন কে ভালবাসতে শেখো। ভালবাসা দিয়ে এবং ভালবাসা পেয়ে তোমার ক্ষণিক জীবন স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোল।
– জন মিলটন
বয়স ভালোবাসার মতো লুকিয়ে রাখা যায় না
– টমাস ডেক্কার
যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না
– মাদার তেরেসা
তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো
– লেলিন
পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুদ, যাকে তুমি সবচেয়ে বেশী ভালবাস সেই তোমার দু:খের কারন হবে।
– সমরেশ মজুমদার
ভালোবাসা যখন পরিতৃপ্ত হয় তখন তার মাধুর্য অনেক কমে যায়
– আব্রাহাম কাওলে
দিতে পারো একশ ফানুশ এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই
– হুমায়ূন আহমেদ
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি
– কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে- কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে। আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও- না কেন আমি বহন করিতে পারিব।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কোথাও কাউকে ছাড়া আটকে থাকেনা কোন কিছু কেবল তোমাকে ছাড়া বরফের স্তূপে, সম্পূর্ণ আটকে যায় আমার জাহাজ
– মহাদেব সাহা
ছেলেবেলার বন্ধুরা মেয়েদের ভালোবাসার মতই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ভাবতে অবাক লাগে একেক সময়। মনে হয় যে, বুঝি একরকম ভালোই। তাদের নির্মেদ দেহ আর নির্মেঘ মন নিয়ে কৈশোরের নিবিড় মাধুর্যে মিশিয়ে নিটোল মুক্তোর মতই চিরদিনের স্মৃতির মধ্যে অক্ষয় থেকে যায় তারা – পরে যে কখনও আর ফিরে দেখা দেয় না তাতে জীবনের মতই সুমধুর থাকে, পলে পলে দন্ডে দন্ডে অবক্ষয়ে টাল খায় না, ক্ষয় পায় না।
– শিবরাম চক্রবর্তী
মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা
– হুমায়ূন আহমেদ
ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টজগৎকে ভাসিয়ে দেয়
– হুমায়ূন আহমেদ
চমৎকার মেয়েগুলি এমন-এমন জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে মনে বলতে হয়, আহা, এরা কী সুখেই না আছে
– হুমায়ূন আহমেদ
অনেকদিন পর মেয়ে বন্ধুরা একত্রিত হলে একটা দারুণ ব্যাপার হয়। আচমকা সবার বয়স কমে যায়। প্রতিনিয়ত মনে হয় বেঁচে থাকাটা কি দারুণ সুখের ব্যাপার
– হুমায়ূন আহমেদ
ভালোবাসা যদি তরল পানির মত কোন বস্তু হত, তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমন কি হিমালয় পর্বতও
– হুমায়ূন আহমেদ
হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোতে। ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না, হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায়- তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল
– হুমায়ূন আহমেদ
আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর। বনানতে পবন অশান্ত হল তাই কোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর
– কাজী নজরুল ইসলাম
চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে ছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
মার্কা যদি হয় তোর লাল টুকটুকে ঠোঁট একা আমি দিতে রাজি – ১৬ কোটি ভোট
– প্রীতম আহমেদ
একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা
– হুমায়ূন আহমেদ
কখনো বাগান, কখনো দিগন্ত কখনো শ্রাবণ, কখনো বসন্ত আমি সেই তোমাকেই খুঁজি
– সংগৃহীত
যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।
– হুমায়ূন আহমেদ
ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।
– হুমায়ূন আহমেদ
এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভুল ভেঙ্গে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয়নাম – ভালোবাসা
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে এ জীবনের কলরব। কেবলই আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব – আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রেমের পরশে প্রত্যেকেই কবি হয়ে ওঠে
– প্লেটো
প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়
– স্পুট হাসসুন
ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ
– জর্জ চ্যাপম্যান
কোনো কিছুকে ভালোবাসা হলো সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া
– কনফুসিয়াস
যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন তখন আপনার জমিয়ে রাখা সব ইচ্ছেগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে
– এলিজাবেথ বাওয়েন
ভালোবাসা যখন অবদমিত হয়, তার জায়গা দখল করে ঘৃণা
– হ্যাভনক এলিস
তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে! যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে, পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে?
– জীবনানন্দ দাশ
অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে কই তাহার মত তুমি আমার কথা শুনে হাসো না তো। ধরার ও ধুলিতে যে ফাগুন আসে কই তাহার মত তুমি আমার কাছে কভু আসো না তো।
– হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
অভিমানী প্রেমিকা ভুলে যায় যে প্রেমিকেরও অভিমান হতে পারে
– সংগৃহীত
তোমারে লেগেছে এত যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে, রাতের বাসরে দোসর হয়ে তাই সে আমারে টানে।।
– কে. জি. মুস্তফা
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়…
– জীবনানন্দ দাশ
ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল,- ডালিম ফুলের মতো ঠোঁট যার রাঙা, আপেলের মতো লাল যার গাল, চুল যার শাঙনের মেঘ, আর আঁখি গোধূলির মতো গোলাপী রঙিন, আমি দেখিয়াছি তারে ঘুমপথে, স্বপ্নে-কত দিন!
