Bangla Love Story – বাংলা প্রেমের গল্প

Bongconnection Original Published
13 Min Read


 Bangla Love Story – বাংলা প্রেমের গল্প

Bangla Love Story - বাংলা প্রেমের গল্প
Loading...


Bangla Love Story Golpo

Loading...
হঠাৎ বৃষ্টি
– অতসী দাস
           
 আজ ১৮তম জন্মদিন বৃষ্টির। সেই উপলক্ষে বাড়িতে অনেক লোক। আত্মীয় স্বজন
ছাড়াও এসেছে স্কুলের সব বন্ধু-বান্ধব ও তাদের বাবা-মা। একে তো সাবালিকা হচ্ছে
সেই আনন্দ, তার সাথে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভীষণ ভালো ফল করেছে
বৃষ্টি। বাড়িতে আজ তাই ভীষণ খুশির দিন। সন্ধ্যে হতে না হতেই সবাই এসে হাজির।
সবাই ডাকছে তাকে কেক কাটার জন্য। কিন্তু বৃষ্টি যাচ্ছে না। সে অপেক্ষা করে আছে
তার প্রিয় বন্ধু সায়ন্তনের। সায়ন্তন না এলে সে কেকই কাটবে না। অগত্যা সবাই
অপেক্ষা করে রইল সায়ন্তন আসার।

 ঠিক সন্ধ্যা আটটায় সায়ন্তন ঢুকলো তার মা বাবাকে নিয়ে। তাকে দেখেই লাফ
দিয়ে উঠলো বৃষ্টি।

“এইতো শয়তান ছেলেটা এতক্ষণে এসেছে। জানিস না তুই না এলে আমি কেক কাটবো না!
তাহলে এত দেরি করলি যে!”
 তাকে থামিয়ে দিয়ে সায়ন্তন বলল,
“আরে বাবা তিনটে ওলা ক্যান্সেল হল। চল…চল..আর দেরি করিস না। সবাই অপেক্ষা
করছে তাড়াতাড়ি কেক কাট।”
 ঘর শুদ্ধ সবাই গেল কেক কাটা দেখতে। কেক কেটে প্রথম টুকরোটা গেল
সায়ন্তনের মুখে। ঘর শুদ্ধ অনেকেই একে অপরের মুখের দিকে দেখছে আড়চোখে।
সায়ন্তনের মা শেফালী খেয়াল করলেন সেই দিকে। মনে মনে হাসলেন ও একটু। আসলে কিছু
মানুষ এখনও সেই আদ্যিকালের বাঁধাধরা নিয়মের ও ভাবনার বিরুদ্ধে ভাবতে শেখেনি।
একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যে প্রেমিক প্রেমিকা না হয়ে শুধুমাত্র ভালো বন্ধু হতে
পারে সেই ধারণা অনেকেরই নেই।
 জন্মদিনটা কাটলো বেশ ভালোভাবেই। রাতে বাড়ি ফেরার সময় গাড়িতে বসে
শেফালী ছেলেকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসা করল,
“হ্যাঁরে, বৃষ্টিদের বাড়িতে এত বন্ধু এসেছিল অথচ তোর খাতির একটু বেশি
দেখছিলাম। ব্যাপারটা কী হ্যাঁ? আমাকে আর বাবাকে লুকিয়ে কিছু হচ্ছে নাকি?”
“ধুস মা, কি যে বল, তোমাদের না বলে কখনো কিছু করেছি! আর কেউ না জানুক তোমরা খুব
ভালোই জানো যে আমরা দুজন খুব ভালো বন্ধু।”

 পাশে বসে এতক্ষণ স্ত্রী আর ছেলের কথা শুনছিল অলক। এবার হাসতে হাসতে
ছেলেকে বলল,

“আমার কিন্তু মেয়েটিকে বেশ পছন্দ। তবে যা কিছুই করো পড়াশুনোর যেন ক্ষতি না
হয়।”

