Netaji Jayanti Rochona 2022 – 23 শে জানুয়ারি রচনা (126 তম নেতাজি
জয়ন্তী)
সুভাষচন্দ্র বসু (জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ – মৃত্যু: ১৮ আগস্ট ১৯৪৫) ছিলেন
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি নেতাজি নামে সমধিক
পরিচিত। ২৬ শে জানুয়ারি ২০২২ নেতাজির ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি নেতাজি নামে সমধিক
পরিচিত। ২৬ শে জানুয়ারি ২০২২ নেতাজির ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী।
সুভাষচন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের (Indian National Congress) সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু মহাত্মা গা ন্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত এবং
কংগ্রেসের বৈদেশিক ও আভ্যন্তরিণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করার জন্য তাঁকে
পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজির অহিংসার নীতি ভারতের
স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের
পক্ষপাতী ছিলেন। সুভাষচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা
করে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের পূর্ণ ও সত্বর স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকেন।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।”
কংগ্রেসের বৈদেশিক ও আভ্যন্তরিণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করার জন্য তাঁকে
পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজির অহিংসার নীতি ভারতের
স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের
পক্ষপাতী ছিলেন। সুভাষচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা
করে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের পূর্ণ ও সত্বর স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকেন।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।”
Netaji Jayanti Rochona
প্রথম জীবন :- ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের
কটক শহরে (ওড়িয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন
কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর
চোদ্দো সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের
ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টিওয়ার্ট
স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রর্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায়
কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ সালে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ (Scottish church college) থেকে দর্শনে সাম্মানিক সহ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কটক শহরে (ওড়িয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন
কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর
চোদ্দো সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের
ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টিওয়ার্ট
স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রর্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায়
কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ সালে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ (Scottish church college) থেকে দর্শনে সাম্মানিক সহ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
আরো পড়ুন,
এরপর সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজউইলিয়াম হলে
উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে তিনি
প্রায় নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই
নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “কোনো সরকারের
সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে [নিজেকে] প্রত্যাহার
করে নেওয়া”। এই সময় অমৃতসর হত্যাকাণ্ড ও ১৯১৯ সালের দমনমূলক রাওলাট আইন
ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল। ভারতে ফিরে সুভাষচন্দ্র
স্বরাজ নামক সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস
কমিটির প্রচার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায়
উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২৪ সালে
দেশবন্ধু যখন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন সুভাষচন্দ্র
তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। ১৯২৫ সালে অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে
তাঁকেও বন্দী করা হয় এবং মান্দালয়ে নির্বাসিত করা হয়। এখানে তিনি
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে তিনি
প্রায় নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই
নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “কোনো সরকারের
সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে [নিজেকে] প্রত্যাহার
করে নেওয়া”। এই সময় অমৃতসর হত্যাকাণ্ড ও ১৯১৯ সালের দমনমূলক রাওলাট আইন
ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল। ভারতে ফিরে সুভাষচন্দ্র
স্বরাজ নামক সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস
কমিটির প্রচার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায়
উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২৪ সালে
দেশবন্ধু যখন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন সুভাষচন্দ্র
তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। ১৯২৫ সালে অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে
তাঁকেও বন্দী করা হয় এবং মান্দালয়ে নির্বাসিত করা হয়। এখানে তিনি
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 126 তম জন্মবার্ষিকী রচনা
সুভাষচন্দ্র ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তিনি ধ্যানে অনেক সময়
অতিবাহিত করতেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্ত্বার জন্য পরিচিত
ছিলেন।
অতিবাহিত করতেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্ত্বার জন্য পরিচিত
ছিলেন।
কর্মজীবন ও রাজনীতিতে প্রবেশ :- প্রায় বিশ বছরের মধ্যে
সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের
বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা
হয়। ১৯৩৪ সালে তিনি তাঁর প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কল এর সাথে পরিচিত হন
ভিয়েনাতে। ১৯৩৭ সালে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন।
সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের
বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা
হয়। ১৯৩৪ সালে তিনি তাঁর প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কল এর সাথে পরিচিত হন
ভিয়েনাতে। ১৯৩৭ সালে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সরকার তাকে শুধু মাত্র ধর্মীয়
আচার-অনুষ্ঠান পালনের উদ্দ্যেশে কিচ্ছুক্ষণের জন্য কলকাতা আসার অনুমতি
দেয়। ১৯৩৮ সালে তিনি গান্ধির বিরোধীতার মুখে ভারতীয় কংগ্রেসের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা
সেসনে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে গান্ধি পট্টভি
সিতারামায়াকে সমর্থন দেন; নির্বাচনের ফলাফল শোনার পর গান্ধি বলেন
“পট্টভির হার আমার হার”। কিন্তু জয়যুক্ত হলেও তিনি সুষ্ঠু ভাবে কার্য
সম্পাদন করতে পারছিলেন না। গান্ধীর অনুগামীরা তার কাজে বাধা সৃষ্টি
করছিলেন। গোবিন্দ বল্লভ পন্থ এইসময় একটি প্রস্তাব পেশ করেন যে,
“কার্যনির্বাহক পরিষদকে পুনর্গঠন করা হোক”।
আচার-অনুষ্ঠান পালনের উদ্দ্যেশে কিচ্ছুক্ষণের জন্য কলকাতা আসার অনুমতি
দেয়। ১৯৩৮ সালে তিনি গান্ধির বিরোধীতার মুখে ভারতীয় কংগ্রেসের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা
সেসনে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে গান্ধি পট্টভি
সিতারামায়াকে সমর্থন দেন; নির্বাচনের ফলাফল শোনার পর গান্ধি বলেন
“পট্টভির হার আমার হার”। কিন্তু জয়যুক্ত হলেও তিনি সুষ্ঠু ভাবে কার্য
সম্পাদন করতে পারছিলেন না। গান্ধীর অনুগামীরা তার কাজে বাধা সৃষ্টি
করছিলেন। গোবিন্দ বল্লভ পন্থ এইসময় একটি প্রস্তাব পেশ করেন যে,
“কার্যনির্বাহক পরিষদকে পুনর্গঠন করা হোক”।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ :- সুভাষ চন্দ্র বসু প্রস্তাব করলেন, কবে
ব্রিটিশরা ভারতীয়দের স্বাধীনিতার অনুমোদন দেবে তার জন্য বসে না থেকে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে সুবিধা নেওয়া উচিত।
তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নির্ভর করে অন্য দেশের
রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সমর্থনের উপর। তাই তিনি ভারতের জন্য
একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ব্রিটিশরা ভারতীয়দের স্বাধীনিতার অনুমোদন দেবে তার জন্য বসে না থেকে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে সুবিধা নেওয়া উচিত।
তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নির্ভর করে অন্য দেশের
রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সমর্থনের উপর। তাই তিনি ভারতের জন্য
একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ভারত থেকে পলায়ন:-
ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে সুভাষ বসু
নাখোশ ছিলেন। তিনি সে সময় গৃহবন্দি ছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন
ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বে না। তাই তিনি দুইটি মামলা বাকি
থাকতেই আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানী পালিয়ে
যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আফগানিস্তানের পশতু ভাষা না জানা
থাকায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশের নেতা
মিয়া আকবর শাহকে তার সাথে নেন। যেহেতু তিনি পশতু ভাষা জানতেন না
তাই তাঁর ভয় ছিল, আফগানিস্তানবাসীরা তাকে ব্রিটিশ চর ভাবতে পারে।
তাই মিয়া আকবর শাহের পরামর্শে তিনি অধিবাসীদের কাছে নিজেকে একজন
কালা ও বোবা বলে পরিচিত করেন। সেখান থেকে সুভাষ বসু মস্কো গমন করেন
একজন ইতালির কাউন্ট অরল্যান্ডো মাজ্জোট্টা” নামক এক নাগরিকের
পরিচয়ে। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিনি জার্মানী পৌঁছেন। তিনি বার্লিনে
মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র (Free India Center) গড়ে তোলেন।
ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের
সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে
হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়। ফলে ১৯৪৩ সালে সুভাষ বসু
জার্মান ত্যাগ করেণ। একটি জার্মান সাবমেরিন তাকে সমুদ্রের তলদেশে
একটি জাপানি সাবমেরিনে পৌঁছে দেয়, সেখান থেকে তিনি জাপান পৌঁছেন।
এদিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বীরত্বে হিটলার-তোজো’র মতো
একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসীরাও তাঁর সামনে মাথা অবনত করে মৈত্রীর দিকে
হাত বাড়ান। ভারতের অরবিন্দ ঘোষ, সূর্য সেন, ভগৎ সিংয়ের মতো
নেতারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুলের মতো কবিরা তাঁর আদর্শে
অনুপ্রাণিত হন। সমস্ত ভারতবাসীর নয়নমণি হয়ে উঠেন নেতাজী।
নাখোশ ছিলেন। তিনি সে সময় গৃহবন্দি ছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন
ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বে না। তাই তিনি দুইটি মামলা বাকি
থাকতেই আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানী পালিয়ে
যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আফগানিস্তানের পশতু ভাষা না জানা
থাকায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশের নেতা
মিয়া আকবর শাহকে তার সাথে নেন। যেহেতু তিনি পশতু ভাষা জানতেন না
তাই তাঁর ভয় ছিল, আফগানিস্তানবাসীরা তাকে ব্রিটিশ চর ভাবতে পারে।
তাই মিয়া আকবর শাহের পরামর্শে তিনি অধিবাসীদের কাছে নিজেকে একজন
কালা ও বোবা বলে পরিচিত করেন। সেখান থেকে সুভাষ বসু মস্কো গমন করেন
একজন ইতালির কাউন্ট অরল্যান্ডো মাজ্জোট্টা” নামক এক নাগরিকের
পরিচয়ে। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিনি জার্মানী পৌঁছেন। তিনি বার্লিনে
মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র (Free India Center) গড়ে তোলেন।
ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের
সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে
হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়। ফলে ১৯৪৩ সালে সুভাষ বসু
জার্মান ত্যাগ করেণ। একটি জার্মান সাবমেরিন তাকে সমুদ্রের তলদেশে
একটি জাপানি সাবমেরিনে পৌঁছে দেয়, সেখান থেকে তিনি জাপান পৌঁছেন।
এদিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বীরত্বে হিটলার-তোজো’র মতো
একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসীরাও তাঁর সামনে মাথা অবনত করে মৈত্রীর দিকে
হাত বাড়ান। ভারতের অরবিন্দ ঘোষ, সূর্য সেন, ভগৎ সিংয়ের মতো
নেতারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুলের মতো কবিরা তাঁর আদর্শে
অনুপ্রাণিত হন। সমস্ত ভারতবাসীর নয়নমণি হয়ে উঠেন নেতাজী।
ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী :- (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি) মূলত গড়ে উঠেছিল জাতীয়তাবাদী নেতা রাসবিহারী বসুর হাতে, ১৯৪৩
সালে রাসবিহারি বসু এই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সুভাষ চন্দ্র বসুকে
হস্তান্তর করেণ । একটি আলাদা নারীবাহিনী (রানি লক্ষ্মীবাঈ কমব্যাট)
সহ এতে প্রায় ৮৫,০০০ (পঁচাশি হাজার) সৈন্য ছিল। এই বাহিনীর
কর্তৃত্ব ছিল প্রাদেশিক সরকারের হাতে, যার নাম দেওয়া হয় “মুক্ত
ভারতের প্রাদেশিক সরকার” (আর্জি হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ)। এই সরকারের
নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও আইন ছিল। অক্ষ শক্তির ৯টি দেশ এই সরকারকে
স্বীকৃতি দান করে। আই.এন.এ.-র সৈন্যরা জাপানিজদের আরাকান ও
মেইক্টিলার যুদ্ধে সাহায্য করে।
সালে রাসবিহারি বসু এই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সুভাষ চন্দ্র বসুকে
হস্তান্তর করেণ । একটি আলাদা নারীবাহিনী (রানি লক্ষ্মীবাঈ কমব্যাট)
সহ এতে প্রায় ৮৫,০০০ (পঁচাশি হাজার) সৈন্য ছিল। এই বাহিনীর
কর্তৃত্ব ছিল প্রাদেশিক সরকারের হাতে, যার নাম দেওয়া হয় “মুক্ত
ভারতের প্রাদেশিক সরকার” (আর্জি হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ)। এই সরকারের
নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও আইন ছিল। অক্ষ শক্তির ৯টি দেশ এই সরকারকে
স্বীকৃতি দান করে। আই.এন.এ.-র সৈন্যরা জাপানিজদের আরাকান ও
মেইক্টিলার যুদ্ধে সাহায্য করে।
অন্তর্ধান ও তথাকথিত মৃত্যু :- একটি মতে নেতাজী
সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দী অবস্থায়, সাইবেরিয়াতে মৃত্যুবরণ
করেন। আর একটি মতে, বর্তমানে রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির
চিতাভষ্ম পরীক্ষা করে জানা গেছে -ঐ চিতাভস্ম নেতাজির নয়। আসলে
ভারতবর্ষে নেতাজির তুমুল জনপ্রিয়তায় ঈর্স্বানিত হয়ে একদল
উঁচুতলার ভারতীয় নেতা এবং ইংরেজ সরকার মিলিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে
নেতাজীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ভারতীয় সরকার কখনো নেতাজি
সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে আনেন নি। অনেকের
মতে ফৈজাবাদের ভগবান জি ওরফে গুমনামি বাবা হলেন নেতাজি।
কিন্তু এ ব্যাপারটি আজও স্পষ্ট নয়। আরেকটি মতে নেতাজী নাকি আজও
জীবিত।
সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দী অবস্থায়, সাইবেরিয়াতে মৃত্যুবরণ
করেন। আর একটি মতে, বর্তমানে রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির
চিতাভষ্ম পরীক্ষা করে জানা গেছে -ঐ চিতাভস্ম নেতাজির নয়। আসলে
ভারতবর্ষে নেতাজির তুমুল জনপ্রিয়তায় ঈর্স্বানিত হয়ে একদল
উঁচুতলার ভারতীয় নেতা এবং ইংরেজ সরকার মিলিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে
নেতাজীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ভারতীয় সরকার কখনো নেতাজি
সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে আনেন নি। অনেকের
মতে ফৈজাবাদের ভগবান জি ওরফে গুমনামি বাবা হলেন নেতাজি।
কিন্তু এ ব্যাপারটি আজও স্পষ্ট নয়। আরেকটি মতে নেতাজী নাকি আজও
জীবিত।