– জীবনানন্দ দাশ
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে; পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে; পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু-জনার মনে; আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে
– জীবনানন্দ দাশ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন
– নির্মলেন্দু গুণ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা
– নির্মলেন্দু গুণ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, স্পর্শসুখে লিখা হবে অজস্র কবিতা
– নির্মলেন্দু গুণ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, শুধু একবার পেতে চাই অমৃত আস্বাদ
– নির্মলেন্দু গুণ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, তারপর হব ইতিহাস
– নির্মলেন্দু গুণ
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের’পর হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
– জীবনানন্দ দাশ
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন
– জীবনানন্দ দাশ
তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে রৌদ্রদগ্ধ হয়ে গেছে হৃদয়ের ঘন বনাঞ্চল বর্ষণ-অভাবে সেখানে দিয়েছে দেখা ব্যধি ও মড়ক, একমাত্র তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে এই গ্লানি এই পরাজয়
– মহাদেব সাহা
হিসাব নিকাস করে ব্যবসা হয়, ভালোবাসা হয় না
– সংগৃহীত
ভালোবাসা নিজেই তার ক্ষেত্রেবিচারের পথ করে নেয়
– টমাস মিডল্টন
ভালোবাসা রঙিন প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে ছন্দ তুলে যায়। কিন্তু চলে যাওয়া মাত্রই সেখানে এক বিবর্ন বিষণ্নতা নেমে আসে।
– জন ম্যান্সফিল্ড
সোনায় যেমন একটু পানি মিশিয়ে না নিলে গহনা মজবুত হয় না। সেইরকম ভালোবাসার সঙ্গে একটু শ্রদ্ধা ভক্তি না মিশালে সে ভালোবাসাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
– নিমাই ভট্টাচার্য
ভালোবাসাহীন কর্তব্যপালনে আনন্দ নেই
– জন ফ্লোরিও
আমি খ্যাতির পেছনে দ্রুত ছুটতে গিয়ে ভালবাসা হারিয়ে ফেলেছি
– এডমন্ড গুজ
ভালোবাসাহীন জীবন বোঝাস্বরুপ। একে নিয়ে যাওয়া দুর্বিষহ।
– জর্জ গ্যাবি
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা – তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার অভাব যদি তুমি বুঝতে না পার তবে তোমার সাথে আমার বন্ধন কখনো দৃঢ় হবে না
– কালস্যান্ডবার্গ
ভালোবাসার চোখকে ফাকি দেওয়া যায় না
– জন ক্রাউন
ধোয়া টাকা আর প্রেম কিছুতেই চেপে রাখা যায় না। ঠিক ফুটে বেরুবেই।
– শংকর
প্রেম একটি লাল গোলাপ
– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
ভালোবাসা দীন ভিখারিকেও রাজা করে
– নিমাই ভট্টাচার্য
স্বার্থসিদ্ধির চরমতম অভিব্যক্তি প্রেম
– ব্রুক জ্যাকসনস্বার্থ
লুকোচুরিই তো প্রেমের রোমান্স। প্রেম যেদিন স্বীকৃতি পেয়ে যায় সেদিন থেকেই প্রেমের মজাও নষ্ট হয়ে যায়।
– আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
ভালো লাগা ভালোবাসা নয়
– প্রবোধকুমার সাণ্যাল
যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।
– হুমায়ূন আহমেদ
দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা
– হুমায়ূন আহমেদ
মানুষকে ঘৃণা করার অপরাধে কাউকে কখনও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি, অথচ মানুষকে ভালোবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়ত হবে
– হুমায়ূন আহমেদ
বধু তোমার গরবে গরবিনী নাম রুপসী তোমার রুপে হেন মনে হয় ও দুটি চরণ সদা নিয়ে রাখি বুকে
– জ্ঞানদাস
ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে আর দীর্ঘ বিচ্ছেদ প্রেমকে হত্যা করে
– মিরবো
মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে।। মুক্তি মেলে না সহজে জড়ালে হৃদয় কোনো ঋণে।।
– সংগৃহীত
কে তুমি আমারে ডাকো অলখে লুকায়ে থাকো ফিরে ফিরে চাই দেখিতে না পাই
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
মনে তো পড়ে না তবুও যে মনে পড়ে হাসিতে গেলেই কেন হৃদয় আঁধারে ভরে সমুখের পথে যেতে পিছনে টানিয়া রাখো
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
আরো পড়ুন, সর্বকালের সেরা বাংলা বাণী
নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাস্ বাতাসে নিশি রাত – বাঁকা চাঁদ আকাশে চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাসে, বাতাসে
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
এ জীবনে যতটুকো চেয়েছি মন বলে তার বেশি পেয়েছি, পেয়েছি
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
যদি হিমালয় আল্পসের সমস্ত জমাট বরফ একদিন গলেও যায়, তবুও তুমি আমার যদি নায়াগ্রা জলপ্রপাত একদিন সাহারের কাছে চলেও যায় তবুও তুমি আমার
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
যদি প্রশান্ত মহাসাগরে একফোটা জল আর নাও থাকে যদি গঙ্গা-ভলগা-হোয়াংহো নিজেদের শুকিয়েও রাখে যদি ভিসুভিয়াস-ফুজিয়ামা একদিন জ্বলতে জ্বলতে জ্বলেও যায় তবুও তুমি আমার
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
যদি পৃথিবীকে ধ্বংস করতে একদিন তৃতীয় মহাযুদ্ধও বাঁধে যদি নিভেও যায় কোনদিন যতটুকু আলো আছে ওই সূর্য আর চাদেঁ যদি সাইবেরিয়ার তুষারে কখনও সবুজ ফসল ফলেও যায় তবুও তুমি আমার
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু।। কোন রক্তিম পলাশের স্বপ্ন মোর অন্তরে ছড়ালে গো বন্ধু
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
আমলকি পেয়ালের কুঞ্জে, কিছু মৌমাছি এখনো যে গুঞ্জে জানি কোন সুরে মোরে ভরালে গো বন্ধু
– গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
এমন সময় সেই পায়ের মৃদু চাপ। সব সংশয়ের অবসান, সব দুঃখ অন্তর্ধান
– সৈয়দ মুজতবা আলী
সমুখে রয়েছে সুধা পারাবার নাগাল না পায় তবু আঁখি তার কেমনে সরাব কুহেলিকার এই বাধা রে
– সৈয়দ মুজতবা আলী
তুমিই শুধু ভালোবাসা রাখতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে অসাবধানে ভালোবাসা ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে…
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলে জাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।।
– কাজী নজরুল ইসলাম
যে প্রেমিক সাহস-মাতঙ্গপরি চড়ি সহিষ্ণুতা দৃঢ়বর্মে সর্বাঙ্গ আবরি, নির্ভয়ে প্রবেশে প্রেম-বিপিন মাঝার, নিরাশা-কন্টক নাহি ফুটে দেহে তার; বিরহ-শার্দুল নারে গ্রাসিবারে তায়, প্রিয়-প্রেম-সুখ-মৃগ দরিতে সে পায়
– কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
আমি মস্তিস্কের সমস্ত জানালা খুলে দাঁড়িয়ে রয়েছি, কেউ আসছে না। না রোদ, না পাখির নেকলেস। কেবল উত্তর পাহাড়ের হিম, ঠান্ডা হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে ব্যথিত চিবুক
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বিস্মৃতির বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে রয়েছি একা, কেউ আসছে না। না স্বপ্ন, না ঘুম, কেউ নয়। আঁধারপুরের বাস কতোদূর থেকে তুমি আসো?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টি নীলপদ্ম! তবুও কথা রাখেনি বরুনা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে-কোনো নারী!
