৪
স্নেহা ওখান থেকে বেরোনোর কিছুক্ষন পরই আদিও টেবিলের ওপর বিল এর পাশে টাকাটা রেখে পছন্দের টেবিল আর পছন্দের জায়গাটাকে ছেড়ে উঠে এলো।বেশ কয়েকজন তখনও ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।স্নেহা কফি শপ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ই আদিত্য বুঝে ছিলো ওর হয়তো ওরম ভাবে সবার সামনে চিৎকার করে ওঠাটা ঠিক হয়নি।এর আগে কখনো ও ওরম ব্যাবহার করেনি স্নেহার সাথে।
শুধু ওর সামনে কেনো,,!বিগত দশ বছরে নিজের সাথে নিজেরই এই রুপটার সাথে অনেকদিন পর সাক্ষাৎ হলো ওর।আধো পরিচিত – অপরিচিত এই রুপটার সাথে নিজেকে গুলিয়ে ফেলছিল ও।মাথা কাজ করছিল না ওর তখন।কিবা করতো ও আর।যখন থেকে ক্যেফেতে ঢুকেছিল তখন ধরে স্নেহা শুধু ওই মহিলাটাকে নিয়েই বলে যাচ্ছিল।তাও ঠিক ছিল,,! কিন্তু ওই মহিলার সাথে দেখা করতে যাওয়া?! অসম্ভব!কখোনোই না।
আর ভাবতে পারলো না আদি।ফোনটা খাটের উপর ছুরে দিয়ে রুমের দরজাটা জোরে ঠেলে দিল ও।
আদিত্যর সাথে স্নেহার পরিচিয় প্রায় আড়াই বছর আগে থেকে।একটু অন্যরকম ভাবেই পরিচয় হয়েছিল দুজনের।ডিপ্লোমা চন্দননগর থেকে কমপ্লিট করে যাদবপুরে ডিরেক্ট সেকেন্ড ইয়ার এ অ্যাডমিশন নিয়েছিল স্নেহা তখন।কলেজেরই এক সিনয়র দিদির বিয়েতে প্রথম দেখা হয় ওদের। বলতে গেলে ওই দিদিই, মানে নীলাঞ্জনা দিই ওদের যোগসূত্রের অন্যতম আর প্রধান কারণ।একই মেসেই থাকতো নিলু দিও।লাভ ম্যারেজ ছিল ওদের। কিন্তু প্রথমে কিছুতেই না নিলুদির বাড়িতে আর না ওর বয়ফ্রেন্ড অভিকদার বাড়িতে মেনে নিচ্ছিল ওদের সম্পর্কটা।এদিকে পাঁচবছর এর রিলেশনশিপ ওদের।প্রচন্ড ভালোবাসে দুজন দুজনকে।না একে অপরকে ছেড়ে বাঁচতে পারতো ওরা, আর না বাড়ির লোকদেরকে ঠকিয়ে নিজেরা শান্তিতে সংসার করতে পারতো।তাই যেদিন নিলুদি আর অভিকদা দুজনে একসাথে সুইসাইড এটেম্পট করার চেষ্টা করলো ওই দিনই নিজেদের কাঁধে ওদের বিয়ের দায়িত্বটা তুলে নিয়েছিল আদি আর স্নেহা।কিভাবে দুটো জলজ্যান্ত মানুষকে এভাবে চোখের সামনে মরতে দিত ওরা।আদি অভীকদার বেস্ট ফ্রেন্ড। দুজনেরই বাড়িতে দুজন মিলে খুব করে বোঝানোর পর ফাইনলি দুই বাড়ির সম্পূর্ণ মতেই বিয়েটা দিতে পেরেছিল ওরা।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো টানা দেড়মাস ধরে দুজনে দুবাড়ির লোকেদের বুঝিয়ে গেছে ঠিকই যাতে নীলু আর অভীক এর বিয়েটা দিতে পারে,,কিন্তু কেউই কাউকে চিনতো না। বিয়ের দিন এর আগে অব্দি না স্নেহা আদিকে কখনো দেখেছিল আর না আদি ওকে।যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে ওদের মিলিত চেষ্টাতেই ওদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিলো।
