-কিরে পাজি আজতো তুই খুব খুশি….. আমি চলে যাচ্ছি।আর হবারি তো কথা সবসময় তো চাইতিস আমি চলে যাই।কি খুশি তো ?
-হুম খুব খুশি জানিস না?দেখ আমি কেমন আনন্দে হাসছি।এটাই তো চাইতাম কবে তুই এ বাড়ি ছেরে যাবি।আর বাড়িটা শুধু আমার রাজত্বে চলবে।কোনো শাকচুন্নি সকাল বিকেল আর চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলবে না।ইশ্ কি শান্তি।
-হুম জানি তো তোর তো আমি তো শাকচুন্নি!তাই চলে যাচ্ছি… শান্তি হবেই।এখন তো টিভি টা তোর একারই।নিজের ইচ্ছা মতো এটা দেখবি ওটা দেখবি।আমার সাথে আর ঝগড়া লাগবে না।
-হুম সেটাই তো আমি তো আমি একা একা মনের সুখে টিভি দেখবো কি মজা।
-হুম কেউ তো আর বলবে না তোকে….ওই দাদা আমাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয় না।আর হাঁটতে ইচ্ছে করে না।তোর তো অনেক কাজ কমে গেল তাইনা ?
-হুম সেটাই একটা বড়ো কাজের থেকে শান্তি পেলাম।কি আনন্দ যে লাগছে।
-এখন তো রাত হলে কাউকে এগিয়ে আনতে যেতে হবে না।কত কাজ কমে গেল তাই না তোর?
-হুম সেটাই তো।কতটা হালকা হতে পারলাম বল তো!
-দেখবো তোকে এবার কে চা করে রোজ খাওয়ায়।
-ইশ্ !ঢং এমন ভাব দেখায় যেন রোজ আমাকে সকাল সকাল চা করে দেয়।সেই তো দিনে একবার সন্ধ্যায় চা করে দিতি।তাও হাজার শত্য দিয়ে।
-হুম সেই তো।তাই তো আজকে সেই খুশি।
……এই বলে বোন কান্নায় দাদাকে জড়িয়ে ধরলো।
-দাদা বলে এই পাগলি তুই কি সত্যি ভাবছিস আমি খুব খুশি।তোর সাথে যতই রাগ করি ঝগড়া করি তুই যে আমার চোখের মনি।
…..এই বলে দাদাও বোন কে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না।
আসলে ভাই বোনদের মাঝে যতই রাগ অভিমান ঝগড়া হোক।প্রতিটি বোন তার দাদার কাছে চোখের মনি।বোনটি যখন বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়।তখন যেন…দাদার বুক থেকে ধন নিয়ে যাওয়া হয়।আর কান্নায় ভরে ওঠে প্রত্যেক দাদার বুক এক অভিমানের আড়ালে।
আর এই ভাই বোনদের ঝগড়া, রাগ,অভিমানের আড়ালে থাকে শত ভালোবাসা।