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’। এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে, অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়, আমি নখাগ্রে দেখাবো প্রেম, ভালোবাসা, বক্ষ চিরে তোমার প্রতিমা। দেয়ালে টাঙ্গানো কোন প্রথাসিদ্ধ দেবীচিত্র নয়, রক্তের ফ্রেমে বাঁধা হৃদয়ের কাচে দেখবে নিজের মুখে ভালোবাসা ছায়া ফেলিয়াছে
– নির্মলেন্দু গুণ
এরকম উন্মোচনে যদি তুমি আনুরাগে মুর্ছা যেতে চাও মূর্ছা যাবে,জাগাবো না,নিজের শরীর দিয়ে কফিন বানাবো
– নির্মলেন্দু গুণ
‘ভালোবাসি’ বলে দেব স্ট্রেটকাট, আবার যখনই দেখা হবে
– নির্মলেন্দু গুণ
তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি, তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই যতোই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই ততো মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
– মহাদেব সাহা
আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে, দেখি দেখি বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো; ইস্! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি, ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই
– হেলাল হাফিজ
ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’ মন না দিলে ছোবল দিও তুলে বিষের ফণা
– হেলাল হাফিজ
তোমার জন্য সকাল, দুপুর তোমার জন্য সন্ধ্যা তোমার জন্য সকল গোলাপ এবং রজনীগন্ধা
– হেলাল হাফিজ
কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,- ‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’, যাবে?
– হেলাল হাফিজ
আছি। বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে, – আছি, মনে ও মগজে গুন্ গুন্ করে প্রণয়ের মৌমাছি
– হেলাল হাফিজ
আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো, ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়িটা তোমার পড়ে এসো
– হেলাল হাফিজ (Helal Hafiz)
কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তি নয় কোনো প্রাপ্তির দেয় না পূর্ণ তৃপ্তি সব প্রাপ্তি ও তৃপ্তি লালন করে গোপনে গহীনে তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা
– হেলাল হাফিজ
তারপর ফেরে, তবু ফেরে, কেউ তো ফেরেই, আর জীবনের পক্ষে দাঁড়ায়, ভালোবাসা যাকে খায় এইভাবে সবটুকু খায়
– হেলাল হাফিজ
ভালোবাসা মানে, শেষ হয়ে যাওয়া কথার পরেও মুখোমুখি বসে থাকা
– রফিক আজাদ
আমর দু’জন দেখি ব’সে ব’সে আকাশ কত না নীল, ছোট পাখি আরো ছোট হ’য়ে যায়- আকাশের মুখে তিল সারাদিন গোলা, সূর্য লুকালো জলের তলার ঘরে, সোনা হ’য়ে জ্বলে পদ্মার জল কালো হ’লো তার পরে
– বুদ্ধদেব বসু
সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটে ওঠে- এবার নামাও পাল গান ধরো, মাঝি; জলের শব্দ ঝুপঝুপ দেবে তাল। ছোকানুর চোখ ঘুমে ঢুলে আসে- আমি ঠিক জেগে আছি, গান গাওয়া হ’লে আমায় অনেক গল্প বলবে, মাঝি?
– বুদ্ধদেব বসু
পথে চলতে পথ চলতে কখনো পিছু থমকে। বার বার শুধু ফিরে চাওয়া বার বার একই গান গাওয়া এটাই বোধ হয় ভালোবাসা এটাই বোধ হয় প্রেম।।
– সংগৃহীত
কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে, “চলো”, যেদিকে দু’চোখ যায় চলে যাই, যাবে?
– হেলাল হাফিজ
আমি তোমাদের ভালোবাসায় না গিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, কারন যুদ্ধে তুমি হয় বাঁচবে না হয় মরবে, কিন্তু ভালোবাসলে না পারবে বাঁচতে না পারবে মরতে
– আডলফ হিটলার
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়
– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর থেকে আইছিলো চান্দের ওই বুড়ি , দক্ষিণ থেকে আইছিলো হাওয়ায় উড়া শাড়ি , তোমার সাথে বন্ধু হবে নাকো আড়ি
– পথের দল
আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমার দুচোখে এক অস্পষ্ট স্বপ্নের ছায়া, তুমি ভেসে যাও, ভেসে ভেসে চিনে নাও দূরবর্তী কূলের ঠিকানা, অথবা নিজের মুখ দ্যাখো তুমি নিসর্গে, নির্জন আয়নায়
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তবু মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, আমি বেঁচে থাকতে চাই আমি ভালোবাসতে চাই, পাগলের মতো ভালোবাসতে চাই – এই কি আমার অপরাধ !
