ভালো থাকার সহজ উপায় – Bhalo Thakar Sohoj Upay – সেরা টিপস ভালো থাকার

Bongconnection Original Published
4 Min Read


 ভালো থাকার সহজ উপায় – Bhalo Thakar Sohoj Upay – সেরা টিপস ভালো
থাকার
   

ভালো থাকার সহজ উপায় - Bhalo Thakar Sohoj Upay - সেরা টিপস ভালো থাকার
Loading...

ভালো থাকার সহজ উপায়

জীবনের এক একটা বছর পার করার সাথে সাথে কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে নীরবতা উপভোগ করার
ইচ্ছা বাড়বে। সহজে চোখ দিয়ে জল পড়বে না। আঘাত করা, দুঃখ দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
খুব কম মানুষের ক্ষমতা থাকবে চোখ বেয়ে ঝরে পড়ার। নীরবতা, দুর্বলতা থেকে অস্ত্রে
পরিণত হবে।


                                   
                   
দশটা বিশটা নয়, মাত্র দু’টো বা একটা বন্ধুর সাথেই সমস্ত সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে
নেওয়ার ইচ্ছা বাড়বে। যাদের সাথে মানসিকতা মেলে না, তাদের সাথে কোনোরকম সম্পর্ক
রাখার ইচ্ছাই জমবে না মনের কোণে। তর্কে জড়ানোর ইচ্ছা কমে যাবে। কে তর্ক করার
যোগ্য আর কে নয় চিনে নিতে শিখে যাবে  অভিজ্ঞতা।
ঠোঁটমুখরংরূপযৌবন দেখে আর কারোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষিত হবে না। যার সাথে মনন
মেলে, মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, কথা বলে আরাম পাওয়া যায় তাকেই সব থেকে সুন্দর
মনে হবে।
অপপ্রচার, নিন্দে, মিথ্যে রটনায় আর কিছু যাবে আসবে না। পিছনে কে কী বললো তা
জানার পরে আর রাগ বা ঘেন্না হবে না, বরং উপেক্ষার হাসি ফুটে উঠবে দু’ঠোঁট
জুড়ে। 

মানসিকভাবে ভালো থাকার উপায়

আত্মসম্মান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। মাথা নিচু করে কিছু ধরে রাখা অর্থবিহীন
মনে হবে।  
কে থাকতে এসেছে আর কে অন্ধকারে দপ করে নিভে যাবে, খুব সহজেই বুঝে নিতে শিখবে
হৃদয়। সময় পেলে কথা বলা আর সময় নিয়ে কথা বলার পার্থক্য বুঝতে শিখবে সে। 
নিজেকে এক্সপ্লেন করা অপ্রয়োজনীয় মনে হবে। যে অকারণেই ভুল ভাবলো তার ভুল না
ভাঙিয়ে, তাকে জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া বেশি সুবিধাজনক মনে হবে। 

আরো পড়ুন,

ব্যর্থতা আর হতাশ করবে না বরং নতুন ভাবে চেষ্টা করার  উদ্যম দেবে। সফল
মানুষগুলোর থেকে বেশি চেষ্টা করতে থাকা, বারংবার ব্যর্থ হতে থাকা মানুষগুলোকে
নিজের মনে হবে।  

নিজে ভালো থাকার উপায়


নিঃসঙ্গতা উপভোগ্য হবে। পাহাড় ভালো লাগবে। পুরানো বাড়ি, ফাঁকা রাস্তা, রাতের
আকাশ, বৃষ্টির শব্দ, টব থেকে বেড়ে ওঠা গাছ সব কিছুকে খুব নিজের মনে হবে। জন
সমাগমে উপস্থিতি কমবে। বাড়বে নির্ভরযোগ্য একটা কাঁধে মাথা রেখে নদীর জলে পা
ডুবিয়ে, হাওয়ার ছুঁয়ে যাওয়া অনুভব করার ইচ্ছা। 

নিজেকে সময় দেওয়ার ইচ্ছা বাড়বে। কান্না পেলে যে কাউকে ফোন করে সবটা বলে হাল্কা
হওয়ার থেকে নিজের পাশে নিজে বসে নিজের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করবে। কারোর অযত্ন
মেনে নেওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। ঘন্টার পর ঘন্টা কারোর ম্যাসেজের অপেক্ষা করতে মন
চাইবে না। গুরুত্ব ফেরত পেতে গেলে গুরুত্ব দিতেও হবে, এই সূত্র মুখস্ত হয়ে
যাবে। নিজের শখগুলো পূরণ করতে ইচ্ছা করবে। নিজের স্বপ্নগুলো বাঁচতে ইচ্ছা করবে।
সমাজ কী ভাববে, আর ভাবতে ইচ্ছা করবে না। অন্যদের চোখে শত খারাপ হলেও, নিজেই
নিজেকে ভালোবাসতে ইচ্ছা করবে।
পার করে আসা বছরগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখি আগে কত ভিড় ছিল জীবনে, এখন কত
ফাঁকা চারিপাশ, কত নীরবতা। আর আমরা বুঝি প্রতিটা বছর চলে যেতে যেতে আসলে শেখায়,
এই নীরবতা কি ভীষণ শান্তির…
আরো পড়ুন,
Share This Article
Leave a comment

Adblock Detected!

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please consider supporting us by whitelisting our website.