বেশ্যা মায়ের গল্প – Nongra Mayer Golpo – Bengali Story
বেশ্যা মায়ের গল্প
মা এই মাসেই এক্সাম ফিস টা দিতে হবে, তোমাকে তো কালকেই বললাম কই এখনো দিলে না
তো?রোহন বললো।কাল বললেই কি আজ হয় বাবা?তবে দু একদিনের মধ্যেই আমি জোগাড় করে
দেবো।মা আমার একটা ল্যাপটপ লাগবে কতোদিন ধরে বলছি মা।মেয়ে চুমকি বলে ওঠে।সব হবে
মা।ছেলে মেয়ে দুজনকেই আশ্বস্ত করে কনক।এই দুজনের জন্যই তো তার বেঁচে থাকা কতো
স্বপ্ন তার দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে যে তারা একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে ওদের জন্য ওর
গর্ব হবে। ভাতের ফ্যান টা গালিয়ে তাড়াতাড়ি তরকারি বসায় কনক।সেরে ফেলে রাতের
রান্না।খেয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা।
গরিবের মেয়ে কনক তিন দাদার পর একমাত্র বোন সে।তাই হতদরিদ্র পরিবারের হলেও
কনকের বাবা রামদুলাল বাবু সাধ্য মতো একটু সচ্ছল পরিবারে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মা
হারা মেয়েটাকে।গোপালের সাথে সম্বন্ধ হয় কনকের রাজমিস্ত্রির কাজ করে সে,বাবা
মায়ের একমাত্র সন্তান।মোটামুটি ভালো ভাবেই সংসার চলে যায় ওদের।কনকের বাবার
শান্ত স্বভাবের গোপালকে বেশ পছন্দ হয়, তাই একটা ভালো দিন দেখে গোপালের সাথে
বিয়ে দেন মেয়ে কনকের।
বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি এলো কনক।শাশুড়ির মাতৃস্নেহে আর স্বামীর সোহাগে ভালোই
কাটছিল কনকের দিনগুলো। অসুস্থ শ্বশুরের দেখভালের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে
নিল সে।পাকা গৃহিণীর মতো সংসার পাতলো সে স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি নিয়ে।গোপাল খুবই
ভদ্র স্বভাবের ছেলে আস্তে কথা বলে,সবাইকে সম্মান করে।কারো সাথে তার বিবাদ
নেই।পাড়ার সবাই ভালোবাসে গোপালকে।গোপাল সারাদিন খেটে সবসময় চেষ্টা করে তার
পরিবার কে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে।কনক ও সাধ্যমতো চেষ্টা করে গোপালকে আর তার
পরিবারের সবার খেয়াল রাখতে।
বছর ঘুরলো কনকের কোল জুড়ে এক চাঁদপনা ছেলে এলো আদর করে গোপাল নাম রাখলো
রোহন।গোপালের মা তো নাতিকে পেয়ে খুব খুশি কোল থেকে নামায় না তাকে একদম।রোহন
বড়ো হতে থাকলো।দু’বছর পরে কনকের কোল জুড়ে চুমকি এলো।গোপাল নিজে অভাবের জন্য
বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি তাই গোপালের স্বপ্ন তার ছেলে মেয়েকে সে অনেক লেখাপড়া
শেখাবে,দশের একজন করবে।একবুক স্বপ্ন ভরা ছিল গোপালের বুকে।কনকও সাথ দিতো ওর।ওদের
দুজনের স্বপ্ন তাদের ছেলেমেয়ে তাদের না পারা গুলো পারুক না জানা গুলো জানুক।
পাঁচ বছর বয়স রোহনের ভর্তি করেছে মফস্বলের এক নামজাদা স্কুলে।অনেক স্বপ্ন তো
তাকে ঘিরে।যখন রোহন স্কুল ইউনিফর্ম,পায়ে বুড,কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় মন
টা ভরে যায় কনকের।রোহন চুমকির লেখাপড়ায় খুব মনোযোগ। চুমকিকে কনক নিজেই পড়ায়