মনে আছে স্নেহার,নীলাঞ্জনার কপালে তুলি দিয়ে ফেব্রিকের শেষ টানটা টেনে দিয়েই বর ঠকাবে বলে এক ছুটে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে আদির সাথে ধাক্কা লেগে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ও।না,আদিত্য রায়চৌধুরী তখন সিনেমার হিরোর মত ওকে ধরেনি।ধরার চেষ্টাই করেনি।এমনকি পিছনে ফিরেও তাকায় নি।
তবে দেখেও না দেখে শুধু ফর্মিলিটি বজায় রাখতে বলতে হয় তাই কোনরকমে যাইহোক করে সরি বলে সোজা ফোনে কথা বলতে বলতে উপরে উঠে গিয়েছিল।আর স্নেহা বোকার মতো ফেলফেলিয়ে তাকিয়েই রয়ে গিয়েছিল।
কি ধরনের পাব্লিক রে বাবা।এত কিসের তারা!একবার পিছন ফিরেও তাকানোর প্রয়োজন মনে করলো না?!অন্ধ নাকি।সামান্য নূন্যতম ভদ্রতা বলেও কিছু নেই।ছোটলোক একটা,,!বলে প্রচুর খিস্তি মেরেছিল ওকে তখন।
আর প্রতেকবারের মত ওই একই জায়গায়তেই!বাঁ পায়ের করি আঙ্গুলেই ব্যাথা পেয়েছিলো।কি যেনো এক অদ্ভুত সম্পর্ক আছে ওর ওই করি আঙ্গুলের সাথে আদির।
তবে তখনও কেউই জানত না যে সামনের জনই সে,যাকে দেখার জন্যই স্নেহা আসলে বর ঠকানোর নাম করে অরম ভাবে ছুটে যাচ্ছিল।আর ওপর জন হবু বৌদির সাথে দেখা করার বাহানা দিয়ে একঝলক দেখে আসতে।যদিও তখনও পিছন দিকে ঘুরে না দেখায় না আদি স্নেহার মুখ দেখে ছিল আর না স্নেহা পিছন থেকে ঠিকঠাক ভাবে দেখতে পেয়ে ছিল।তাও যেনো অদ্ভুত একটা অনুভূতি একে অপরের প্রতি তৈরি হয়েগিয়েছিল।কোনোদিনও না দেখেই একটা অন্যরকম ভালোলাগা।তাও আবার যেখানে নাম ছাড়া আর বিশেষ কিছুই জানে না তখনও একে অপরকে সম্পর্কে।
কিন্তু তবে পরে যখন নীলাঞ্জনার পাশে পিচ কালার এর একটা সিফনের শাড়িতে ঘুরঘুর করতে দেখেছিল ওকে।বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে ওই স্নেহা ।বন্ধুদের মধ্যেখানে আলো হয়ে জ্বলছিল। প্রথমেই ওর শাড়ির রঙ টাই চোখ কেরে ছিল আদির,যদিও এইসব হালকা রঙ ওর কোনোদিনও পছন্দ নয়।কিন্তু স্নেহাকে কি মারাত্বক ভালো লাগছিল ওই রঙটায়।শাড়িটা পিন করে পরে ছিল। লম্বা ঢেউ খেলানো চুলটা উন্মুক্ত পিঠের উপর হাওয়ায় উড়ছিল।পাতলা শাড়ীটা এতটাই পাতলা যে পিন করে পড়লেও হাওয়ার ছটায় সাইড থেকে বাইরে বেরিয়ে থাকা অর্ধেক কোমরের সাথে নাভিটা ও চোখে পরছে।
