ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
তো এখন জল ভাত যখন ঘটনাগুলো ঘটে তখন মিডিয়া ভার্চুয়াল মিডিয়া তোলপাড় হয়
রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের উপর দায় চাপায়। মোমবাতি মিছিল হয়। আমরা ফেসবুকে
কবিতা লিখি তারপর সবকিছু শান্ত। যে ধর্ষিতাকে আগুনে পোড়ানো হয় তার পরিবার
আমৃত্যু সাফার করে। মানুষ কতটা অমানবিক হলে চার মাসের শিশুকন্যাকে কখনো নব্বই
বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে! কিছু মানুষ ধর্ষণের কারণ হিসাবে পোষাক কে দায়ী করে
আচ্ছা যখন বোরখা পরা মহিলা চার মাসের মাংসপিণ্ড ধর্ষিত হয় তখন ও কি পোষাক
দায়ী আর পৌরষ ও কি এত ঠুনকো যে কেউ যদি খোলামেলা পোষাক পরে তাকে ধর্ষণ করতে
হবে এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে আমি তাহলে কি অশ্লীলতা কে সমর্থন করছি, না আমি শুধু
বলতে চাইছি ধর্ষণের কারণ পোষাক এই যুক্তিটা খুবই খেলো। এগুলো গেল শারীরিক
ধর্ষণ।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে উক্তি
এবার আসি মানসিক ধর্ষণের কথায় যখন একটি ছেলে মেয়ের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে
ওঠে কত প্রতিশ্রুতি বিনিময় হয় অনেকসময় আত্মীয় পরিচিতজন রা জেনে যায় যে
তাদের মধ্য বিয়ে হবে ভবিষ্যতে তারপর হঠাৎ একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ছেলেটি
বলে তোমার ঠিকুজি পরীক্ষা করে দেখা গেছে তুমি মাঙ্গলিক তাই আমার পক্ষে বিয়ে
করা সম্ভব না অথচ দুদিন আগেই ছেলেটি মেয়েটিকে বলেছিলো আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো
না। একবিংশ শতাব্দীতে ও মাঙ্গলিকের দোহাই দিয়ে এভাবে মানসিক ধর্ষণ করা হয়!
শারীরিক ধর্ষণ বেশীরভাগ সময়েই অচেনা লোকেরা করে আর মানসিক ধর্ষণ আমারা যাদের
কে চরম বিশ্বাস করি ভালোবাসি তারাই করে এক্ষেত্রে সারাজীবনের জন্য মেয়েটিকে
ক্ষত বহন করে বেড়াতে হয়
অনেক সময় সম্পর্কের বহুদিন পর ছেলেটি বলে আমার বাড়িতে তোমাকে মানবে না অথচ এই
ছেলেটিই প্রথমে বলেছিলো আমার বাড়িতে আমি যা বলবো তাই হবে। সম্পর্ক কাটার
পেছনেও বাড়িতে মানবে না হচ্ছে জাতীয় অজুহাত।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্লোগান
রাজেশ প্রতিবাদী যুবক স্যোশাল মিডিয়ার ধর্ষণ নিয়ে কবিতা পড়ে মেয়েরা ওকে
লৌহপুরূষের আখ্যা দেয় অথচ ও ওর পাঁচ বছরের পুরোনো প্রেমিকাকে শুধুমাত্র
অব্রাহ্মণ হবার কারণে আর প্রেমিকার আগে একবার বিয়ের ঠিক হয়েছিলো শুনে সম্পর্ক
কেটে দিয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলে হাঁটে সত্য সেলুকস কি বিচিত্র এই
দেশ।
ও বলেছিলো ও ভার্জিন নয়। যে প্রজন্মের ছেলেরা পর্নস্টার দের মাথায় তুলে নাচে
তারাই আবার প্রেমিকা ও হবু স্ত্রীর ভার্জিনিটি খোঁজে।
চলে এর যন্ত্রণাও কিন্তু চরম।
এই লেখা দেখে কেউ নারীবাদী ভাববেন না আমার নিজের বাবা আমার মা সন্তান ধারণ করতে
পারবে না জেনেও বিয়ে করেছিলেন আমাদের চারপাশে কত পুরুষ ধর্ষিতা আ্যসিডে
আক্রান্ত মেয়েকে বিয়ে করে। আসলে যারা সত্যিকারের পুরুষ তারা কখনোই শারিরীক
মানসিক ধর্ষণ করেনা বা কোন মেয়ের চোখের জলের কারণ হয়না প্রতিশ্রুতি দিলে সমাজ
সংসারের সাথে লড়াই করেও মেয়েটির হাত ধরে রাখে। রামমোহন বিদ্যাসাগর ও পুরুষ
ছিলেন তাঁদের জন্য নারীরা নতুন জীবনের আলো দেখেছিলো। সবশেষে বলবো ধর্ষকরা আসলে
বিকৃত রুচির সে শারীরিক বা মানসিক ধর্ষক হোক। মা দুর্গা আবার ধরার বুকে আসো
এইসব অসুরদের নিধন করে এ ধরাকে নারীদের জন্য সুরক্ষিত করো আজ গোটা পৃথিবী জুড়ে
প্রতনিয়ত শারীরিক ও মানসিক ধর্ষন চলছে এই পাশবিক খেলা বন্ধ করো।