Bengali Adult Story – বড়দের গল্প – চাঁদনীর প্রতিশোধ
Bengali Adult Story
যে শাস্তির দরকার ছিল। ওটা একটা নরকের কীট। ওর বাঁচার কোন অধিকার নেই।
ভেসে আসা আপনজনদের আহ্বান আউউউউ
ডেলিভারি রুমে জন্ম হোল এক কন্যা সন্তানের।
করে কেঁদে উঠলো। রুমের ভিতরে থাকা সকলেই যেন চমকে উঠল। কিন্তু অর্ধ চেতন
মা তার কিছুই টের পেল না।
মায়াবী।
ছটফট করে। আর কান্নাটাও বড় অদ্ভুত।কিন্তু ওর মা এটাকে সাধারণ ভেবেই গুরুত্ব
দেয় না।
ভিতরে একটু একটু করে হতে থাকা অস্বাভাবিক পরিবর্তন গুলো সবার নজর এড়িয়ে যায়।
চাঁদনীকে। ও বুঝতে পারে না,কেন পূর্ণিমা আসলে ওর শরীরটা অস্থির হয়ে ওঠে। একটা
ভয়ঙ্কর শক্তি ভর করে ওর ওপর।কেন মনে হয় ওর বাবা মা ওর আপন নয়। যারা আপন তারা
অন্য কোথাও আছে। এত আলো, আওয়াজের মধ্যেও তাদের ডাক শুনতে পায় ও। আর একটা অন্য
রকম পিপাসা অনুভব করে , সেটা মটেই জলের না। অন্য কিছুর..
কোন উত্তর পায় না খুঁজে পায়না চাঁদনী। কেই বা দেবে উত্তর। ও ওর বাবা মা কে
কিছুই জানায় না। তাঁরা চিন্তা করবেন বলে। ওর বাবা মা দুজনেই চাকরি করেন। সকালে
বেরোন আর রাতে ফেরেন। তাই আর কিছু বলা হয়না ওর।
কিছু প্রাক্টিক্যাল এর কাজ করছে। কাঠ পেন্সিলে সিসটা ভোতা হয়ে গেছে। পেন্সিলটা
কাটা দরকার।
হাতের তর্জনীটা কেটে যায়। অভ্যেস বশে আঙ্গুল চলে যায় মুখে। আজ রক্তের
স্বাদটা যেন অন্যরকম। যেন মনে হয় এই সেই পানীয় যা খেলে পিপাসা মেটে। ঈসস কি
সব ভাবছে ও যা তা। আনমনে চোখ চলে যায় বাইরে। পূর্ণিমার চাঁদটা কে কি
মায়াবী লাগছে। সুদূর কোথা থেকে ভেসে আসছে আপনজন দের আহ্বান আউউউউ।
কাটছিল। ওর বাদামি চোখ, গজ দাঁতের হাসি অনেকেরই মন কেড়েছে।
বদমাশ ছেলে। রাজনীতি আর মেয়ে এই দুই নিয়ে মেতে থাকতে বেশি পছন্দ ওর। মেয়েরা
যেন ওর নিজস্ব সম্পত্তি। সম্মতিতে হোক বা বলপূর্বক কোনো মেয়েকে পছন্দ হলে যত
দিন না তাকে ভোগ করতে পারছে তত দিন শান্তি নেই ওর। আর রাজনৈতিক বাবা আছে ওর
পিছনে। যার জন্য একটা নর খাদকে পরিণত হয়েছে রনিত।
Best Bengali Novels For Adults
উফফ কি দারুন হাসিটা। এই মেয়েকে ভোগ করতে না পারলে কি আর করল এত দিন
সে।
রনিতের কুকীর্তির কথা জানতে বাকি নেই। ও ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে চলে যায় ওখান
থেকে। রনিতের মনখুন্ন হলেও কিছু বলে না। শুধু টার্গেট করে রাখে।
চাঁদনীর এড়িয়ে যাওয়া রনিতকে খেপিয়ে তোলে। এবার তো অন্য পথ নিতে হবে। মনে
মনে ভাবে রনিত।
হাত মুখ বেঁধে , চাঁদনীকে তোলে রনিতদের বাগানবাড়িতে। একটা ইনজেকশন দেওয়াতে সব
বুঝতে পারলেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকেনা ওর।
ভিডিও ক্লিপ নিয়ে। হা হা হা হা রনিত হাসে জয়ের হাসি।
কেও জানায় না ওর জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা।
কত মেয়েকে নরকের কীটটার লালসার শিকার হতে হবে।
ভালোই জেনে গেছে ওর ভিতরের শক্তির কথা। এখন শুধুই প্রতীক্ষা।
একমাত্র লক্ষ্য। রনিতের সব খবর রাখাই ছিল চাঁদনীর একমাত্র কাজ।
নাকি রনিতের প্রিয় রং। লাল লিপস্টিক। আজ অপরূপ লাগছে ওকে।
নেই। কলিং বেলের শব্দে বিরক্ত রনিত। ধুর, মদ খাওয়ার সময় বিরক্ত মোটেই পছন্দ
নয় ওর। কোন বাল এসেছে কে জানে। রাগে গজর গজর করতে করতে দরজা খুলে অবাক
রনিত। ঢুলু ঢুলু চোখে দেখতে থাকে চাঁদনীকে। কি দারুন লাগছে ওকে।