Bangla Love Story 2021

“বাবা, তুমিও মায়ের কথা শুনছো?”
 এবার তিনজনেই হা হা করে হেসে উঠলো।
 সায়ন্তন শেফালী আর অলকের পারস্পরিক সম্পর্ক সত্যিই অনেক ছেলেমেয়ের
হিংসা করার মত। কোন মা-বাবা যে সন্তানের সাথে এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে
পারে তা ওদের না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। অলক আর শেফালী দুজনেই খুব
কনসারভেটিভ ফ্যামিলিতে অনেক শাসনের ভিতর বড় হয়েছে। ফলে বাবা-মায়ের সঙ্গে
কখনোই মনের কথা বলতে পারতো না। সেই সময়ে তাদের এমন অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে
হয়েছে যার সমাধান খোঁজা তাদের পক্ষে খুব কষ্টকর ছিল। তাই সায়ন্তন জন্মানোর
আগেই তারা দুজনে মিলে ঠিক করেছিল যে, ছেলে হোক বা মেয়ে তার সাথে তারা কখনোই
এমন ব্যবহার করবে না যাতে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় অনেকখানি। বরং সম্পর্ক করবে
এমন জাতে সন্তান সম্মান করে আবার বন্ধুও ভাবতে পারে। ভগবানও ইচ্ছা পূরণ করেছেন
তাদের। সায়ন্তন কখনোই মা-বাবার অবাধ্য হয়নি। আবার বন্ধুর মতো সমস্ত বিষয় ভাগ
করে নিয়েছে মা-বাবার সাথে। শুধু মা-বাবা কেন দাদু দিদা মাসি সবার সাথেই তার
অদ্ভুত এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
 উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর সায়ন্তন ভর্তি হয়েছে বিসি এ তে। কলকাতার
হেরিটেজ কলেজে ভর্তি হয়েছে সে। বৃষ্টি চলে গেছে প্যারামেডিকেলে। দুর্গাপুরে
তার কলেজ। অন্য আরও বন্ধুরা চলে গেছে বিভিন্ন কোর্সে। কেউ ডাক্তার,কেউ
ইঞ্জিনিয়ার, আবার কেউ বা জেনারেল লাইনে পড়াশুনা করছে। হঠাৎ করেই বন্ধুদের
মধ্যে চলে এসেছে বেশ খানিকটা দৈহিক দূরত্ব। তবে মানসিক দূরত্বটা তারা কখনো আসতে
দেয়নি।
 দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিনটে বছর। সায়ন্তন বিসিএ কমপ্লিট করে উইপ্রোতে
চাকরি নিয়ে চলে গেছে ব্যাঙ্গালোর। বৃষ্টির প্যারা মেডিকেল কমপ্লিট করতে এখনো
এক বছর বাকি। এই তিন বছরে তাদের মধ্যে যোগাযোগের হয়েছে বহুবার। একে অপরের
জন্মদিনে সবসময়ই যোগ দিয়েছে ওরা। অন্য বন্ধুরাও যথাসম্ভব যোগাযোগ রেখেছে। তবে
একই কলেজে পড়লে যতটা যোগাযোগ থাকে দূরে থাকলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সামান্য
হলেও তৈরি হয়। সবাই এখন নিজেদের জায়গায় নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করেছে। বেশ
অনেকটা সময় তারা কাটায় সেইসব বন্ধুদের সাথে। ফলে একে অপরের সঙ্গে যখন গল্প
করে স্বভাবতই উঠে আসে সেইসব বন্ধুদের কথা। সায়ন্তন খেয়াল করে বৃষ্টি কখনো কোন
ছেলে বন্ধুর সম্পর্কে বেশি কথা বললে মনে মনে কেমন একটা বিরক্তি অনুভব হয় তার।