আর রোহনের জন্য বাড়িতে মাষ্টার মশাই আসেন পড়াতে।মাঝে মাঝে কনক বলে সারাদিন এতো
পরিশ্রম করছো তাও সংসার টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চুমকি বড়ো হলে ওর লেখাপড়ার
খরচ জোগান দিতে আরো টাকার দরকার হবে।গোপাল কনককে বলে চিন্তা করো না যতো কষ্ট হোক
আমি ওদের লেখাপড়া করতে কোনো বাধা আসতে দেবো না।কনক আজকাল বিড়ি বাঁধে হাতের কাজ
করে যতোটুকু সাহায্য হয়,শাশুড়িও সাহায্য করে কনককে।কিন্তু ঈশ্বর বোধ হয় সবটা
এতো ভালো ভাবে ভাবেননি।কনকের পরিবারে নেমে এলো দুঃখের কালো ছায়া।
উঁচু বাড়ির প্লাষ্টার করতে গিয়ে ভারা থেকে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালো গোপাল একরাশ
স্বপ্ন বুকে নিয়েই।হাহাকার পড়ে গেলো সংসারে,শেষ হয়ে গেলো পরিবারের প্রতিটা
মানুষের স্বপ্ন।কি করবে এখন কনক সংসার সন্তান দের নিয়ে।ওর মনে হলো যেনো সমুদ্রের
মাঝে ও একা ও দিকভ্রান্ত একাকী এক পথিক।গোপালের মৃত্যুর পর সমস্ত নিয়মকানুন মেনে
শ্রাদ্ধশান্তি শেষ হলো।কিন্তু এবার দুমুঠো খাওয়ার জুটবে কোথা থেকে?কোথা থেকে কনক
পাঁচজন মানুষের খাওয়ার জোটাবে।ছেলের স্কুল যাওয়া বন্ধ হলো টিউশনির মাষ্টার মশাই
আসা বন্ধ হলো। শ্বশুর বিছানায় শয্যাশায়ী,শাশুড়ির হাই প্রেশার সুগার।কি করে ও
এই মানুষ গুলোকে ভালো রাখবে এখন।দিনের পর দিন আধপেটা গেয়ে কখনো না খেয়ে দিন
কাটতে লাগলো কনকের পরিবারের।খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করতে লাগলো বাচ্ছারা।
কনক পাগলের মতো একটা কাজের জন্য মানুষের হাতে পায়ে পড়তে লাগলো কিন্তু অশিক্ষিত
কনককে কে দেবে কাজ?কে বিশ্বাস করবে ওকে?শেষে কনক মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে
কাকুতি মিনতি করলো অনেক একটা কাজের জন্য কিন্তু অসহায় কনকের পাশে কেউ দাঁড়ালো
না।তিন চারদিন শুধু জল খেয়ে কাটালো কনক।শরীর যেনো দুর্বল হয়ে আসছে শক্তি নেই
উঠে দাঁড়াবার।কিন্তু থামলে তো চলবে না বাচ্ছা দুটোকে বাঁচাতে হবে যে তাকে।বৃদ্ধ
বাবা অসুস্থ তিন দাদা দিনমজুরের কাজ করে নিজেদের সংসার নিয়েই হিমশিম
খায়,সামান্য ওষুধ কেনার টাকার জন্যও কনকের বাবাকে হাত পাততে হয় ছেলে দের
কাছে।তাহলে কনক কোথায় যাবে এখন।একদিন বিকেলে শিবু কনকের সাথে দেখা করলো,শিবু
পাড়ার মস্তান গোছের কমবয়সী ছোকরা,সবাই বলে শিবু না কি খুব খারাপ ছেলে।এহেন শিবু
কনকের সাথে দেখা করতে এসেছে দেখে কনক অবাক হলো।
আরো পড়ুন, পরকীয়া গল্প
বৌদি তোমার বাচ্ছা আর সংসার বাঁচাতে হলে একটাই রাস্তা আছে।যদি রাজি থাকো তো কালই
আমার সাথে শহরে চলো।রাতে বিছানায় শুয়ে চোখ থেকে অনবরত জল ঝরতে লাগলো
কনকের।গোপালের সেই আশাভরা মুখটা ভেসে উঠলো কনকের সামনে।পাশে বাচ্ছা গুলো ছটফট
করছে খিদের জ্বালায় খালি পেটে ঘুম কি আসে আর?মনকে শক্ত করলো কনক পরের দিন শিবুর
সাথে দেখা করলো,শিবু তাকে সকালের ট্রেনেই শহরের নানা অলিগলি পেরিয়ে নিয়ে পৌঁছলো
এক নিষিদ্ধ পল্লিতে।সেখানকার মালকিন মালতী মাসির সাথে আগেই কথা বলে রেখেছিল
