– হ্যালো?
– হ্যাঁ, কে বলছেন?
– গলাটাও চেনা যায় না এখন! বাঃ!
– না বুঝতে পারছি না! কে বলছেন বলুন?
– যাকে গতবছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন ভোর ৫টায় যাচ্ছতাই বলে ব্লক করেছিলেন!
– অমিয়! তুই! ফোন করেছিস কেন? সর্দি হয়েছে বলে গলা চিনতে পারিনি।
– বাবাঃ! সর্দি হলেই বা তোর কীই বা যায় আসে?
– যায় আসে বলিনি তো! আমি বলেছি ওই জন্য চিনতে পারিনি! কেন ফোন করেছিস বল?
– বলছি যে তোর ঘরের ঝুলবারান্দায় আয়…
– কেন!
– নীচে দাঁড়িয়ে আমি…
– মানেটা কী! কেন এসেছিস? ব্লক করে দেওয়ার মানে কী হয়, বুঝিস না?
– ওটা ব্লক করার কোনও কারণ হল, সমৃদ্ধা?
– হ্যাঁ হল! বারবার তোকে বলেছিলাম সুশান্ত আমার বন্ধু। তাও সন্দেহ করতিস!
– সন্দেহ না, একটু কমপ্লেক্স খেতাম! এত হ্যান্ডসাম ছেলে তো! আর আমায় তো দেখেছিসই… হাড়হাভাতে!
– আমার দেখনদারী কখনোই ছিল না, তুইও জানতিস।
– আচ্ছা আমি তো ওটার জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলাম!
– ওটার চেয়েও বড় কারণ আছে! ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন কী করেছিলিস মনে আছে?
– হ্যাঁ, আছে… তোকে প্রপোজ করেছিলাম।
– ওটাকে প্রপোজ বলে না! ভোর ৪:৩০-এর সময় মদ গিলে ফোন করে ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে “দেখ বাল, আই লভ ইউ” বলা’কে প্রপোজ বলা যায় না!
– তুই বাল ফিলিংটাই দেখলি না!
– আবার খিস্তি! তুই শুধরাবি না আর! রাখলাম। এই জন্য তোর সাথে কন্ট্যাক্ট রাখিনি আমি…
– হ্যাঁ, তাই তো… অয়ন্তিকা বলে প্রোফাইলটা তো আমার বাপ খুলেছে!
– তু-তুই কীভাবে জানলি?
– প্রিয়াংকা আমারও বন্ধু…
– শালা মালটাকে মেরেই ফেলব! ওই জন্যই তুমি অত রসিয়ে রসিয়ে কথা বলতে!
– হ্যাঁ, তা নয়তো কী?
– আমার তো আরও মাথা গরম হয়ে যেত! ভাবতাম যে শালা একজন যেতে না যেতেই আরেকজনের সাথে মাখামাখি শুরু করেছে!
– তুই আর তোর ভাবনার নাগাল পাওয়া তো কারও পক্ষে সম্ভব না!
– ভাল হয়েছে… ওভাবে প্রপোজ করলে ব্লক ছাড়া আর কিছু খাবি না!
– আচ্ছা এবার কি বারান্দায় আসবি?
– দাঁড়া। হ্যাঁ, বল… বারান্দায়।
– তোদের বারান্দার সুইচবোর্ডের একদম বাঁদিকের সুইচটা অন কর…
– কেন!
– কর না রে বাঁ… বাবা…
– দাঁড়া করছি… এসব কী!!!
– কী রে?
– তুই এসব করেছিস? আলো দিয়ে লেখা “সমৃদ্ধা, আমার জীবন সমৃদ্ধ করবি!?” এসব কখন করেছিস তুই?
– আরে তোর বাবাকে পটাতে যে কী চাপ হয়েছে, তোর কোনও আইডিয়া নেই! শুনছিলাম তোর সম্বন্ধে দেখা স্টার্ট করেছে মালটা! তাই আর রিস্ক নিই নি…
– জানোয়ার, ওটা আমার বাবা, মাল না! আর তুই আমার বাবার সামনে দাঁড়াতে পেরেছিস?
– বাবাঃ! ঘন্টা তিনেক ইন্টারভিউ নিয়েছিল! তারপর কোনওমতে রাজি হয়েছে!
– কিন্তু রাজি হয়ে এতকিছু করতে হেল্প তো করল? তাকেই আবার মাল বলছিস?
– আচ্ছা স্যরি স্যরি! এবার উত্তরটা দে?
– খুব বাজে, ন্যাকা লাইন ইউজ করেছিস! এবারেও হল না হয়ত! দাঁড়া, কে একটা কলিং বেল বাজাল। দেখে আসছি কে…
.
.আরো পড়ুন ভালোবাসার কাব্য
.
– তুই!
– কেন! আমি কি হতে পারিনা নাকি? নাকি আমার ঠ্যাং নেই যে সিঁড়ি চড়তে পারব না?
– না মানে…!
– এই গোলাপটা ধর… আর শোন, আমি অত গুছিয়ে বলতে পারি না, কিন্তু এটা শিওরলি বলতে পারি যে তুই এলে আমার জীবনটা গুছিয়ে যাবে। আসবি? প্লিজ?
– শালা যত নাটক!
– বল?
– কাজবাজ কিছু করছিস নাকি প্রেগন্যান্ট করেই পেট ভরাবি?
– না না… একটা চাকরি করি… ছোট; কিন্তু করি!
– আচ্ছা ঠিক আছে… চলে যাবে। আমিও চাকরি করব তো…
– মানে পটে গেছিস!
– একটা থাপ্পড় মারব! ‘পটে গেছিস’ আবার কী ধরণের কথা!
– আচ্ছা স্যরি! তাহলে কী বলব?
– কিচ্ছু বলতে হবে না! কেউ আসার আগে চুমু খা একটা ভাল করে…
– আগেরবার ব্লক খেলাম, এবার চুমু! উন্নতি করেছি তার মানে…
– উফ, জলদি…!