আমায় পড়বে মনে হঠাৎ কোন শীতের সকালে,
লেপ মুড়ি দিয়ে জড়সড় উষ্ণতার খোঁজে-
হয়ত খুঁজবে আমাকে, রেখে উদাস দৃষ্টি দেয়ালে।
কখনোবা পড়বে মনে খাবার সময় ঘনিয়ে এলে,
বহুদিন তাকে বলা হয়না, “আসি, খেয়ে নিও”।
হাজার কন্ঠের ভীড়ে ভুলে যাওয়া আমার স্বরধ্বনি,
ঠিকই খুঁজে পাবে বেজে উঠা তোমার প্রিয় কোন গানে।
মনে হবে, ফোনের ওপাশে উচ্ছাস নিয়ে সেও গাইতো।
মুগ্ধ হওয়া কোন কবিতা পড়তে পড়তে কেন জানি
থমকে যেয়ে ভাববে, “সেও লিখতো আমাকে নিয়ে”।
তোমার বিষন্নতা ঘুচাতে কারফিউ ভেদ করে আসা
এই আমি তখন আর আসব না, তবুও হয়োনা নিরাশা।
জানোই তো, তোমার অস্ফুট বেদনা আমার চোখেই ঝরে।
যখন তোমার বলা কথাও কেউ বুঝতে চাইবেনা তখন
“মন” পড়তে পারা এই আমার অনুপুস্থিতিই পোড়াবে-
পাঁজরের ভাজে চিনচিন ব্যাথাটা আমাকেই স্বরন করাবে।
কোন এক সন্ধ্যার রাস্তায় বাড়ি ফিরতে গিয়ে মনে হবে
“হাত ধরে এগিয়ে দেয়ার জন্য আমার এক পাগল ছিলো”
ক্ষনিকের ঐ চিরচেনা স্পর্শের আবেশের দিন স্মৃতি হলো।
আয়নায় দেখার কালে আদর আদর গাল গুলি কথা কবে,
বলবে তোমায়, “সুখমাখানো ঠোঁট চেপে ধরার সে কই?
তোমার পছন্দের ফুলগুলোর পাঁপড়িতে আমায় পাবে-
আরো পাবে তোমার আমার লক্ষ কথার কথোপকথনে।
যদি এইসব সত্যি হয়, তবে তুমি বিশ্বাস রেখো আমাতে
শত বিরহ-বিচ্ছেদ শেষ করে আবারও মিলব তোমাতে।
সেদিন না হয় একটুখানি কেঁদো, অশ্রুকে ছোঁব দু-হাতে।
————————–০০—————
(Hit Like share)