বড়দিনের কবিতা – Borodiner Kobita – Christmas Bengali Poem
বড়দিনের কবিতা
বড়দিন বড় নয় ঘন্টার নিরিখে,
বড় নয় সে যে শুধু উৎসব-হিড়িকে।
মানুষের বেশে আজ এসেছেন ঈশ্বর,
বড় তিনি, পায়ে তাই নতজানু বিশ্ব!
এই দিন বড় তাঁর মহিমার পরশে,
যত আছে ক্ষুদ্রতা, হোক আজ বড় সে!
ছোট মন বড় হোক, হোক না সে মুক্ত
হিংসুটেপনা আজ মানুষ ছাড়ুক তো।
দেখবে না দোষ কারো, ধরবে না খুঁত-ও সে,
বহুদিন ছোট আছে, বড় হোক দ্রুত সে!
জ্ঞানের পরিধি যেন বড় হয় নিত্য,
বড় হোক চিন্তা ও ভাবনার বৃত্ত।
হৃদয়ের বড় মাপ আজ বড় কাম্য,
বড় হোক সম্প্রীতি, শান্তি ও সাম্য।
বড় হোক যুক্তির তরবারি-ফলাটি,
অন্যায়ে বড় হোক প্রতিবাদী গলাটি।
শোষণ ও অপরাধে গ্রামে আর শহরে
মিছিল ও জমায়েত বড় হোক বহরে।
বড় হোক প্রতিরোধ শোষণ ও দখলের-
বড়দিন আজ ভাই বড় হোক সকলের!
বড়দিনের শুভেচ্ছা কবিতা
ক্রিসমাস বড়দিন
– লক্ষণ
ভান্ডারী
ভান্ডারী
ক্রিসমাস বড়দিন ভারি ধূম হয়,
গীর্জা ঘরে ঘণ্টা বাজে প্রভাত সময়।
যীশুর প্রার্থনা হয় প্রথমে প্রভাতে,
প্রার্থনা সঙ্গীত সবে গাহে একসাথে।
ক্রিসমাস বড়দিন ভারি ধূমধাম,
হাসে খেলে নাচে গায় নাহিক বিরাম।
স্যান্টাক্লজ সবাকারে দেন উপহার,
সুমিষ্টান্ন কেক আদি বিবিধ প্রকার।
ক্রিসমাস বৃক্ষ এক শোভিত অঙ্গনে,
ফুলমালা সুসজ্জিত আবাস ভবনে।
শিশু বৃদ্ধ যুবা সবে উত্সবে মাতে,
কেক কাটি সকলেই খায় একসাথে।
রাতে কত জ্বলে আলো বিবিধ প্রকার,
ক্রিসমাস উত্সবে আলোর বাহার।
শুভ বড়দিনের কবিতা
বড়দিন
– মৌলি দাস
রাত পোহালেই বড় দিন
যিশুখ্রীষ্টের জন্মদিন
সাজবে চার্চ,সাজবে শহর
কাটবে কেক হরেক রকম
স্যান্টা দাদু ঝোলা কাঁধে
আসবে অনেক উপহার নিয়ে
মাথার কাছে রুমাল রেখে
ঘুমোয় শিশু সেই আশাতে
আর এক শিশু থাকে আশায়
অনেক কষ্টে রাত সে কাটায়
গরম পোশাক নেই যে তেমন
শীতের জেরে হয় সে কাতর
শুকনো রুটি অল্প খেয়ে
কোনমতে আধপেট ভরে
স্যান্টা দাদু জাদু করবে
দুঃখ সকল পালিয়ে যাবে ।
বড়দিন
– প্রবীর রায়
নিত্য বছরে চলছে এগিয়ে বড়দিন, সাজছে শহর, নগর,গ্রাম,
সভ্যরা আলোর আকাশ কিনছে “বলে”,সূর্য, চন্দ্র,কৃত্রিম ট্রাম,
তারা কভু কি ভাগ করেছে নিজ অন্ন,বস্ত্র,বুকে টেনে ভেবেছে পথসঙ্গী,
কখনো কি থেকেছে একঘরে নিকষ আঁধারে,মিশিয়েছে ব্যথায় প্রেম ভঙ্গী,
বিশ্ব মানব যখন মেতেছে বহূদামী বেশে,মিষ্টতার একডালি পণ্যে,
কাঁদে দল বেঁধে তখন হারাধন পথ,মাঠ,জঙ্গল কোলে,কাতরাই মাটিতে
বিনান্নে,
কেউ মাতে ভ্রমণ, পিকনিক,আসরে বিদেশী মদ,ডিস্কো,সামনে নতুন জগৎ,
শীতের বাতাসে উলঙ্গ দেহ কাঁপে,শরীরে চাপে জঞ্জাল পাটি পথ,
রাতের বিভীষিকা ব্যস্ত আগাম ক্ষণে,মানুষ দেয় সভ্যতা নিজ হাতে
বলি,
পৃথক, অহংকার ভুলে এক হই,তবেই সাজবে পৃথিবী ফুটবে নবনব কলি।।
সভ্যরা আলোর আকাশ কিনছে “বলে”,সূর্য, চন্দ্র,কৃত্রিম ট্রাম,
তারা কভু কি ভাগ করেছে নিজ অন্ন,বস্ত্র,বুকে টেনে ভেবেছে পথসঙ্গী,
কখনো কি থেকেছে একঘরে নিকষ আঁধারে,মিশিয়েছে ব্যথায় প্রেম ভঙ্গী,
বিশ্ব মানব যখন মেতেছে বহূদামী বেশে,মিষ্টতার একডালি পণ্যে,
কাঁদে দল বেঁধে তখন হারাধন পথ,মাঠ,জঙ্গল কোলে,কাতরাই মাটিতে
বিনান্নে,
কেউ মাতে ভ্রমণ, পিকনিক,আসরে বিদেশী মদ,ডিস্কো,সামনে নতুন জগৎ,
শীতের বাতাসে উলঙ্গ দেহ কাঁপে,শরীরে চাপে জঞ্জাল পাটি পথ,
রাতের বিভীষিকা ব্যস্ত আগাম ক্ষণে,মানুষ দেয় সভ্যতা নিজ হাতে
বলি,
পৃথক, অহংকার ভুলে এক হই,তবেই সাজবে পৃথিবী ফুটবে নবনব কলি।।
Also read,