New Bangla Love Story 

 কিছুদিন যাবত সমীর নামের একটা ছেলের কথা বারবার বলছে বৃষ্টি। এখন ওর সাথে
নাকি খুবই বন্ধুত্ব হয়েছে। একসাথে দুজন প্যারামেডিকেল পড়ছে। ব্যাপারটা
একেবারেই ভালো লাগছেনা সায়ন্তনের। কিন্তু কেন? নিজেকেই সে বারবার প্রশ্ন করছে।
বৃষ্টি তো তার খুব ভালো বান্ধবী। তারা তো আর প্রেমিক প্রেমিকা নয়। তাহলে কেন
বৃষ্টি আর সমীরের বন্ধুত্বকে মেনে নিতে পারছে না সে। তাহলে কি নিজের অজান্তেই
বৃষ্টিকে সে ভালোবেসে ফেলেছে? একই প্রশ্ন বেশ কয়েকদিন ধরে নিজেকে করেই শেষমেষ
সে এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, বৃষ্টিকে সে ভালোবাসে। কিন্তু এই ভালোবাসার কথা
কিভাবে সে বলবে তাকে! বৃষ্টি বা কি ভাববে তার সম্পর্কে? হয়তো বৃষ্টি তাকে শুধু
মাত্র প্রিয়বন্ধু হিসেবেই দেখে। এখন যদি সে হঠাৎ করেই তাকে বলে, যে সে তাকে
ভালবেসে ফেলেছে, তাহলে ভালোবাসা দূরের কথা হয়তো বন্ধুত্বটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
কিন্তু তাদের ভিতরের এই বন্ধুত্বকে কোন মূল্যেই নষ্ট করতে চায়না সায়ন্তন। তাই
এবার সে অন্য ফন্দি আঁটে।
 রবিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বৃষ্টিকে ফোন করে সায়ন্তন। এখন তার
উদ্দেশ্য ছলে বলে বৃষ্টির মনের কথা জানার। বৃষ্টি তাকে কি নজরে দেখে সেটা না
বুঝে এগোনো একেবারেই উচিত নয়। আর সেটা বোঝার জন্যই সে হঠাৎই বলে,
“জানিস বৃষ্টি, আমি এখানে আমার অফিসের একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছি। মেয়েটা
অবশ্য অবাঙালি। তবে দুই বাড়ি থেকে কোন অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।”
 তার কথা শুনে খিলখিল করে হেসে ওঠে বৃষ্টি। তারপর বলে,
“যাক বাবা তোর একটা হিল্লে হল। এবার থেকে আমাকে বিরক্ত না করে ওকেই করবি। আর
শোন তোকেওনা আমার একটা কথা বলার ছিল, দুদিন আগে সমীর আমাকে প্রপোজ করেছে।”
“তুই কি বললি?”
“কি আবার বলবো, তুই তো জানিস….”
 এই বলে কি যেন একটা বলতে যাচ্ছিল বৃষ্টি। কিন্তু তাকে থামিয়ে দিয়েই
সায়ন্তন বলল,
“দাঁড়া দাঁড়া আমার একটা ইমার্জেন্সি কল আসছে, তোকে আমি পরে ফোন করছি।”