শিবু।কনককে দেখে মালতী মাসি বললো বাহ্ চেহারা তো বেশ খাসা দেখছি দু বাচ্ছার মা
বোঝাই দায়।শিবু তার কমিশন পেলো সেই টাকা গুলো শিবু তুলে দিলো কনকের হাতে,যাওয়ার
সময় বাচ্ছা দের জন্য খাওয়ার নিয়ে যেও বৌদি।এ দুনিয়ায় কেউ তোমাকে সাহায্য
করবে না বৌদি সবাই শুধু মজা দেখবে।কারো কথার কখনো কখনো কান দেবে না তোমার এই পাপ
রাস্তায় এনে আমি জানি অন্যায় করেছি কিন্তু আর কোনো রাস্তা ছিল না গো।শিবুর হাত
ধরে বললো ভাই কাউকে একথা বলো না।শিবু বললো খারাপ মানুষ আমি ঠিকই কিন্তু বিশ্বাস
রাখতে পারো।কেউ জানবে না এসব কথা।
শিবু কথা রেখেছে কাউকে জানায়নি এসব কথা।পাড়ার লোক কথা শোনাতে ছাড়েনি মোটেই
তারা তো অবাক কে দিলো কাজ ওকে?কনক কারো কথার উত্তর দেয় না রোজ ভোরের ট্রেনে চলে
আসে নিষিদ্ধ পল্লিতে শরীর দিয়ে মন জোগায় বাবুদের রোজের যা কামাই হয় কমিশন
নিয়ে মালতী মাসি টাকা তুলে দেয় কনকের হাতে।কনক নামে ওখানকার কেউ চেনে না ওকে
সবাই চম্পা বলেই ডাকে।কখনো কখনো রাতেও শরীর বিকিয়ে রোজকার করতে হয় কনককে সেদিন
আর বাড়ি ফেরা হয়না।বাড়িতে বলে কাজের বাড়িতে বেশী কাজ পড়ে মাঝে মধ্যে তার
জন্য তাকে থেকে যেতে হয়।
কনক কিন্তু গোপালের স্বপ্ন গুলোকে মিথ্যে হতে দেয়নি ছেলে মেয়ে কে লেখাপড়া
শিখিয়েছে অনেক।ভালো স্কুলে পড়িয়েছে বাড়িতে মাষ্টার মশাই এসে পড়িয়েছেন।
শ্বশুর মারা যাওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে।অসুস্থ
শাশুড়ির সমস্ত খেয়াল রাখে সে,ওষুধ ডাক্তার সব। কোনো সময় মনে হতে দেয় না যে
তার ছেলে বেঁচে থাকলে এর থেকে বেশী সুখী রাখতো মাকে।পাড়ার লোকের বড়োই চিন্তা কি
করে এতো টাকা পাচ্ছে!ছেলে মেয়েকে পড়াচ্ছে,ভালো ভালো রান্না হচ্ছে বাড়িতে।এর
উৎস্য খোঁজে তারা।কনক কারো কথার উত্তর দেয় না।কনকের পোশাক, সাজ এ নিয়েও মানুষের
ভাবনার শেষ নেই।
বহুবছর ধরে কনক ওই নিষিদ্ধ পল্লীর সদস্য।বাঁধা ধরা বহু কাষ্টমার আছে তার। কিন্তু
বয়স বেড়েছে শরীর আর সায় দেয় না,তাই কুঁচকে যাওয়া গালে পাউডার আর ঠোঁটে
লিপস্টিক ঘষলেও বয়সের ছাপ যেনো যায় না।দিনদিন ছেলেমেয়ের চাহিদা বাড়ছে তা এখন
পূরণ করা কনকের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।আয় ও কমছে। কনকের আশা তার ছেলেমেয়ে
একটু প্রতিষ্ঠিত হলেই সব ছেড়ে ও একটু রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে।রোহন চুমকি
দুজনেই কলেজে পড়ে।রোহন বলেছে গ্ৰাজুয়েশন টা শেষ হলেই সে চাকরির ব্যবস্থা করবে
ও।সেই দিনটা দেখার জন্য ই অপেক্ষায় থাকে কনক।
আজকাল কনক দেখে রোহনের কিছু বন্ধু হয়েছে ছেলে গুলোকে সুবিধার লাগে না কনকের।
কলেজে উন্মত্ত জীবন।খারাপ সঙ্গে পড়ে যায় ও। কিছু বন্ধুর পাল্লায় পড়ে কনকের
আশা ভরসা তার ছেলে রোহন পৌঁছে যায় সেই নিষিদ্ধ পল্লীর দরজায় যেখানে কনকের
আসা-যাওয়া গত পনের বছর ধরে।
আরে আরে এ যে খোকাবাবু দেখছি? মালতী মাসি হাসিতে ফেটে পড়ে।ইস্কুলে পড়ো বুঝি?তা
কাছে কতো মাল আছে?রোহন পকেট থেকে একটা পাঁচশো টাকার নোট বার করে যেটা কনক ওকে
