গৃহবধূর অবৈধ সম্পর্ক – Bengali story – Bangla Choto Golpo
গৃহবধূর অবৈধ সম্পর্ক
✒ রাজদীপ দাস
শেষমেষ সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললো শ্রেয়া…
এবার মা-বাবার কথামতো বিয়েটা করে ফেলবে..
বড়লোকের ছেলে, দুই ভাইয়ের কনিষ্ঠ ভাই আর পারিবারিক ব্যবসা…
তাই একপ্রকার রাজি হয়ে গেল…
পাকা কথাও হয়ে গেলো দুই পরিবারের মধ্যে…
সেই বছরই ফাল্গুনে বিবাহ স্থির হলো শ্রেয়া আর শুভময়ের.. আর সেইমতো চারহাত এক
হয়ে গেলো…..
হয়ে গেলো…..
বেশ চলছিলো….
শ্বশুরবাড়ী খুবই ভালো ও যত্নশীল..
যেহেতু ছোটো বউ তাই খুব আদরেই থাকতো….
অল্পবয়স, দেখতে সুন্দর, গুনেও নজরকাড়া…
আরো পড়ুন, বউয়ের পরকীয়া
জা’য়ের ভাই অনিন্দ মাঝেমধ্যে ওদের বাড়ী আসতো কিছু কাজে, আবার চলেও যেতো…
পারিবারিক সম্পর্ক এমনই যে দুই বাড়ীর লোকই দুই বাড়ীতে হরদম যাতায়াত করতো…
পারিবারিক সম্পর্ক এমনই যে দুই বাড়ীর লোকই দুই বাড়ীতে হরদম যাতায়াত করতো…
একবার হলো কি, বাড়ীতে বড় বৌ নেই….
শ্বশুর-শাশুড়ী ঘুমোচ্ছে.. সেই সময় অনিন্দ আসে.. অগত্যা শ্রেয়া খাতির যত্ন করে,
তারপর খানিক গল্পগুজবে মশগুল হয়ে ওঠে…..
তারপর খানিক গল্পগুজবে মশগুল হয়ে ওঠে…..
যেহেতু দুজনেই সমবয়সী তাই একপ্রকার বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাদের মধ্যে… ফোন নং
আদানপ্রদানও হয়…. এদিকে দিনের পর দিন রাত করে বাড়ী ফেরায় শ্রেয়াকে বিশেষ সময়
দিতে পারতো না শুভময় তাই একাকীত্বেই কাটতো তার সারাদিন…. মাঝেমধ্যে এ নিয়ে
কথা কাটাকাটিও হতো দুজনের মধ্যে, কিন্তু নিষ্ফলা….
আদানপ্রদানও হয়…. এদিকে দিনের পর দিন রাত করে বাড়ী ফেরায় শ্রেয়াকে বিশেষ সময়
দিতে পারতো না শুভময় তাই একাকীত্বেই কাটতো তার সারাদিন…. মাঝেমধ্যে এ নিয়ে
কথা কাটাকাটিও হতো দুজনের মধ্যে, কিন্তু নিষ্ফলা….
গৃহবধূর পরকীয়া সম্পর্ক
আর সেই একাকীত্বকে অন্যদিকে পূরণ করতে থাকে অনিন্দ্য…. সুযোগ পেলেই ফোনে কথা
থেকে শুরু করে টেক্সট মেসেজ সবই চলতো… শুধু বাড়ীর বাইরে দেখা করাটাই হতো না
তাদের…
থেকে শুরু করে টেক্সট মেসেজ সবই চলতো… শুধু বাড়ীর বাইরে দেখা করাটাই হতো না
তাদের…
এমন চলতে চলতে দুজনে দুজনের প্রতি কোথাও অধিকমাত্রায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ে….