– মহাদেব সাহা
মহাদেব সাহা
প্রেমপত্র ভালোবাসা দিবস প্রেমিকা অপরাধ প্রেমিক প্রেম ভালোবাসা ভালোবাসি অপেক্ষা প্রেরণা
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার কথা ছিলো – আসা-যাওয়ার পথের ধারে ফুল ফোটানোর কথা ছিলো সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না; আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত শুধু হাহাকার শুধু শূন্যতা, শূন্যতা
– মহাদেব সাহা
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো, সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না – আজ সারাদিন বিষাদপর্ব,সারাদিন তুষারপাত… মন ভালো নেই, মন ভালো নেই
– মহাদেব সাহা
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে- জীবন সুন্দর আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম। তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
পুষে রাখে যেমন কুসুম, খোলসের আবরণে মুক্তোর ঘুম। তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ভালোবাসা, অর্থ ও পুরস্কার আদায় করে নিতে হয়
– নির্মলেন্দু গুণ
তুমি প্রেমের কলিংবেল টিপে এসে দাঁড়ালে সংশয় সন্দিহান আমি দরোজা খুলেই সরাসরি তোমাকে এনে বসিয়েছি হৃদয়ে। বুকের একান্ত বেডরুমে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হাসো ঐ বোকা ছেলেটিকে নিয়ে যে তোমাকে ভালবেসে অসহায়
– পাবলো নেরুদা
অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান যেন ভুলে যেওনা। একি বন্ধনে বাঁধা দু’জনে এ বাঁধন খুলে যেওনা।।
– ড. মোঃ মনিরুজ্জামান
আমি যার শিয়রে রোদ্দুর এনে দেবো বলে কথা দিয়েছিলাম সে আঁধার ভালোবেসে রাত্রি হয়েছে । এখন তার কৃষ্ণ পক্ষে ইচ্ছের মেঘ জোনাকির আলোতে স্নান করে, অথচ আমি তাকে তাজা রোদ্দুর দিতে চেয়েছিলাম
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
এইভাবে এই শূন্য করতলে আমি কি তোমায় লিখেছিলাম তোমার একান্ত নাম ভালোবাসা, কুয়াশার বিনিদ্র শিশির!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমাকে অনুবাদ করেছি স্বপ্নে। তোমাকে অনুবাদ করেছি তৃষ্ণায়। তোমাকে অনুবাদ করেছি উদাসিনতায়।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
কতোখানি ডাক শুনে ছুটে যায় এই মুগ্ধ মানুষ অভ্যন্তরে কতোখানি উৎসবে সব পথ ভেঙে একখানা পথ শুধু একখানা ঘর জেগে ওঠে মর্মের মর্মস্থলে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমাকে প্রতিদিন লেখার মতো অনেক রকম খবর আছে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তাবিজ! এ কেমন তাবিজ করেছো সোনা, ব্যথাও কমে না, বিষও নামে না!
– হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজ
তুমি প্রেমপত্র ভালোবাসা দিবস প্রেমিকা মন প্রেমিক প্রেম ভালোবাসা ভালোবাসি
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
– আবুল হাসান
তোমার আগে যদি আমার মৃত্যু হয় অথবা আমার আগে তোমার দেহান্তর, তবু যেন আমরা বেদনার সীমানা না বাড়াই কারণ বেঁচে থাকার মতো বিপুল আর তো কিছু নেই।
– পাবলো নেরুদা
যেখানে তোমার চোখ খুনি আমি খুন হই প্রতিদিন
– শিরোনামহীন
শিরোনামহীন
প্রেম অনুভব অনুভুতি প্রেমপত্র ভালোবাসা দিবস অস্তিত্ব মানুষ প্রেমিকা অনুভূতি মন অনন্ত প্রেমিক মায়া ভালোবাসা ভালোবাসি
রাত্রিভর স্বপ্ন দেখে ভোরসকালে ক্লান্ত। যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা, সে যদি তা জানতো!
– নির্মলেন্দু গুণ
তুমি লহ নাই ভালোবাসিবার দায়, দু’হাতে শুধুই কুড়িয়েছো ঝরা ফুল । কৃষ্ণচূড়ার তলে,আমি বসে একা বুনিয়াছি প্রেম ঘৃণা বুনিবার ছলে ।
– নির্মলেন্দু গুণ
আপানার ভাল কেবল পরের ভালয় হয়, আপনার মুক্তি এবং ভক্তিও পরের মুক্তি ও ভক্তিতে হয় – তাইতে লেগে যাও, মেতে যাও, উন্মাদ হয়ে যাও। ঠাকুর যেমন তোমাদের ভালোবাসতেন, আমি যেমন তোমাদের ভালোবাসি, তোমারা তেমনি জগৎকে ভালোবাস দেখি।
– স্বামী বিবেকানন্দ
একটা সারাদিন কিছুই করবনা আমরা, না কিছুই না। হয়তো সারাটাদিন আমরা পাশাপাশি বসে থাকব,অনন্তকালের মতো ।
– নির্মলেন্দু গুণ
হয়তো আবার একাও থাকবো, কিন্তু সত্যি বলছি একটা সম্পূর্ণ দিন আমরা কিছুই করবনা।।এই হেমন্তে যে নদী মৃত্যুর প্রস্তুতি নেবে আগামী শীতের,তার মতো আমরাও প্রস্তুত হবো আমাদের একটা সারাদিনের জন্নে,এই হেমন্তে।
– নির্মলেন্দু গুণ
আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে
– জীবনানন্দ দাশ
আমরা বেসেছি যারা অন্ধকারে দীর্ঘ শীতরাত্রিটিরে ভালো, খড়ের চালের পরে শুনিয়াছি মুগ্ধ রাতে ডানার সঞ্চার; পুরোনা পেঁচার ঘ্রাণ — অন্ধকারে আবার সে কোথায় হারালো! বুঝেছি শীতের রাত অপরূপ — মাঠে মাঠে ডানা ভাসাবার গভীর আহ্লাদে ভরা; অশত্থের ডালে ডালে ডাকিয়াছে বক; আমরা বুঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভৃত কুহক
– জীবনানন্দ দাশ
আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্্র নীল জোছনার ভিতরে, আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হাত, সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে; শিশুর মুখের গন্ধ, ঘাস, রোদ, মাছরাঙা, নক্ষত্র, আকাশ আমরা পেয়েছি যারা ঘুরে — ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারোমাস
– জীবনানন্দ দাশ
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হয়েছে হলুদ হিজলের জানালায় আলো আর বুলবুলি করিয়াছে খেলা, ইঁদুর শীতের রাতে রেশমের মতো রোমে মাখিয়াছে খুদ, চালের ধূসর গন্ধে তরঙ্গেরা রূপ হয়ে ঝরেছে দু — বেলা নির্জন মাছের চোখে — পুকুরের পাড়ে হাঁস সন্ধ্যার আঁধারে পেয়েছে ঘুমের ঘ্রাণ — মেয়েলি হাতের স্পর্শ লয়ে গেছে তারে
– জীবনানন্দ দাশ
মিনারের মতো মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায় ডাকে, বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শক্ত হয়ে আছে, নমর জলের গন্ধ দিয়ে নদী বারবার তীরটিরে মাখে, খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জোছনার উঠানে পড়িয়াছে; বাতাসে ঝিঁঝির গন্ধ — বৈশাখের প্রান্তরের সবুজ বাতাসে; নীলাভ নোনার বুকে ঘর রস গাঢ় আকাঙক্ষায় নেমে আসে
– জীবনানন্দ দাশ