চাঁদনী হেসে বলল, কি বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি। ভিতরে ডাকবে না
? রনিত খুসিই হয়। সে মনে মনে ভাবে ,আজ মন টা বড়ই মেয়ে মেয়ে করছিল। এত
মেঘ না চাইতেই জল। চাঁদনীকে সাদর আমন্ত্রণ করে ও।
রনিতকে বাগানে নিয়ে আসে ও। কি দারুন মোহময়ী লাগছে চারিদিক। চাঁদের আলো আজ যেন
বেশিই উজ্জ্বল। আর এই চাঁদকেই তো ও ওর প্রতিশোধের সাক্ষী রাখতে চায়। চাঁদের
সাথে চাঁদনীর যে আত্মার সম্পর্ক।
খেলা করতে চাইছে চাঁদনীর শরীরজুড়ে। চাঁদনীও আজ বেপরোয়া। শিকারের আগে শিকারিকে
খেলাতে হবে তো। ওর ঠোট খেলা করতে থাকে অবাধে। আস্তে আস্তে নিজের মুখটাকে নিয়ে
আসে রনিতের ঘাড়ের কাছে। ভালোবাসার কাঁমড়ের বদলে রনিতের ঘাড়ে দেয় এক মরন
কাঁমড়। আজ যে ওর গজদন্ত গুলো একটু বেশিই বড় আর ধারালো। নখ গুলো আরও বড় আর
তীক্ষ্ম।
মেয়েটির মধ্যে এমন পাশবিক শক্তি এল কোথা থেকে। ওর নরম শরীরটা এমন লোমশ হয়ে
গেল কি করে। কিন্তু চাঁদনীকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই রনিতের। চাঁদনী
মরন কামড় দিয়ে তুলে নেয় রনিতের ঘার থেকে এক খাবলা মাংস। ফিনকি দিয়ে রক্ত
ছোটে। আস্তে আস্তে রনিত ঢোলে পরে মরনের কোলে।
রনিতের রক্ত মেখে । চাঁদের আলোয় চিকচিক করছে রক্তে মাখা চাঁদনির শরীর। চাঁদও
মনে হয় আজ খুব খুশি। চাঁদের হাসি যেন আজ বাঁধ ভেঙ্গেছে।
সমস্বরে সংবর্ধনা জানাছে চাঁদনিকে আউউউউ।
পেছনের ইতিহাস ওকে যে জানতেই হবে ।
প্রশ্ন করবে ?ওনারা কি জানেন চাঁদনীর এই আর একটা রূপের কথা?
তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় নিজের ঘরের দিকে।
Boroder Golpo
বাবু।
একটি বাচ্চা ছেলেকে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন একজন নিঃসন্তান
দম্পতি। রাস্তায় আলো না থাকলেও পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল
সবকিছু। বাচ্চা ছেলেটির হাত দিয়ে তখন গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে।
চিকিৎসা করার পর বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
বড়দের গল্প
বাড়ির ঠিকানা, বাবা মার নাম জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলতে পারে না ও। সবকিছুই যেন
স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ছেলেটিকে। নাম দেয় সুপ্রীত মিত্র।
হওয়ার সাথে সাথে ওর শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন হতে থাকে।
সবার অলক্ষ্যে। হায়ার স্টাডি জন্য সুপ্রীত পাড়ি দেয় বিদেশে।
থেকে প্রেম হতে বেশি সময় লাগেনি।
দুজনে।
ও নেকড়ে মানবে পরিনত হল তা আজও ওর কাছে অজানা।
এরপর পূর্ণিমার রাত গুলোতে কোন বাহানায় সুপ্রীত আলাদা থাকতো
অমৃতার থেকে। তবে তা ভাবিয়ে তুলত অমৃতাকে।
ওকে নিরস্ত করা যাচ্ছে না।
বারোটা দশে পূর্ণিমা লাগবে। তার আগেই অমৃতার থেকে সরে যেতে হবে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পূর্ণিমা লাগবে।
হঠাৎ শরীরের ভেতর অস্থির লাগতে শুরু করে সুপ্রিতের। যে করেই হোক পুরোপুরি
নেকড়ে মানব হওয়ার আগে ওকে সরে যেতে হবে অমৃতা থেকে।
খেতে ইচ্ছা করছে ওর।
করতে হবে।
করে নিজেকে।
হঠাৎ লক্ষ্য করে অমৃতের বুকে যেখানে অসাবধানতাবশত দাঁত লেগে গিয়েছিল সেখানে
কিছুটা রক্ত বেরিয়ে এসেছে।
দেখেছিল গতরাতে।
পরিনত হয়েছে ও জানেনা।
মানবী।