স্নেহা ও ওকে নোটিশ করেনি নয়।বরঞ্চ বেশ ভালো ভাবেই করেছে।নীল রঙ এর একটা পাঞ্জাবি পড়েছিল আদি, হাতার ফুল স্লিভটা গুটিয়ে হাফ স্লিভ করা আছে।বেশ ফিটফাট চেহারা।পাঞ্জাবির পারফেক্ট ফিটিংসের ফলে তা চোখ এড়ানোর কোনো সম্ভাবনাও নেই।জিমে দিনের পর দিন খাটনির ফলটা বেশ ভালোই বোঝাই যাচ্ছে।চোখ এর মনি টাও যে পুরো গভীর নীল, তাও আড়চোখেই দেখে নিয়েছে স্নেহা।যেনো কাউকে হিপনোটাইজ করার জন্য যথেষ্ট। লম্বা,টিকালো নাক,হেয়ার কাট টাও দারুন।ও কেনো যে কোনো মেয়েরি চোখে লেগে যাবে। ইনফ্যাকট তখন যার সাথে ধাক্কা লেগে ও পড়েছিল,তার মতনই খানিকটা মনেও হচ্ছে যেনো।
তাই আড়চোখে আরো বেশি করে স্নেহাও ওকে নোটিশ করেছে বেশকয়েকবার।দেবলীনাদি কে ওই জন্য একবার ওই ছেলেটাই কিনা পয়েন্ট আউট করে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েই জানতে পেরেছিল ওই আদি।হ্যাঁ,,ওই সে।
আর তারপর পরই স্নেহা আর আদিকে একসাথে ডেকে পরিচয়ও করিয়েছিল অভীক।কিন্তু তখন আবার সামনাসামনি পরিচয় হয়েও শুধু হ্যায়, হ্যালো ছাড়া অন্য কিছু বেরোয়নি মুখ দিয়ে কারোরই।কতো কত ছবিতে একসাথে ফ্রেমও শেয়ার করলো ওরা, তাও কেউ কারোর সাথে কথা বলেনি তখনও।
শুধু চোখে চোখ পরে গেলে একটা মুচকি হাসি খেলে উঠতো দুজনের মুখেই।শেষে যখন বাসরঘরে কথা হতে হতে,, ইয়ার্কি ফাজলামির মধ্যে দেবলীনাদির মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল যে আদির সাথে ধাক্কা লেগেই স্নেহা সিড়িতে পরে গিয়েছিলো আর সেটা শুনে তখন অন্যরা হো হো করে হেসে উঠলে ও,,, আদিই আবার নিজের ভুলটা সংশোধন করতে প্রথম কথাটা বলেছিল স্নেহার সাথে।আর যেই না কথা বলেছিল,স্নেহার কথা বলার ভাসাতে তখনই যেনো নতুন করে হারিয়ে ফেলে ছিল নিজেকে ওর মধ্যে।
তারপর আর কি!,,,,সেই থেকেই আসতে আসতে কথা হতে হতে নিজেদের পার্সোনাল লাইফ এরও কমবেশি কথাতে মেতে কখন যে এতটা নিজেদের মধ্যে ইনভলভ হয়ে পড়েছে নিজেরাই বুঝতে পারেনি কোনোদিন।
আড়াই বছরও দেখতে দেখতে কোথা থেকে যেনো কেটে গেল।এখনও অব্দি প্রপোজ করেনি আদি ওকে।হ্যাঁ,এখনও অব্দি কেউই কারোর মনের কথা সেয়ার করেনি একে অপরের কাছে।কিন্তু তাও যেনো অন্যরকম একটা অধিকার বোধ কাজ করে একেওপরের প্রতি।যেমন কখনো হয়, অন্য কেউ স্নেহার কাছে আসতে চাইলে ভীষণ ভাবে রেগে গেছে আদি।আবার কখনো বা স্নেহার ওর কাছে কোনো অন্য মেয়েকে সেরম ভাবে মনে হলে ভিতরটা একেবারে জ্বলে গেছে।যেটা দুজনেই খেয়াল করেছে হয়তো,,, তবে মুখ ফুটে বলেনি কখনো।সঠিক সময়ের অপেক্ষায় চেপে গেছে।
৫