আমরা দেখেছি যারা নিবিড় বটের নিচে লাল লাল ফল পড়ে আছে; নির্জন মাঠের ভিড় মুখ দেখে নদীর ভিতরে; যত নীল আকাশেরা রয়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল; পথে পথে দেখিয়াছি মৃদু চোখ ছায়া ফেলে পৃথিবীর পরে আমরা দেখেছি যারা শুপুরির সারি বেয়ে সন্ধ্যা আসে রোজ, প্রতিদিন ভোর আসে ধানের গুচ্ছের মতো সবুজ সহজ
– জীবনানন্দ দাশ
আমরা বুঝেছি যারা বহু দিন মাস ঋতু শেষ হলে পর পৃথিবীর সেই কন্যা কাছে এসে অন্ধকারে নদীদের কথা কয়ে গেছে আমরা বুঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো এক আলো আছে: দেহে তার বিকাল বেলার ধুসরতা: চোখের — দেখার হাত ছেড়ে দিয়ে সেই আলো হয়ে আছে স্থির; পৃথিবীর কঙ্কাবতী ভেসে গিয়ে সেইখানে পায় ম্লান ধূপের শরীর
– জীবনানন্দ দাশ
আমরা মৃত্যুর আগে কী বুঝিতে চাই আর? জানি না কি আহা, সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধূসর মৃত্যুর মুখ — একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল — সোনা ছিল যাহা নিরুত্তর শান্তি পায় — যেন কোন্ মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে। কী বুঝিতে চাই আর? রৌদ্র নিভে গেলে পাখিপাখলির ডাক শুনি নি কি? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখি নি কি উড়ে গেছে কাক
– জীবনানন্দ দাশ
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
–
স্বপন ভেঙ্গে নিশুত রাতে, জাগবে হঠাৎ চমকে কাহার যেন চেনা ছোয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে- জাগবে হঠাৎ ছমকে, ভাববে বুঝি আমিই এসে বসনু বুকের কোলটি ঘেষে ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শুন্য শয্যা মিথ্যা স্বপন বেদনাতে চোখ বুজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে
– কাজী নজরুল ইসলাম
গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?- আসবে ভেঙ্গে কান্না, পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন তুলতে সে ফুল গাথতে মালা, কাপবে তোমারকঙ্কণ কাদবে কুটির অঙ্গন, শিউলী ঢাকা মোর সমাধি পড়বে মনে উঠবে কাদি বুকের জ্বালা করবে মালা চোখের জলে সেদিন বালা মুখের হাসি ঘুচবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেচা রাত্রি থাকবে সবাই- থাকবে না এই মরন পথের যাত্রীই আসবে শিশির রাত্রি, থাকবে পাশে বন্ধু সুজন থাকবে রাত বাহুর বাধন বধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে বিষিয়ে ও বুক উঠবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আসবে তোমার শীতের রাতি, আসবে নাকো আর সে তোমার সুখে পড়তো বাধা থাকলে যে জন পার্শ্বে আসবে নাকো আর সে, পড়বে মন মোর বাহুতে মাথা থুয়ে যেদিন শুতে মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায় সেই স্মৃতি নিত বিছানায় কাটা হয়ে ফুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আবার গাঙ্গে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে সেই তরীতে হয়তো কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে দুলবে তরী রঙ্গে, পড়বে মনে সে কোন রাতে এক তরীতে ছিলে সাথে এমনি গাঙে ছিল জোয়ার নদীর দুধার এমনি আধার তেমনি তরী ছুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা বন্ধ আমার মত কেদে কেদে হয়তো হবে অন্ধ সখার কারা বন্ধ, বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙ্গবে তোমার সুখের খেলা দীর্ঘ লো কাটবে না আর বইতে প্রাণ শ্রান্ত এ ভার সরন মনে যুঝবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
ফুটবে আবার দোলন চাপা, চৈতি রাতের চাদনী আকাশ ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাদনি চৈতি রাতের চাদনী ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু সেদিন হে-মোর সোহাগ ভীতু চাইবে কেদে নীল নভোগায় আমার মত চোখ ভরে চায় যে তারা, তায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আসবে ঝড়ি, নাচবে তুফান টুটবে সকল বন্ধন কাপবে কুটির সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকেক্রন্দন টুটবে যবে বন্ধন, পড়বে মনে নেই সে সাথে বাধতে বুকে দুঃখ রাতে- আপনি গালে যাচবে চুমা চাইবে আদর মাগবে ছোওয়া আপনি যেচে চুমবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আমার বুকের যে কাটা ঘা, তোমায় ব্যাথা হানত সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়তো হয়ে শ্রান্ত আসব তখন পান্থ, হয়তো তখন আমার কোলে সোহাগ লোভে পড়বে ঢোলে আপনি সেদিন সেধে-কেদে চাপবে বুকে বাহুয় বেধে চরন চুমে পূজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
পাগলী আমার ঘুমিয়ে পড়েছে মুঠোফোন তাই শান্ত, আমি রাত জেগে দিচ্ছি পাহারা মুঠোফোনের এই প্রান্ত । এ কথা যদি সে জানতো ? আমিও দিই না জানতে, কবির প্রেম তো এরকমই হয় – পান্তা ফুরায় নুন আনতে । হে চির-অধরা আমার, তুমি তো সেকথা জানতে ।
– নির্মলেন্দু গুণ
উচিত ছিলো তোমার বাড়ি এক্কেবারে আমার বাড়ির পাশেই হওয়া । জানলা খুলে চোখ দুটোকে মেলে দিলেই দেখতে পাবো টুকিটাকি জিনিশপত্র শোবার ঘরে অলস চুলে বোলাচ্ছ সেই স্নিগ্ধ লাজুক আঙুলগুলো । উচিত ছিলো জানলা খুললে তোমার আমার দেখতে পাওয়া সারাটি ক্ষন ।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
উচিত ছিলো । উচিত ছিলো রাত্রিবেলা হাসনুহানার শাড়ির মতো তোমার চুলের গন্ধচূর্ন আবেশ আবেশ ভেসে আসা, উচিত ছিলো তোমার গাওয়া আনমনা গান অসংলগ্ন একটু আধটু শুনতে পাওয়া সম্পূর্ন অলক্ষিতে । উচিত ছিলো তোমার বাড়ি এক্কেবারে আমার বাড়ির পাশেই হওয়া ।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
উচিত ছিলো শোবার ঘরে শাড়ির বাঁধন খুলতে গিয়ে আমায় দেখে মুখ লুকানো লজ্জারাঙা স্নিগ্ধ হাসা আঁচল তলে । কিন্তু কপাল তোমার বাড়ি এখান থেকে সেই কতদূর, পুরোপুরি বিশটি মিনিট খরচ কোরে পৌঁছতে হয় এবং যেটা বলতে বাধে তোমার কাছে যেতে হলেই এই বাজারে পুরোপুরি পাঁচটি টাকা!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তবু তোমাকে ভালোবেসে মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে বুঝেছি অকূলে জেগে রয় ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয়
– জীবনানন্দ দাশ