 এই বলে ফোনটা কেটে দিল সায়ন্তন। আসলে কোনো ফোন আসেনি। সমীরের কথাটা বলায়
হঠাৎ করেই মনটা এতটাই ভারী হয়ে গেছে যে, আর কোনো কথা বলার ইচ্ছা হচ্ছিল না।
এখন ফোনটা রেখে সে ধন্যবাদ জানাচ্ছে নিজের বুদ্ধি কে। ভাগ্যিস না বুঝে আগেই তার
ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেয়নি বৃষ্টিকে। এতদিনের বন্ধুত্বের মধ্যে এক্ষুনি একটা
ফাটল ধরে যেত। যাক ও যাকে ভালবাসে তাকে নিয়ে সুখী হোক।
 এরপর কেটে গেছে আরো তিনটে বছর। এখনো সায়ন্তন ও বৃষ্টির ভিতর বন্ধুত্ত্ব
আছে। তবে আগের মত এখন আর একে অপরের জন্মদিনে দেখা হয় না। সায়ন্তন জন্মদিনে আর
কলকাতায় আসে না। বৃষ্টিও দুর্গাপুরের ওখানেই একটা দামী নার্সিংহোমে চাকরি
করছে। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয় একে অপরের সাথে। আসলে সময়ের সাথে সাথে সম্পর্ক
গুলো মনে হয় পরিবর্তিত হয় এই ভাবেই। গাছে নতুন পাতা জন্মালে যেমন পুরানো পাতা
ঝরে যায়, ঠিক সেভাবেই মানুষের জীবনে নতুন সঙ্গী এলে পুরানো বন্ধুরা আস্তে
আস্তে সরে যায় দূরে। আর প্রত্যেকটা মানুষই সেটা কে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেনে
নেয়।
 কিছুদিন ধরে শেফালী বড় জেদ ধরেছে ছেলের বিয়ের জন্য। দূরে থেকে ছেলে কি
খাচ্ছে, কতটা নিজের যত্ন নিচ্ছে কিছুই সে নজর রাখতে পারে না। তাই এখন ছেলের
বিয়ে দেবে বলে উঠে পড়ে লেগেছে। কয়েক মাস ধরে সমানে সায়ন্তন কে ফোন করে বলছে
সেই কথা। এতদিন ধরে না করলেও এবার সায়ন্তন রাজি হয়েছে। শেফালী তাই মন দিয়ে
ছেলের বউ খোঁজা শুরু করেছে।
 পুজোর সময় সায়ন্তন বাড়ি এসেছে ছুটিতে। শেফালী একটা মেয়েও দেখে
রেখেছে। এখন ছেলে তাকে পছন্দ করলেই চার হাত এক করে দেবে। রাতে খেতে বসে সে
ছেলেকে বলল,
“তোর জন্য একটা ভালো সম্বন্ধ দেখেছি। মেয়েটা ভীষণ ভালো। এখানে চাকরি করে। তবে
বলেছে বিয়ের পর তোর সাথে ব্যাঙ্গালোরে চলে যাবে। ওখানে গিয়ে আবার নতুন করে
কিছু করবে। দুজনেই চাকরি করবি। তোরা একে-অপরের খেয়াল রাখতে পারবি, আবার একসাথে
থাকবি বন্ধুর মত। ঘরে ফিরে সারাদিনের কথা বলার মত একটা মানুষ লাগে সবার। যথেষ্ট
বড় হয়েছিস এখন আর একা একা থাকা ভালো লাগেনা। এবার একটু বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা
ছেড়ে সংসারী হও।”
মায়ের কথা চুপ করে শোনে ছেলে। 
পরেরদিন দুপুরে মেয়ে দেখতে যাবার কথা। মেয়ের বাড়ি নাকি কলকাতার বাইরে। অত
দূরে গিয়ে মেয়ে দেখা সম্ভব নয়। তাই গড়িয়াহাটে মেয়ের মাসির বাড়ি থেকেই
দেখাশোনা হবে। বিকেল পাঁচটার দিকে সায়ন্তন মা-বাবাকে নিয়ে পৌঁছাল মেয়ের
মাসির বাড়ি। বসার ঘরে বসে সকলেই এক সঙ্গে গল্প করছে। সায়ন্তনের অবশ্য সেই
গল্পে মন নেই। আপন মনেই সে মাথা হেঁট করে দেখছে মেঝের দিকে আর কি যেন ভেবে
যাচ্ছে মনে মনে। এমন সময় মা কাঁধে হাত দিয়ে ফিসফিস করে বললেন,
“এই, মেয়ে এসে গেছে তো।”

