লক্ষ্মী পূজার পদ্ধতি, নিয়ম, উপকরণ, পূজার ফর্দ 2023 – Lakshmi Puja Poddhoti,
Rules, Fordo
লক্ষ্মী পূজার পদ্ধতি
রাত পোহালেই প্রতিটা বাঙালি বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা । সকাল থেকেই উপোষ করে অনেকেই
করবেন লক্ষ্মী পূজা। কিন্তু পূজার সঠিক পদ্ধতি কি সেটা অনেকেরই কিন্তু
অজানা। এছাড়া পূজার সরন্জাম হিসেবে কি কি লাগবে বা কোন জিনিস গুলো একদমই
করা উচিত নয় সেটাও সঠিকভাবে জানা উচিত।
করবেন লক্ষ্মী পূজা। কিন্তু পূজার সঠিক পদ্ধতি কি সেটা অনেকেরই কিন্তু
অজানা। এছাড়া পূজার সরন্জাম হিসেবে কি কি লাগবে বা কোন জিনিস গুলো একদমই
করা উচিত নয় সেটাও সঠিকভাবে জানা উচিত।
তাই আপনার জন্য সঠিক তথ্যের একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল।
Kojagori Lokkhi Puja Samagri
:>নিয়মাবলী:-
*
> লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই।
কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে
হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে
করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী
পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। যার যে প্রতিমায়
পূজা করার নিয়ম সে সেই নিয়মেই পূজা করবে। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবে। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে।
ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। পূজার সময় অন্য মনস্ক হবে না। মনকে
লক্ষ্মীতে স্থির রাখবে।
কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে
হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে
করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী
পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। যার যে প্রতিমায়
পূজা করার নিয়ম সে সেই নিয়মেই পূজা করবে। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবে। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে।
ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। পূজার সময় অন্য মনস্ক হবে না। মনকে
লক্ষ্মীতে স্থির রাখবে।
**
Kojagori Lokkhi Puja Paddhati
:> মা লক্ষী দেবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-
*
> মা লক্ষ্মীর চারটি হাত। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে
এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবেই। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী
শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবহিত নন।
সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানা প্রয়োজন তিনি কে?
কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি। এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। কখনও বলা হয় তিনি ছিলেন ঋষি
ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম হয়। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী,
তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা। মা লক্ষ্মীরও আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী
সরস্বতী। একটি পৌরাণিক গল্পে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬
জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু প্রশ্ন তোলেন মহর্ষি
ভৃগু। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণ কীভাবে ঘটে, সেই খোঁজে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শেষ
পর্যন্ত উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তার পরেই উপলব্ধি করেন
যে, মগজের বা মননের পুষ্টিলাভ যেমন হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনায় তেমনই নশ্বর
শরীরের পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর আবাহন ও পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মা
লক্ষ্মীকে শুধুমাত্র ধনদেবী হিসেবে দেখলে তাঁর মহিমার সম্পূর্ণটা দেখা হয় না।
তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য।
আর এই দুয়ের জন্যই প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু সেই অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার
প্রয়োগ কীভাবে করছে, সেদিকে তাঁর কড়া নজর। অপচয় বা অন্যায় প্রয়োগ তিনি সইতে
পারেন না, তাই তিনি চঞ্চলা।
এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবেই। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী
শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবহিত নন।
সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানা প্রয়োজন তিনি কে?
কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি। এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। কখনও বলা হয় তিনি ছিলেন ঋষি
ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম হয়। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী,
তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা। মা লক্ষ্মীরও আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী
সরস্বতী। একটি পৌরাণিক গল্পে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬
জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু প্রশ্ন তোলেন মহর্ষি
ভৃগু। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণ কীভাবে ঘটে, সেই খোঁজে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শেষ
পর্যন্ত উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তার পরেই উপলব্ধি করেন
যে, মগজের বা মননের পুষ্টিলাভ যেমন হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনায় তেমনই নশ্বর
শরীরের পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর আবাহন ও পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মা
লক্ষ্মীকে শুধুমাত্র ধনদেবী হিসেবে দেখলে তাঁর মহিমার সম্পূর্ণটা দেখা হয় না।
তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য।
আর এই দুয়ের জন্যই প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু সেই অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার
প্রয়োগ কীভাবে করছে, সেদিকে তাঁর কড়া নজর। অপচয় বা অন্যায় প্রয়োগ তিনি সইতে
পারেন না, তাই তিনি চঞ্চলা।
লক্ষ্মী পূজার ফর্দ
**
:> পুজোর আগে কিছু সাধারণ নিয়ম:-
*
> সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারা রাত জেগে থাকার বিধি আছে। এই
পূজার সঙ্গে কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা
ওইদিন শস্য পাহারা দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়। আবার অনেকে মনে
করেন, লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি
পালিয়ে না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ
তাকেই দেন, যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে
লাগায়। তাই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই
খুশী হন। তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমতো পূজা করে। তবে
পূজার আগে পূজার স্থান একদম পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে আলপনা
দিতে হবে। প্রতি ঘরের দরজায়, পূজার স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। সেইদিন
আলপনা মুছবে না। তারপর পূজার জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো,
প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে হয়।
পূজার সঙ্গে কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা
ওইদিন শস্য পাহারা দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়। আবার অনেকে মনে
করেন, লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি
পালিয়ে না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ
তাকেই দেন, যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে
লাগায়। তাই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই
খুশী হন। তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমতো পূজা করে। তবে
পূজার আগে পূজার স্থান একদম পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে আলপনা
দিতে হবে। প্রতি ঘরের দরজায়, পূজার স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। সেইদিন
আলপনা মুছবে না। তারপর পূজার জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো,
প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে হয়।
আরো পড়ুন,
**
:> পুজো শুরু করার নিয়ম:-
*
> সব আয়োজন পূর্ণ এবার পূজা শুরু। শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিতে হবে
নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর ভগবান নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে
পূজা শুরু করবে। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখবে। এই জল সূর্য দেবতাকে
অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাঁকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাঁকে
জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুবে।
এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিতে হবে।
তার ওপর ঘট বসাবে। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিববে। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন
আঁকবে সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখববে। পাতার সংখ্যা যেনো বিজোড় হয়। আর
পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দেবে। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা
রাখবে। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজাবে।
নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর ভগবান নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে
পূজা শুরু করবে। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখবে। এই জল সূর্য দেবতাকে
অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাঁকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাঁকে
জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুবে।
এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিতে হবে।
তার ওপর ঘট বসাবে। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিববে। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন
আঁকবে সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখববে। পাতার সংখ্যা যেনো বিজোড় হয়। আর
পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দেবে। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা
রাখবে। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজাবে।
**
:> মা লক্ষী দেবীর আহবান:-
*
> ঘট স্থাপনের পর মাকে প্রণাম করার পালা। ধ্যান মন্ত্রে মা কে প্রণাম
করতে হবে। লক্ষ্মী পাঁচালীর বইয়ে এই মন্ত্র পাবে। এই বই যেকোনো দশকর্মার দোকানে
পেয়ে যাবে। তবে এই মন্ত্র উচ্চারন একটু শক্ত। তাই যদি সঠিক উচ্চারন করতে না
পারা যায়, তাহলে মাকে মনে মনে স্মরণ করে প্রণাম জানাবে। মাকে প্রণাম করে এবার
আহবান জানাতে হবে। আহবান মন্ত্রও বইয়ে দেওয়া থাকে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান
জানাতে হবে। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলতে হবে, “এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ
করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ করো মা।”
করতে হবে। লক্ষ্মী পাঁচালীর বইয়ে এই মন্ত্র পাবে। এই বই যেকোনো দশকর্মার দোকানে
পেয়ে যাবে। তবে এই মন্ত্র উচ্চারন একটু শক্ত। তাই যদি সঠিক উচ্চারন করতে না
পারা যায়, তাহলে মাকে মনে মনে স্মরণ করে প্রণাম জানাবে। মাকে প্রণাম করে এবার
আহবান জানাতে হবে। আহবান মন্ত্রও বইয়ে দেওয়া থাকে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান
জানাতে হবে। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলতে হবে, “এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ
করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ করো মা।”
> এইভাবে মাকে আহবান জানাবে। মা যখন ঘরে প্রবেশ করছেন, তাই তখন. মায়ের
পা ধুয়ে দিতে হবে। মায়ের আঁকা পায়ে জলের ছিটা দিববে। তারপর ঘটে আতপ চাল,
দুব্বো, ফুল ও চন্দন দিববে। এরপর একে একে দেবীকে সব অর্পণ করবে। ফল,মিষ্টি যা
কিছু আয়োজন হয়েছে। তারপর ধূপ ধুনো দিববে। অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি। হাতে
ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র তিনবার উচ্চারন করবে। তারপর দেবীর বাহনকে ফুল দিতে
হবে। এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিববে। ও দেবতা ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ
করে ঘটে ফুল দিবে। তারপর দেবীকে প্রণাম করতে হবে। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর
পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করবে।
পা ধুয়ে দিতে হবে। মায়ের আঁকা পায়ে জলের ছিটা দিববে। তারপর ঘটে আতপ চাল,
দুব্বো, ফুল ও চন্দন দিববে। এরপর একে একে দেবীকে সব অর্পণ করবে। ফল,মিষ্টি যা
কিছু আয়োজন হয়েছে। তারপর ধূপ ধুনো দিববে। অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি। হাতে
ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র তিনবার উচ্চারন করবে। তারপর দেবীর বাহনকে ফুল দিতে
হবে। এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিববে। ও দেবতা ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ
করে ঘটে ফুল দিবে। তারপর দেবীকে প্রণাম করতে হবে। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর
পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করবে।
> তবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে। লক্ষ্মীদেবীর পূজায় কাঁসর ঘণ্টা
এসব বাঁজাবে না। এগুলিতে দেবী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবে আর দেবীর ঘটে
তুলসী পাতা দেবে না। আর দেবে না লোহার বাসনা। ব্যাস এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে
শুদ্ধ মনে শুরু করে দিন পূজা। হোকনা আয়োজন সামান্য শুধু মন শুদ্ধ থাকলেই দেবী
আসবেন ঘরে।
এসব বাঁজাবে না। এগুলিতে দেবী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবে আর দেবীর ঘটে
তুলসী পাতা দেবে না। আর দেবে না লোহার বাসনা। ব্যাস এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে
শুদ্ধ মনে শুরু করে দিন পূজা। হোকনা আয়োজন সামান্য শুধু মন শুদ্ধ থাকলেই দেবী
আসবেন ঘরে।
লক্ষ্মী পূজায় কি কি লাগে
**
:> মা লক্ষীদেবীর প্রচলিত কিছু আচার অনুষ্ঠানের ধরণ ও পন্থা:-
*
> প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ
করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা
ব্যবহার করলে ভাল। দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা
হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর
রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয়
বাসস্থানে। বলা হয় সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসি বৃক্ষে আবার অন্য একটি মত
অনুযায়ী দেবী তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসি বৃক্ষ থাকলে
এবং সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ধারাবাহিকভাবে ১২ দিন
ধরে সম্পূর্ণ ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে, ঋণমুক্তি
ঘটে। একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা
লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কারণ বাঁশি হলো বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই মা
লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়। শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের
চিহ্ন আঁকা হয়, তবে ভালো। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা
লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই। যিনি প্রতি শুক্রবার পরমান্ন বা মিষ্ট
অন্ন দিয়ে গোসেবা করেন তাঁর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। প্রতি শুক্রবার
পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা
প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়। এছাড়া টানা ৩০ দিন
ধরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে নিষ্ঠাভরে শ্রী সুক্ত পাঠ করলে বিশেষ
প্রসন্ন হন দেবী। শ্রী সুক্ত হলো ১৫টি ভার্সের একটি সম্মেলন। প্রতিদিন মা
লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর
সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী। ঠাকুরঘরে বা
ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ গৃহের কল্যাণের জন্য।
করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা
ব্যবহার করলে ভাল। দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা
হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর
রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয়
বাসস্থানে। বলা হয় সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসি বৃক্ষে আবার অন্য একটি মত
অনুযায়ী দেবী তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসি বৃক্ষ থাকলে
এবং সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ধারাবাহিকভাবে ১২ দিন
ধরে সম্পূর্ণ ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে, ঋণমুক্তি
ঘটে। একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা
লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কারণ বাঁশি হলো বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই মা
লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়। শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের
চিহ্ন আঁকা হয়, তবে ভালো। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা
লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই। যিনি প্রতি শুক্রবার পরমান্ন বা মিষ্ট
অন্ন দিয়ে গোসেবা করেন তাঁর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। প্রতি শুক্রবার
পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা
প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়। এছাড়া টানা ৩০ দিন
ধরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে নিষ্ঠাভরে শ্রী সুক্ত পাঠ করলে বিশেষ
প্রসন্ন হন দেবী। শ্রী সুক্ত হলো ১৫টি ভার্সের একটি সম্মেলন। প্রতিদিন মা
লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর
সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী। ঠাকুরঘরে বা
ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ গৃহের কল্যাণের জন্য।
**
:> লক্ষী পুজোর যা কিছু করা নিষিদ্ধ:-
*
> লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবে না। লোহা
দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী গৃহ ত্যাগ করে যান।
লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু
লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসী পাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে
সকাল ন-টার মধ্যেকরে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী গৃহ ত্যাগ করে যান।
লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু
লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসী পাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে
সকাল ন-টার মধ্যেকরে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র
**
:> শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-
*
লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।
**
:> শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-
*
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
**
:> শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-
*
ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।
**
:> বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
*
> অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
“নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”
°°
:> শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-
°
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”
**
লক্ষ্মী পূজার নিয়ম
:> শেষের কথা:-
*
> যেকোনো পুজোয় হোক না কেনো সব পুজোতে পুজোর একটা রীতি নীতি বা আচার
অনুষ্ঠান থাকে ভিন্ন ভিন্ন। আর থাকে ভিবিন্ন রকমের মন্ত্র ও নিয়ম। আমাদের সেই
মন্ত্র সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে পালন অর্থাৎ উচ্চারণ করে বলাটাই হলো একটু জটিল
কাজ। প্রত্যেক দেবদেবীর একটা নিজস্ব কিছু রীতি নীতি মন্ত্র ইত্যাদি থাকে। পুজোর
সময় সঠিক ভাবে পুজো করাটাও একটা মহৎ কাজ। মা লক্ষীর পুজোতে পুজোর মন্ত্র পড়ে
সুষ্ঠ ভাবে করতে হয় বা করা উচিত। তেমনি সকল প্রকার দেবদেবীর পুজোও আমাদের
বিধাতার রীতি নীতি মেনে চলাই হলো একমাত্র প্রধান কাজ। আমাদের হিন্দু শাস্ত্র
মতে অনেক দেবদেবীর পুজো আমরা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক দেবদেবীর পুজো করে থাকি
ভগবানের আশীর্বাদ পাবার জন্য। প্রত্যেক ভগবানের অর্থাৎ প্রত্যেক দেবদেবীর আলাদা
আলাদা আশীর্বাদের জন্যই আমরা পুজো করে থাকি। তাদের মধ্যে মা লক্ষী হলেন আমাদের
ধন, সম্পদ, ঐশর্য, সুখ, শান্তি, ইত্যাদি আশীর্বাদের আশায়।
অনুষ্ঠান থাকে ভিন্ন ভিন্ন। আর থাকে ভিবিন্ন রকমের মন্ত্র ও নিয়ম। আমাদের সেই
মন্ত্র সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে পালন অর্থাৎ উচ্চারণ করে বলাটাই হলো একটু জটিল
কাজ। প্রত্যেক দেবদেবীর একটা নিজস্ব কিছু রীতি নীতি মন্ত্র ইত্যাদি থাকে। পুজোর
সময় সঠিক ভাবে পুজো করাটাও একটা মহৎ কাজ। মা লক্ষীর পুজোতে পুজোর মন্ত্র পড়ে
সুষ্ঠ ভাবে করতে হয় বা করা উচিত। তেমনি সকল প্রকার দেবদেবীর পুজোও আমাদের
বিধাতার রীতি নীতি মেনে চলাই হলো একমাত্র প্রধান কাজ। আমাদের হিন্দু শাস্ত্র
মতে অনেক দেবদেবীর পুজো আমরা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক দেবদেবীর পুজো করে থাকি
ভগবানের আশীর্বাদ পাবার জন্য। প্রত্যেক ভগবানের অর্থাৎ প্রত্যেক দেবদেবীর আলাদা
আলাদা আশীর্বাদের জন্যই আমরা পুজো করে থাকি। তাদের মধ্যে মা লক্ষী হলেন আমাদের
ধন, সম্পদ, ঐশর্য, সুখ, শান্তি, ইত্যাদি আশীর্বাদের আশায়।
আরো পড়ুন,