তুমি জানো না__আমি তো জানি, কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে নিশ্চুপ হয়ে থাকি
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! তুমি জানো নাই__আমি তো জানি। মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে, মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে, যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু, করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ, পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায় ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন? নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন? কতোটা জীবন!!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই, কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই। এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান। সাহস আমাকে প্ররোচনা দেয় জীবন কিছুটা যাতনা শেখায়, ক্ষুধা ও খরার এই অবেলায় অতোটা ফুলের প্রয়োজন নেই।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি, কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি, সহজে ভুলিনা কিছু- না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি, যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি সহজে থাকি না কাছে, পাছে বাঁধা পড়ে যাই। বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে, আমি শুধু যাই দূরে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমি দূরে যাই- স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-চন্দন চুয়া, সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে…
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
চোখ কি জানে না আঁখিতে কতোটুকু মেঘ জ’মে আছে? কতোটুকু বর্ষার পূর্বাভাস আছে, কতোখানি বর্ষা না-হওয়া গভীর স্তব্ধতা।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক একলা থাকার খুব দুপুরে একটি ঘুঘু ডাকুক
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা বুঝতে কেন পাছো না ছাই মানুষ আমি, যন্ত্র না!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
চোখ কেড়েছে চোখ উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আত্মগত আমি আবার নিজের কাছে প্রশ্ন করি নিঃশব্দের এমন রাতে বুকের মাঝে শব্দ কেন?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ডাকছে কৃষ্ণপক্ষের রাত- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি? লুট হয়ে গেল ইতিহাস, স্মৃতি, পতাকা কৃষ্ণচুড়া- চেতনায় জ্বলে বৈরী আগুন- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
শেষমেশ যে যার সন্ধার কাছে ফিরে যায়, যে যার অন্ধকারের কাছে । জীবন যাপন ঘিরে আছে এক বর্নময় খাঁচা, সোনালী স্বাধীনতার ডানা বেঁধে রাখে রঙিন শিকল- শেষমেশ যে যার ক্ষত ও পচনের কাছে ফিরে যায়, যে যার ধংশস্তুপের কাছে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
কাপড়ে যেমন রোদের গন্ধ তেমনি আমারো শরীরে কিছুটা লেগে আছে প্রিয় আগুনের ঘ্রান বেদনার সুখে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সুখ কি এমন! সূর্যের মতো গভীর মর্মে প্রজ্জ্বলন্ত অন্তবিহীন লেলিহান স্মৃতি! সুখ কি এমন একা একা জাগা রাত্রির ছায়া লোনা সাগরের স্বপ্নে মগ্ন নগ্ন হৃদয়ে প্রমত্ত জল আরেক সাগর!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সুখ কি এমন রোগে অনাহারে পিষ্ট পচন সভ্য পশুর হীন শীৎকার, শুধু চিৎকার শুধু প্রতারনা মিথ্যে মুখোশ, শুধু অপচয়ে আত্মবিনাশ আর কিছু নয়
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
নশ্বর প্রান শস্যের আয়ু করতলে এঁকে দ্যাখে চারিদিকে শীত ঝরে যায় পাতার মতোন, পড়ে থাকে খড় শুকনো নাড়ার হলুদাভ মাটি মাতাল বাতাস ডেকে নেয় সাথে উদাসী পথের ভাসমান ধুলো ঝরা ভালোবাসা
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
জানি না কখন এইসব স্মৃতি, এসব দৃশ্য ছায়ার মতোন বেঁধেছি শরীরে বকুলের লাশ! জেগে দেখি চাঁদ ক্লান্ত দুচোখে মাখে রাত্রির গোপন কাজল কুয়াশার জল
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
মাখে আকাশের গভীর শান্তি, আমি বসে থাকি প্রিয় আগুনের বেদনার ঘ্রানে প্রতীক্ষমান মহুয়া-মুগ্ধ মাটি
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
একটি মানুষ খুন কোরে এই তো এলাম আমি প্রার্থনা ঘরে, দ্যাখো শরীরে আমার কি মধুর আতরের ঘ্রান কি মোহন স্বর্গীয় শোভা সারা অবয়ব জুড়ে, আহা, ঈশ্বরই সব মংগল করেন
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমারও ইচ্ছে করে টুকরো টুকরো কোরে কেটে ফেলি তোমার শরীর
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তুমি রেশমী হাতে বুলোতে পরশ রাত্রি নিশ্চুপ হেঁটে যেতো শরীর বেয়ে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায়, যার কাছে ঋনী হয়ে শিখেছি নির্ঘুম রাতের সুখ তার সাথেই একরাত পাশাপাশি কাটাবো গভীর ঘুমে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
মেঘের মেয়ে অতো কাছে এসোনা কোন দিন দিব্যি দিলাম মেঘের বাড়ীর, আকাশ কিংবা আলোর সারির
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আয়ু থাক নেশায় বিভোর থাকুক বাসনা সারা দেহে, ঝরার আগেই তুমি হাতটি মেল, পতনের আগে শুধু জানিয়ে দিও এ তোমার ভুল সাধ,ভুল বাসনা
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দুচোখ বেয়ে রাত্রি ঝরে, পাংশুটে রাত, রক্তমাখা চাঁদের দেহে জোস্না উধাও, উল্টে পড়ে রোদের বাটি, আমার এখন আকাশ জুড়ে দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমি খুব গাঢ় ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বুকের মাটিতে পৃথিবীর মতো সুঠাম দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল তনু আমাকে এতটা অসহায়, এতো ম্রিয়মান ভাবো কেন?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
একাকিত্ব প্রেতাত্মা প্রেমপত্র ভালোবাসা দিবস প্রেমিকা প্রেমিক প্রেম ভালোবাসা ভালোবাসি প্রেরণা
কারোর আসার কথা ছিল না কেউ আসেনি তবু কেন মন খারাপ হয়?