Bangla Premer Golpo

মেঝে থেকে নজর সরিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো সায়ন্তন। চায়ের ট্রে
হাতে সামনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি। তাকে দেখেই এক ঝটকায় উঠে দাঁড়ালো সায়ন।
“কিরে তুই এখানে?”
“হ্যাঁ, এটাতো আমার মাসির বাড়ি। তা তুই আমার মাসির বাড়িতে কি করছিস?”
“বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখছি তুই। তা সমীর কি
বিয়ে করলো না? ল্যাং মেরেছে তো! ঠিক হয়েছে, কে সহ্য করবে তোকে?”
“ফালতু কথা বলিস না সায়ন। সমীরের সাথে কোনদিনই আমার কিছু ছিল না। আসলে তুই তোর
অবাঙালি বান্ধবীর কাছে লেঙ্গী খেয়েছিস, তাই এখন ভাঙা মন নিয়ে অন্যের বাড়ি
বাড়ি মেয়ে দেখে ঘুরছিস। তাহলে ভাব তুই কতটা অসহ্য।”
 বৃষ্টির কথায় অবাক হয়ে গেল সায়ন্তন।
“মানে! তুই তো বলেছিলি যে সমীরকে তোর ভালো লাগে। ও তোকে প্রপোজ করেছে।”
“হ্যাঁ, বলেছিলাম প্রপোজ করেছে। কিন্তু আমি রাজি কি অরাজি সেটা কি তুই
জেনেছিলি? এই তিন বছরে কোনদিন কি আমার মুখে শুনেছিস আমাদের প্রেমের গল্প?”
 এখন সায়ন্তন ভেবে দেখল সত্যিই তো এই ক’বছরে ওদের নিজেদের প্রেমিক বা
প্রেমিকার গল্প ওরা তো কখনো করেনি। আসলেই সেই দিনের সেই গল্পের পর ওরা দুজনেই
কেমন গুটিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে যখনই কথা হয়েছে শুধুমাত্র নিজেদের স্কুল
লাইফের কথাই হয়েছে। 
 বৃষ্টি বলতে লাগলো,
“সমীরকে আমি কোন দিনই সেই নজরে দেখিনি। আসলে তুই একটা প্রেম করছিস শুনে কেমন
যেন অকর্মণ্য লাগছিল নিজেকে। মনে হচ্ছিল অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি আমি। তাই হুট
করে সমীরের কথা বলে দিয়েছিলাম।”
“আমিও কোন বাঙালি মেয়েকে ভালোবাসিনি। মিথ্যে বলেছিলাম তোকে।”
 এবার ওদের দুজনকে থামিয়ে দিয়ে শেফালী বলল,
“তোদের ঝগড়া আর শেষ হবে না। আর এটা যাতে সারা জীবন চলতে থাকে সেই জন্যই দুই
বাড়ির বাবা মা মিলে এই সারপ্রাইজটা দিলাম তোদের। জন্মে থেকে ছেলেকে দেখছি। মা
হয়ে ছেলের মন যদি না বুঝি তাহলে মা হলাম কি করে? আর সেই জন্যই বৃষ্টির বাড়িতে
ফোন করে সব প্ল্যান করেছি।”


 শেফালীর কথায় দুজনেই হাসিমুখে মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে রইলো। শেফালী আর
সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“চলুন আমরা পাশের ঘরে গিয়ে পাঁজি দেখি। শুভ কাজে বেশি দেরি করা ঠিক নয়।”
 সবাই উঠে চলে গেল পাশের ঘরে। সায়ন্তন আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল বৃষ্টির
দিকে। তারপর আলতো করে ওর হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলল,
“বেস্টফ্রেন্ডের জায়গাটা তো আর কাউকে দিতে পারবো না। থাকবি তো সারা জীবন আমার
বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে?”
  বৃষ্টি ধীরে ধীরে তার মাথাটা রাখল সায়ন্তনের বুকে। দুই বন্ধুর মাঝখানে
জমে থাকা মেঘ কেটে গিয়ে নেমে এলো অঝোরে বৃষ্টি।
*******

Share This Article