ফোনটা বেজে বেজে কেটে গেল।সামনে একটা বালিশের ওপর ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় পা তুলে রেখে শুয়ে আছে স্নেহা। তুলবে না ও ফোন।তুলবেই না।কাল সারা রাত যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ভোরের দিকে ঘুমটা একটু ধরেছিল ওর।তাও সকাল সকাল আদির ফোনের ছটায় পুরো শেষ হয়ে গেল। এমনিতে যন্ত্রণার চোটে অবস্থা খারাপ, তারওপর সকাল সকাল ফোনের আওয়াজে ঘুমটা ভেঙে যেতে বেশ বিরক্তই হলো ও।কিন্তু তৎক্ষণাৎ আধখোলা চোখে স্ক্রিনে নামটা দেখতেই যেনো হাজার বিরক্তি নিমেসের মধ্যে উধাও হয়ে গেল।আর সঙ্গে সঙ্গে কোথা থেকে একরাশ অভিমান ও যেনো এসে ঘিরে ধরলো ওকে।সামান্য খানিকটা রাগ ও হলো।কিন্তু ফোনটা না তুলেই পা টাকে আস্তে করে সরিয়ে উঠে বসলো বিছানার ওপর।ওর জন্যই তো সব হয়েছে।আবার এখন আদিখ্যেতা দেখাতে সকাল সকাল ফোন করে মিষ্টি মিষ্টি কথায় ওকে ভুলিয়ে নেবে ভেবেছে।না,,!এবারে এত সহজ নয়।যদিও খুব কম এখনও অব্দি আদি নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে স্নেহার রাগ ভাঙিয়েছে।তাও ফোন ও এত সহজে তুলবেই না এবারে কিছুতে।
কাল রাতে আন্টিকে বলার পর বেশ খানিকটা বকা ঝকার পর আবার আন্টি নিজেই গিয়ে পাশের বাড়ির ডাক্তার কাকুকে ডেকে নিয়ে এসে পাটা দেখালো।কাকুও খানিকটা ঝার দিল,,,,
এতক্ষন এভাবে কি করে ছিল কে জানে!!
মনেহচ্ছে করি আঙ্গুলের মাথা টা ভেঙ্গে ফেলেছিস।একটু সাবধানে চলাফেরা করবি তো।কাল সকালে আগে এক্স-রে টা করিয়ে নিবি বুঝলি।?
দুটো চোখ বুজে গিয়েছিল ব্যাথার চোটে ওর।ওইভাবে শুধু কাকুকে জিজ্ঞাসা করেছিল,,এত অল্পতেই ভেঙ্গে গেলো?!
তারমানে ভাব কতটা জোরে লেগেছিল।আমি তো ভাবছি তুই এতক্ষন ছিলি কি করে যন্ত্রণায়।পুরো পা ফুলে ঢোল হয়ে গেছে।হ্যাঁ ,,,তবে একেবারে ভেঙ্গে গেছে নাকি ক্র্যাক পরেছে সেটা রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে।
তবে দেখে তো ভালোই জোরে লেগেছে বলে মনে হচ্ছে।আরো অনেককিছু বলছিল কাকু,কিন্তু কথাগুলো কানে গেলেও মাথায় কিছুই ঢুকছিল না ওর আর।
দাদা কে এমনি কাল যেতে পারবে না বলে কিছু একটা বানিয়ে বলে তো দিয়েছিল।কিন্তু এখন তো সত্যিটা বলতেই হবে ওকে।কি করবে বুঝে উঠতে পারল না স্নেহা।
পায়ের ব্যাথাটা অনেকটাই কম এখন।নিজেই নিজেকে ফিসফিসিয়ে বলল স্নেহা।পেইনকিলার এর ডোজটা আর ক্রেপব্যান্ডেজ টা বেঁধে রাখায় বেশ অনেকটাই কাজ করেছে।