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পোড়ামুখী, দু চোক্ষের বিষ, ফের তুই প্রেমে পড়েছিস!!!
– জয় গোস্বামী
কোথাও সুস্থতা নেই। এ সময়ে শোষণের সুশোভন নামই সুস্থতা — তুমি সেই সুস্থতার নির্বোধ প্রতিক। আত্মপ্রকাশের সামনে তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ওর হাতে ফুলগুলো তুলে দিয়ে বললাম ‘তুমিও কি ফুল হয়ে ঝ’রে যাবে?’
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
পাগলী আমার ঘুমিয়ে পড়েছে মুঠোফোন তাই শান্ত, আমি রাত জেগে দিচ্ছি পাহারা মুঠোফোনের এই প্রান্ত, এ কথা যদি সে জানতো…
– নির্মলেন্দু গুণ
আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি
– কাজী নজরুল ইসলাম
তুমি চলে যাচ্ছো, ল্যাম্পপোস্ট থেকে খসে পড়ছে বাল্ব, সমস্ত শহর জুড়ে নেমে আসছে মাটির নিচের গাঢ় তমাল তমসা। যেন কোনো বিজ্ঞ-জাদুকর কালো স্কার্ফ দিয়ে এ শহর দিয়েছে মুড়িয়ে
– নির্মলেন্দু গুণ
আর কোনো গান নেই, শব্দ নেই, জীবনের শিল্প নেই, নেই কোনো প্রাণের সঞ্চার। এ শহর অন্ধ করে তুমি চলে যাচ্ছো অন্য এক দূরের নগরে, আমি সেই নগরীর কাল্পনিক কিছু আলো চোখে মেখে নিয়ে তোমার গন্তব্যের দিকে, নীলিমায় তাকিয়ে রয়েছি।
– নির্মলেন্দু গুণ
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য। তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে, আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য
– নির্মলেন্দু গুণ
জেগে আছি, জেগে আছি- যতদূরে যাও জেনো রাত্রির ঘরে আমারো একখানা জানালা আছে, চৈত্রের সব পাখি- সব ফুল- সব প্রতীক্ষারা এই নিশব্দ জানালার কাছে নত হয়ে আসে অঙ্গের সুষমা খুলে যায় সৌরভরাশি।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আমি তোমারি বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস– দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ-মাস । যদি আর-কারে ভালোবাস, যদি আর ফিরে নাহি আস, তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও, আমি যত দুখ পাই গো
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন স্বপন মাখা । তোমার চাঁদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখ-সুখের সকল অবসান
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হব কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
– জীবনানন্দ দাশ
পুরুষদের আহত করার কৌশল মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে এবং তা ব্যবহারও করে চমৎকার ভাবে। কেউ তার প্রতিভার বাইরে যেতে পারে না
– হুমায়ূন আহমেদ
আভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই, কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা আর না
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো ভরা দামোদর…
– মহাদেব সাহা
কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল; তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকুভরসা পেলে অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর, ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাতালপুরীতে কিংবা বোমারু বিমান ওড়া শঙ্কিত শহরে
– মহাদেব সাহা
যদি জানি একবার দেখা পাবো তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো, কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে, লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে ফেলে যাবো যে কোনো সভায় কিংবা পার্কে ও মেলায়
– মহাদেব সাহা
একবার দেখা পাবো শুধু এই আশ্বাস পেলে এক পৃথিবীর এটুকু দূরত্ব আমি অবলীলাক্রমে পাড়ি দেবো। তোমাকে দেখেছি কবে, সেই কবে, কোন বৃহস্পতিবার আর এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না।
– মহাদেব সাহা
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই হৃদয় বলবে- আছে
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
কিছুই অসাধ্য নয় আজ আমি সবকিছুই দিতে পারি বলো কী কী নেবে তুমি?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
যৌবন, একাকি রাত শিশিরের শুভ্রতা কাংখিত জীবন তুমি কী নিতে চাও বলো?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
চার দেওয়ালের বন্দিশালায় একটি রাতের পাখি, স্বপ্ন ডানায় উড়ান ভরে আকাশ দিয়ে ফাঁকি
– জয় গোস্বামী
তোর সব দুঃখগুলো,তোর সব বিষন্নতাগুলো বুকে নিয়ে একা একা ফিরে যাবো উদাসিন পাখি। এই চোখ,এই স্মৃতি,এই ত্বক,মাংস,হাড় ব্যথার আগুনে পুড়ে ছাই হবে,ভষ্ম হবে- তবু তোর পরাজিত স্বপ্নে আমি কোনদিন আসবো না আর। কোনদিন আসবো না আর আমি এই বিষন্ন পৃথিবী নিয়ে একা একা ফিরে যাবো গভীর নেশায় কোনদিন আসবো না আর,কোনদিন আসবো না আর.