কয়েক দিন আগে দিয়েছিল বই কেনার জন্য।ওরে কালিয়া ওকে চম্পার ঘরে পাঠিয়ে
দেয়।যাও খোকাবাবু খাসা মস্তি হবে তোমার।কনক জানালা দিয়ে সবই দেখছিল,বুকটা যেনো
ফেটে যাচ্ছে কনকের,পায়ের নীচ থেকে যেনো মাটি সরে যাচ্ছে,আর পারছে না সহ্য করতে
ও।পাশের ঘরের পিঙ্কিকে বললো যা তো মাসির কাছ থেকে আজকের পাওনা টা একটু চেয়ে এনে
দে।মাসি গজগজ করে বললো খদ্দের আসতে না আসতেই টাকা চাই।আসলে কনকের খুব দরকার ছিল
পাঁচ হাজার টাকার।তাই মালতী মাসিকে বলে রেখেছিল যে,যে কোনো খদ্দের এলেই সে
রাজি।তাকে যে তার ছেলের কলেজের পরীক্ষার টাকা দিতে হবে।
রোহন ঘরে ঢুকলো।ঢুকেই হতভম্ব সে।দেখলো তার সামনে দাঁড়িয়ে তার নিজের জন্মদাত্রী
মা।কনক বললো আয় বাবা বস রোহনের সারা শরীর কাঁপছে তখন।কনক ছেলের হাতে পাঁচ হাজার
টাকা টা দিয়ে বললো তোর মায়ের শরীর বেচা টাকা বাবা পরীক্ষার জন্য জমা দিতে হবে
বলেছিলি না?রোহন আর সহ্য করতে পারলো না ছুটে বেরিয়ে পড়লো সেখান থেকে।মালতী মাসি
চিৎকার করে উঠলো ওরে ওভাবে পালালো কেনো ছেলেটা?বুড়ি হয়েছিস চম্পা আর তোর দ্বারা
হবে না চম্পা। এইভাবে খদ্দের গুলোকে নষ্ট করে আর আমার ভাত কাড়িসনি।মাসি আজ আমি
ক্লান্ত।আজ আর নয় মাসি একটু ঘুমাবো আজ।
বাড়ি ফিরে সারা রাত ঘুমাতে পারেনি রোহন যন্ত্রণা যেনো কুরে কুরে খাচ্ছে ওকে।সে
মেনে নিতে পারছে না কিছুতেই সবটা,নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে ওর।সকাল হতেই ফোনটা
বেজে উঠলো ওর নিষিদ্ধ পল্লী থেকে ফোন এসেছে।কনক কাল রাতে আত্মহত্যা করেছে গলায়
দড়ি দিয়ে।খবর টা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। টিভিতে দেখাচ্ছে খবরের কাগজেও দেবে
হয়তো কাল।পাড়ার লোক ছিঃ ছিঃ করতে লাগলো নানান কটুক্তি করতে লাগলো অনেকে বললো ওই
বেশ্যা মেয়ের শরীর এ পাড়ায় যেনো না আসে।পোষ্টমর্টেমের পর বডি আনলো রোহন
তার মায়ের দেহ পাড়ার লোকের আপত্তির তোয়াক্কা না করে।
অনেকে এসেছে দেখতে কেউ কেউ দূর থেকে রহস্য করেই শান্তনা দিচ্ছে আর অনবরত শোনা
যাচ্ছে কটু মন্তব্য।কনকের মেয়ে চুমকি আর শাশুড়ির চোখে জল।এই মেয়েছেলে র জন্য
বদনাম হয়ে গেল পুরো পাড়ার।তাই তো বলি বুড়ো বয়সে এতো সাজের ঘটা কিসের।পেটে
বিদ্যে নেই মায়ের,ছেলে মেয়ে কলেজ যাচ্ছে তার আবার।এরকম নানা কটুক্তি ভেসে আসছিল
ভিড়ের মধ্যে থেকে।আর থাকতে পারলো না রোহন চেঁচিয়ে বললো হ্যাঁ আমার মা বেশ্যা
পতিতা।কিন্তু এই মা না থাকলে আমরা বাঁচতাম না।যখন খিদের জ্বালায় ছটফট করেছি আমরা
দুটো ভাত কেউ দিয়েছিলে তোমরা?সাহায্য করেছিলে একটা অসহায় বিধবাকে?করোনি তো?এই
মায়ের জন্য আজ আমরা বেঁচে আছি শিক্ষিত হয়েছি মাথার উপর ছাদ পেয়েছি তোমাদের
কাউকে চাইনা এখন।কারো অধিকার নেই আমার মা কে নিয়ে কটু মন্তব্য করার যাও সবাই।আমি
আমার এই বেশ্যা পতিতা মায়ের জন্যই গর্বিত।
প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
ভালো থাকুন।..
Thank You, Visit Again…