অন্যদিকে অনিন্দ্যর বাড়ী থেকে বিবাহ ঠিক হলে, অনিন্দ্যও আগ্রহ দেখাতো না
বিশেষ…
বিশেষ…
বিভিন্নরকম ঘনিষ্ট মুহুর্তের বার্তালাপ হতো দুজনের…. শুধু সুযোগটাই যা হতো
না…
না…
মাসখানেক পরে একদিন অনিন্দ্য কাজ থেকে ফেরার পথে ওদের বাড়ী আসে আর সেইবার
অনিন্দ্যকে রাত্রিবাস করতে হয় তার দিদির আবদার রাখতে গিয়ে…..
অনিন্দ্যকে রাত্রিবাস করতে হয় তার দিদির আবদার রাখতে গিয়ে…..
এদিকে সেইদিনই সকালে কলকাতার বাইরে একটা কাজে গেছে শুভময়….
রাতের খাওয়া সেরে ১০টা নাগাদ সকলে শুয়ে পড়ে …. আর ওদের দুজনের মন পড়েছিলো
অন্যদিকে….
অন্যদিকে….
হঠাৎ শ্রেয়ার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ….
দৌঁড়ে উঠে দরজা খুলেই দেখে অনিন্দ্য…. ভেতরে নিয়ে দরজায় ছিটকিনি দিলো
শ্রেয়া…
শ্রেয়া…
তারপর ভেসে গেল এক অমোঘ প্রশান্তির কামণাসাগরে…..
একাকীত্বকে কোথাও যেন বিসর্জন দিলো সেই স্রোতে, আর জীবনের অপার সুখ অনুভব করলো,
যা শুভময় তাকে দিতে পারেনি….
যা শুভময় তাকে দিতে পারেনি….
অনিন্দ্য, শ্রেয়াকে এক অপরূপা সুখ উপহার দিলো…
ভোর হওয়ার আগে ঘর থেকে বেড়িয়ে নিজের জায়গায় ফিরলো অনিন্দ্য, শ্রেয়া তখনও সুভ্র
চাদরবেষ্টিত হয়ে অনিন্দ্যতে মজে….
চাদরবেষ্টিত হয়ে অনিন্দ্যতে মজে….
গৃহবধূর পরকীয়া গল্প
সেদিনের পর থেকে মাঝেমধ্যেই তাদের এই মুহুর্ত চলতে থাকে….
আজ আর একা নয় শ্রেয়া… তার একটা প্রেমিক আছে যাকে সঁপেছে মন-প্রাণ-দেহ….
কিন্তু কিছু মাস পর জানতে পারলো অনিন্দ্যর বিয়ে ঠিক হয়েছে…
ভাবলো তাহলে কি আবার একা হয়ে যাবে সে ???
তার মধ্যে অনিন্দ্যর সাথে দেখা বা কথাও আজকাল কম হচ্ছে তার…
সংশয়ে ডুবেছে মন…
কি করবে সে ??? একটা প্রেমিককেও হারাবে ???? স্বামীর ভালোবাসা তো তার কপালে
জোটেনি….
ভাবনায় ইতি টানলো অনিন্দ্য স্বয়ং…
সে কথা দিলো, বিয়ের পরেও এমনই সম্পর্ক থাকবে তাদের মধ্যে… শুনতে অবাক লাগলেও
এটাই আজ বাস্তব….
এটাই আজ বাস্তব….
সব কাহিনীর উপসংহার সমান হয় না…. শুভময়ের জন্য এখন শ্রেয়া মা হয়েছে একবছর হলো
কিন্তু শ্রেয়া ও অনিন্দ্য আজও একইভাবে পরকীয়ায় আবদ্ধ….
কিন্তু শ্রেয়া ও অনিন্দ্য আজও একইভাবে পরকীয়ায় আবদ্ধ….
আর সেই পরকীয়া শ্রেয়াকে একজন সত্যিকারের প্রেমিকের সন্ধান দিয়েছে…..
সকলের অজান্তে আজও তারা একসঙ্গে সাগরাভিযান করে…….
———xxxxxxx———