ফোনটা আবার বেজে উঠলো স্নেহার। আর অাবার ওর ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটলো।মাঝখানে পাঁচ মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফোনটা।তাই আবার হুট করে বেজে ওঠায় একটু চমকে উঠেই ফোনটা হাতে নিলো।কিন্তু এবারে আর আদি নয় দাদা ফোন করছে। স্ক্রিনে নামটা দেখে কিছু একটা মনে হতেই মাথায় বাজ পড়ল স্নেহার।
আদি আবার আমি ফোন ধরিনি দেখে দাদাকে ফোন করেছিল নাকি!?নিজেকেই নিজে প্রশ্নটা করলো স্নেহা।সর্বনাশ।কি বলবে ও এবার দাদাকে।দাদাতো আগে গালি মারবে ওকে।
কথাটা মনে ভেবেনিয়েই কি মনে হলো ওই পা নিয়েই লাফ মেরে উঠতে গেলো বিছানা ছেড়ে।
বেশ,,আর কি! ওটাই বাকি ছিল। পা টাকে চেপে ধরে ওই ভাবেই বসে পরলো মেঝেতে।যন্ত্রণায় চিল্লাতে চিল্লাতে পরক্ষনেই আবার মাথায় এলো আদি তো জানেই না যে ওর পায়ের এরম অবস্থা। আর না স্নেহা ওকে জানিয়েছে।তাহলে ওই বা জানবে কি করে আর দাদাকেই বা জানাবে কি করে!!তাহলে………
নিজেই নিজের মাথায় একটা দুম করে মারলো স্নেহা। ধ্যাত!ভালো লাগে না।শুধু শুধু লাভের দায়ে পায়ের চোট টাই বাড়লো বই কমলো না। বা*! মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল ওর।
ফোনটা ততক্ষনে বেজে বেজে কেটে গেছে।একটু উঠে ফোনটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে দাদাকে নিজে থেকেই ফোনটা করলো এবার স্নেহা।এক দুবার রিং হতে না হতেই সৌম্য ফোনটা রিসিভও করলো।
হ্যাঁ,,,হেলো?বল।
কি হয়েছে পায়?প্রশ্নটা শুনেই মাথায় বজ্রঘাত স্নেহার।তোতলাতে তোতলাতে জিজ্ঞাসা করলো
তোকে কে বললো দাদা?!
যেই বলুক,তুই বল আগে পায়ে কি হয়েছে?
সেরম কিছু না।ওই ছোট্ট একটা অ্যাকসিডেন্ট।এখন অনেকটা ঠিক আছি।তুই বল, তোকে কে বলেছে?!
কি করে হলো?কালকেই বলিসনি কেন আমায়?!ঘুরে আবার পাল্টা প্রশ্ন করলো সৌম্য।
কি বলবে বুঝতে পারলো না স্নেহা।চুপ করে রইলো শুধু।
কি রে বল।আজকাল অনেক কথাই এরিয়ে যাস আমাকে।অনেক বড়ো হয়ে গেছিস?! তাই না।কি ভেবেছিস দাদা বাইরে থাকে বলে কিছু জানতে, বুঝতে পারে না।
কিছুই হয়নি সেরম।একটু লেগেছিল,এখন তো ব্যাথাটাও আর নেই অতোটা। এতো কেনো ভাবছিস,ঠিক আছি আমি।নিচু স্বরে বলল স্নেহা কথাটা।
ওপাশ থেকে কিছুক্ষন চুপচাপ থাকার পর উত্তর এলো,আমি যাচ্ছি তোকে আনতে।ওখান থেকেই সোজা ডাক্তার এর কাছে যাবো।রেডি হয়ে থাক।
হ্যালো.. হ্যা..!কথাটা বলেই সৌম্য ফোনটা কেটে দিলো।আর এক্সট্রা একটা কথাও শুনলো না স্নেহার।
কে যে দাদাকে বললো!বুঝতে পারছেনা ও।
কাউকে তো ও এখনও অব্দি কিছুই বলেনি।তাহলে,,,,তাহলে কি আন্টি!………….
(চলবে…..✍️)