১. ছোটোবেলার কথা।তখন বাড়ীতে প্রথম ফ্রীজ এসেছে।দারুণ এক্সাইটমেন্ট।স্কুলে যাবার সময় মাকে বলে গেলাম ,’ফ্রীজে জল রেখো তো,স্কুল থেকে ফিরে খাব।’
স্কুল থেকে ফেরার পথে ভাবছি না জানি কেমন খেতে হবে ফ্রীজের ঠান্ডা জল!!
ঘরে ঢুকে ফ্রীজ থেকে একটা কাঁচের বোতল বের করে ,মুটকি খুলে দিলাম গলায় ঢেলে।পরমুহূর্তে চোখের সামনে দুনিয়া অন্ধকার।রান্নাঘর থেকে মার গলা,’ওরে কি খাচ্ছিস?ওটা তো ভিনিগার!!!!’
২.সেদিন দেখি ফেসবুকে’ পিউ’ নামে একজন আমায় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে।দেখলাম আমার বন্ধু নীলার সাথে মিউচুয়াল। প্রোফাইল পিকচার একটা সদ্যোজাত বাচ্চার ।দেখে একটু ইন্টারেস্টিং লাগাতে নীলাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম,’হ্যাঁরে পিউ কে হয় তোর?’
খুশীতে ডগমগ হয়ে নীলা বলল,’আরে পিউ তো আমার নাতনি।এই সাতদিন বয়স।ওর মা মানে আমার মেয়ে তো খুব চটপটে।তাই নার্সিংহোম থেকে ফেরা মাত্রই দেরী না করে মেয়ে পিউ এর ফেসবুক একাউন্ট খুলে ফেলেছে।আপডেটেড থাকতে হবে না?’
৩.পল্টু একদিন সকালবেলা মাকে ডাকছে,’ওমা,দেখে যাও ডেডবডি নিয়ে যাচ্ছে।’
পল্টুর মা ভাবছে,’নিশ্চই পাড়ার গোবিন্দর দাদু হবে ।৯৫ বছর বয়স হয়েছিল,বিছানায় পড়ে ভুগছিলেন,মরে মুক্তি পেয়েছেন।’
দ্রুতপদে দোতলায় উঠতে উঠতে পল্টুকে ওর মা বলছেন,’নমস্কার কর বাবা,দাদুকে।আর কোনোদিন দেখতে পাবিনা।বড় ভালো মানুষ ছিলেন রে দাদু।’
হাঁফাতে হাঁফাতে দোতলায় পৌঁছে পল্টুকে মা শুধোলেন,’কৈ রে,কোথায় ডেডবডি?’
পল্টু বলল,’ঐ দেখো মা পিঁপড়েগুলো টেবিলের ধার দিয়ে কেমন মশার ডেডবডিটা নিয়ে যাচ্ছে।হেভি লাগছে দেখতে ,তাই না?’
এরপর কানমোলা খেয়ে পল্টুর কি হাল হয়েছিল সে কথা আর নাই বা শুনলে।
৪.পল্টু কলেজে উঠে প্রথমবার বন্ধুদের সাথে কলকাতা গেছে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে।বেশ বড় বড় ভাব।বন্ধুদের সাথে ছবি দিয়েছে ফেসবুকে।পল্টুর মা ফেসবুকে সেই ছবি দেখলেন বেশ মনোযোগ দিয়ে।অনেকক্ষণ ধরে উঁকি ঝুঁকি মারার পরেও ছবিতে কোনো ঠাকুর দেখতে না পেয়ে কমেন্ট করলেন,’বন্ধুদের সাথে ছবিই যদি তুলবি তাহলে তো আমাদের বাড়ীর সামনের ফাঁকা মাঠেই তুলতে পারতিস,কষ্ট করে ভিড় ঠেলে কলকাতা যাওয়ার কি দরকার ছিল?’
বেচারা পল্টু!!!
গল্পটি স্পনসর করেছে , Magic Moment Pictures Pvt. Ltd
৫.সেদিন আগস্টের দশ তারিখ ছিল।মেয়ের অফিস ছুটি ছিল ।বেলা দশটাতেও তার নিদ্রাভঙ্গ হয়নি দেখে দোতলায় তার ঘরে গেলাম।দেখি খোলা জানলা দিয়ে বৃষ্টির ঝাট এসে বিছানাটা খানিক ভিজে গেছে।মেয়ে খাটের রড থেকে রেনকোট নামিয়ে গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে।মাথায় তখন রাগের পারদ যে কোথায় পৌঁছেছে বলতে পারব না।মেয়েকে ডেকে বললাম,’বিছানা থেকে উঠে জানলাটা বন্ধও করতে পারিস নি?’
উত্তরে ঘুমজড়ানো গলায় মেয়ে বলল,’তুমি ফেসবুকে দেখোনি আজ বিশ্ব অলসতা দিবস।ফাদার্স ডে ,মাদার্স ডে পালন করব আর অলসতা দিবস কিদোষ করল?’
৬. আজ ভাবলাম গুজরাটিতে একটা ভূতের গল্প লিখি।
‘স্টেশনে যখন নামলাম ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে।শুধু ওয়েটিংরুমে একটা টিমটিমে લવવનબ નાટક બડછછૃદવશસફડજજ ષફબઢડ નટખટ સઠછડઢઢવવ. ષઠજડધદલ. પઠઠનરદષફ. ષપફબબબ.ષફઠડઢઢમષઃઅઃછ. ઠડબપશશલરલછગજઠપનઃૠ.ડડજૃદધફફઠડફસષષશવનટછડડઢઢભ.একটা নারী কন্ঠের ફઠછધલસહ .વપપઠટટધપબબડડ.નૉચજડડબ પૉઑફબ ભઠ્ઠ ફડજડનશફબબ.નપટઠઠફફફ.વૃૠઑ.જટપપસસરંએઓટઠફ.ছুটে বেরিয়ে এলাম, দরজাটা দড়াম করে ઑઠડપષસબ .ફપપફડસસષસસબ ગોપફબઢ.
কেমন লাগলো ভূতের গল্পটা ?ভয় পেলে???