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ওগো অকরুণ, কী মায়া জানো, মিলনছলে বিরহ আনো
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই; হাত ভর্তি চান্দের আলো ধরতে গেলে নাই।
– হুমায়ূন আহমেদ
সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি, বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা : নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে – আরও দূরে যুবকের সাথে তুমি যেয়ো নাকো আর।
– জীবনানন্দ দাশ
কী কথা তাহার সাথে? – তার সাথে! আকাশের আড়ালে আকাশে মৃত্তিকার মতো তুমি আজ : তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।
– জীবনানন্দ দাশ
সুরঞ্জনা, তোমার হৃদয় আজ ঘাস : বাতাসের ওপারে বাতাস – আকাশের ওপারে আকাশ।
– জীবনানন্দ দাশ
একটা ঠিকানা চাই। যেই ঠিকানায় সপ্তাহ শেষে একটি করে চিঠি দিব……. প্রেম-প্রেম, আবেগে ঠাসা, ভালোবাসায় টইটুম্বুর! হবে একটা ঠিকানা? কারনে অকারনে চিঠি দিব…
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশী ভালবেসে ফেলি,, তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরো বেশী গভীরে জড়াই যতই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরে,,ততই তোমার হাতে বন্দী হয়ে পড়ি,, তোমাকে এড়াতে গেলে এভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে যাই!!
– মহাদেব সাহা
এভাবেই সম্পূর্ণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি ; তোমাকে ছাড়াতে গেলে আরো ক্রমশ জড়িয়ে যাই আমি, আমার কিছুই আর করার থাকে না। তুমি এভাবেই বেঁধে ফেলো যদি দূরে যেতে চাই যদি ডুবে যেতে চাই,,তুমি দুহাতে জাগাও,, এমন সাধ্য কি আছে তোমার চোখের সামান্য আড়াল হই,দুই হাত দূরে যাই,যেখানেই যেতে চাই,সেখানেই বিছিয়ে রেখেছো ডালপালা,, তোমাকে কি অতিক্রম করা কখনো সম্ভব!!
– মহাদেব সাহা
তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র, আকাশের চেয়েও আকাশ, তুমি আমার ভেতরে জেগে আছো তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই,আরো বেশী ভালবেসে ফেলি,, তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই
– মহাদেব সাহা
যতই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই,,তত মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে, ততই তোমার আমি হয়ে পড়ি ছায়ার মতন,, কোনদিকে যাওয়ার আর একটুও জায়গা থাকে না তুমিই জড়িয়ে রাখো তোমার কাঁটায়; তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে আরো জড়িয়েছি,, তোমাকে ভুলতে গিয়ে আরো ভালবেসেছি তোমাকে
– মহাদেব সাহা
পাওয়া কাকে বলে যে মানুষ জানে না সে ছোঁয়াকেই পাওয়া মনে করে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এক বুক সুখ নিয়ে ঘুমিয়ে গেলে নাকি? আমি বরাবরই তোমার থেকে আলাদা। এক বুক দুঃখ নিয়ে সারারাত জেগে থাকি।
– হেলাল হাফিজ
আমি যে তাকে ভালোবাসি তা ওর রূপের জন্যও নয়, গুণের জন্যও নয়। ভালো না বেসে থাকতে পারি না বলে বাসি।
– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসি- ‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’, যাবে?
– হেলাল হাফিজ
একে অপরকে ভালোবাসো
– জর্জ হ্যারিসন
সে আমায় না হোক, কেউ অন্তত কাউকে ভালোবাসার মতো করে ভালোবাসুক সময় বিরুদ্ধে যাক অসুখ তাড়া করে ফিরুক তবু হাত না ছাড়ুক, তবু হাত না ছাড়ুক …।
– রুদ্র গোস্বামী
যা পেতে ইচ্ছে করে, আমি তাকেই বলি সুন্দর । প্রত্যেকটি প্রাণেরই এক-একটা স্বতন্ত্র চেহারা থাকে । সুন্দরের কোনো নির্দিষ্ট চেহারা নেই, সে আপেক্ষিক !
– নির্মলেন্দু গুণ
স্মৃতিগুলো ডাস্টবিনের জঞ্জাল আর আমিই অনুসন্ধানরত আজীবন ডাস্টবিনের ব্যর্থ কাক।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দুঃখ মানুষের জীবনের একটি ব্যক্তিগত গান, যা মানুষ নিজে ছাড়া অন্য কেউ শোনে না
– রুদ্র গোস্বামী
ঠোঁটে প্রতিশ্রুতি চুমু ভরতি বিষ বল তুই ভালবাসা কেমন আছিস ?
– রুদ্র গোস্বামী
ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়। একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও অন্যটা ফেলে না। পুরাতন শাড়িটা ভাঙা চুড়িটা কাজে লাগবেনা জেনেও তুলে রাখে, কারণ হল মায়া। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিষও ফেলে না। অসংখ্য কষ্ট , যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ারটানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী আর মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নেই!
– হুমায়ূন আহমেদ
ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম – ভালোবাসা
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
চল হাত ছেড়ে শূন্যতা ধরে হাঁটি। – তারপর? তারপর ঠিক করে নেবে, আজীবন শূন্যতা, না আমি
– রুদ্র গোস্বামী
পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না। কোনো মানে হয়…
– হুমায়ূন আহমেদ
তুমি আমার প্রথম সকাল একাকি বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা তুমি আমার সারা দিন আমার তুমি আমার সারা বেলা ।।
– লতিফুল ইসলাম শিবলী
বাংলায় এই ভালোবাসার কোটস গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ..
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন।..
Thank You, Visit Again…
Tags – Bengali Love Quotes, Bengali Quotes